প্রশ্ন
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে হোটেল/ রেস্তোরার ‘কাগুজে মোড়ক’ (আঞ্চলিক ভাষায়, ডুঙ্গা) তৈরীতে সরকারী মাদরাসার আরবি বই, পরীক্ষার পার্চা /এক্সাম পেপার (নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে; এগুলোতে কুরআনের আয়াত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস ইত্যাদি থাকে। ) ব্যবহার করা হচ্ছে যা খুবই ন্যাক্কারজনক ও গর্হিত বলে আমার কাছে মনে হয়। এই ক্ষেত্রে শরয়ী বিধান কী আর শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এই সকল বিষয়ে আমরা কোন ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারি?
[অফটপিক]
দুবাই (আধুনিক আরব) থেকে আমার সহপাঠীর জন্য আসা জুতার জোড়ায় আরবীতে নাম লিখা ছিলো। যেমন আমাদের এখানে জুতোয় ‘বাটা’র নাম থাকে। পরে ব্লেড দিয়ে কাটিয়ে নিয়েছিলাম। যেহেতু ‘অইদেশে’যাওয়া হয়নি তাই জানি না ‘ওরা’এক্ষেত্রে কতোটুকু সম্মান প্রদর্শন করে!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
হাবীবুল হক
সিলেট।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআনের আয়াত লিখা পাতাকে অজু ছাড়া স্পর্শ করাই নিষেধ, সেখানে অজুহীনভাবে স্পর্শ করা, যত্রতত্র ব্যবহার করা, মাটিতে নিক্ষেপ করা সবই ঈমান বিধ্বংসী কার্যকলাপ। এহেন কাজ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকেই বিরত থাকা আবশ্যক।
এক্ষেত্রে যারা একাজগুলো করছে, তাদেরকে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ম অবমাননার অপরাধে পুলিশি সহায়তায় এসব জঘন্য কাজ বন্ধ করা যেতে পারে।
জুতায় আরবীতে লেখা থাকলেই সেটি কুরআনের আয়াত বা হাদীস, কিংবা আল্লাহ বা রাসূল সাঃ এর নাম হয়ে যায় না। আরবী একটি ভাষা। আমাদের দেশে যেমন আসবাবপত্রে কোম্পানীর নাম লেখা থাকে, তেমনি যেসব দেশের ভাষা আরবী তারা আরবীতেই স্বীয় কোম্পানীর নাম লিখে থাকে।
তাই কুরআনের আয়াত বা হাদীস, কিংবা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নাম সম্বলিত জুতা না হলে তা পরিধান করতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কুরআনের আয়াত বা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর নাম লেখা থাকলে এসব জুতা পরিধান করা জায়েজ হবে না।
وَيُكْرَهُ أَنْ يَجْعَلَ شَيْئًا فِي كَاغِدَةٍ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ تَعَالَى كَانَتْ الْكِتَابَةُ عَلَى ظَاهِرِهَا أَوْ بَاطِنِهَا، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخمس-5/322)
يكره كتابة قرآن أو إسم الله تعالى على ما يفرش لما فيه من ترك التعظيم وكذا على درهم ومحراب وجدار لما يخاف من سقوط الكتابة (طحطاوى على مراقى الفلاح، باب الحيض، مصرى-118)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।