প্রচ্ছদ / পেশা/চাকরী / সুদী ব্যাংকের টাকায় গড়া সম্পদের বিধান কী?

সুদী ব্যাংকের টাকায় গড়া সম্পদের বিধান কী?

প্রশ্ন:

From: safayet
Subject: halal haram
Country : bangladesh
Message Body:
আমার পিতা ৩৩ বছর যাবত জনতা ব্যাংক এ কর্মরত আছেন। আমার দাদার জীবিতাবস্থায় তিনি ব্যাংকে চাকুরি নেন। দাদার মৃত্যুর পর তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে কুমিল্লায় তিনবিঘা জমির মালিক হন। তখনকার সময় উক্ত জমি বিক্রি করে পরিবার নিয়ে পর্দা মত থাকার মত বাড়ি নির্মাণ করে আবার পরিবারের ভরণপোষণ  চালানো দুরূহ ব্যাপার ছিল। চাকুরী সুবাদে ঢাকা এসে ব্যাংকের টাকায় আমার আম্মার জমিতে আম্মার অনুমতিতে পর্দা মত থাকার মত একটি ছোট বাড়ি নির্মাণ করেন। আমাদের সমস্ত ব্যয়ভার আমার পিতা ব্যাংকের টাকায় চালাতেন।  এমতাবস্থায় ব্যাংক থেকে ২৩,০০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করে উক্ত টাকায়,পূর্বের বাড়ি ভেঙে মাতার অনুমতিতে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ঋণের টাকার প্রায় ৫,০০০০০ টাকা দিয়ে কিছু জমি ক্রয় করেন, যার বর্তমান মূল্য প্রায় দ্বিগুণ। আবার আমার পিতার হার্টের অপারেসনের প্রয়োজন হলে উক্ত ঋণের টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ করেন। উল্লেখ্য আমার পিতা বেতনের টাকায়ও কিছু জমি খরিদ করেন। যার বর্তমান মূল্যও ক্রয় মুল্যের চেয়ে অনেক বেশি। সুদি ঋণ হওয়ায় ঋণের পরিমান বাড়তে থাকে। আব্বা প্রতি মাসের বেতনের কিছু অংশ ঋণের আসল টাকা পরিশোধ কার্যে ব্যয় করেন। সুদী ঋণ না হলে এতদিনে ঋণ পরিশোধ হয়ে যেত। চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে সুদের একটা বড় অংশ পরিশোধ করা বাকি রয়ে গেছে। দু বছর পর চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর আমার পিতা উক্ত সুদ পরিশোধ করে ৩০,০০০০০ টাকার মত পাবেন। উল্লেখ্য একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তার প্রায় ৭,০০০০০ টাকা খরচ করতে হয়,যা পুনরায় তিনি সুদমুক্ত ঋণ করেন। মামলা নিস্পত্তি না হলে প্রভিডেন্ট ফান্ড এর টাকাও পাবেন না। চাকুরীর বিস্তারিত বিবরণী সংযুক্ত করা হল।

চাকুরীর বিবরনীঃ পিতার নিজের ভাষায়

১। ১৭-৪-১৯৭৮ হতে সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ পর্যন্ত ক্যাশ বিভাগের দায়িত্বে ক্যাশিয়ার হিসেবে নগদ প্রদান ও গ্রহনের কাজে নিয়োজিত ছিলাম।উক্ত সময়ে জুন এবং  ডিসেম্বারে হিসেব সমাপনিতে(closing এ) আমানতের লেজারে সুদের হিসেব করতে হয়েছে( তাও সপ্তাহ খানেকের জন্য)।
২। ১৯৮৫( অক্টোবর) হইতে জানুয়ারী, ১৯৮৭ সন পর্যন্ত ২য় কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন যেমনঃ হিসেব খোলা, চেক ইস্যু, চেক ক্যসসেল,২য় কর্মকর্তা হিসেবে ভাউচারে ২য় সাক্ষর সহ বিভিন্ন কর্মাদি (ঋণ প্রদান ও ঋণ গ্রহণ ব্যতিত)। উক্ত সময়ে জুন এবং  ডিসেম্বারে হিসেব সমাপনিতে আমানতের লেজারে সুদের হিসেব করতে হয়েছে( তাও সপ্তাহ খানেকের জন্য)।
৩। ১৯৮৭ সনের ফেব্রুয়ারী হতে ১৯৮৯ সনের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অফিসার হিসেবে রেমিটেন্স ইন চার্জ, অর্থাৎ চেক ক্যসসেল, ডিডি পে অর্ডার,পে স্লিপ ও বিসি (outer bill collection) চেক কালেকশন সহ বিভিন্ন কর্মাদি। উক্ত সময়ে জুন এবং  ডিসেম্বারে হিসেব সমাপনিতে আমানতের লেজারে সুদের হিসেব করতে হয়েছে (তাও সপ্তাহ খানেকের জন্য)।
৪। ১৯৮৯ এর অক্টোবর হতে ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে প্রধান কার্যালয়ে জি পি এফ ও সি বি এফ হিসেব সংক্রান্ত কার্যাবলী।
৫। ১৯৯২-ফেব্রুয়ারি হতে ২০০৩ সন পর্যন্ত প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন কাজ।
৬। ২০০৪ হতে ২০০৫ সন পর্যন্ত দায়িত্ব ছিল হিসেব খোলা,চেক বই ইস্যু, বেসরকারি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ও উপবৃত্তি প্রদান সহ আরও অন্যান্য কার্যাদি। উক্ত সময়ে জুন এবং  ডিসেম্বারে হিসেব সমাপনিতে আমানতের লেজারে সুদের হিসেব করতে হয়েছে( তাও সপ্তাহ খানেকের জন্য)।
৭। ২০০৬ হতে ২০০৭ পর্যন্ত ক্লিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে চেক জমা ও গ্রহন,বিভিন্ন ব্যাংক ও শাখা হইতে চেকের অর্থ কালেকশন করে হিসেব জমা করার দায়িত্ব ছিল।
৮। ২০০৮ সনে ২য় কর্মকর্তা হিসেবে সকল ভাউচারে ২য় সাক্ষর করা, টিটি কালেকশন পাছ করা ইত্যাদি কার্যাদি । তবে উক্ত সময়ে মেয়াদি আমানতের হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম বিধায় মেয়াদি আমানত খোলা ও ভাঙানো সহ সুদ প্রদান কাজে নিয়োজিত ছিলাম।
৯। ২০০৯ হতে অদ্যবধি আঞ্চলিক কার্যালয়ে দায়িত্বরত ।বিভিন্ন বিষয়ে শাখায় চিঠিপত্র লেখা অর্থাৎ শাখার কন্ট্রোলিং কাজে নিয়োজিত।
উল্লেখ্য কোন সময়েই ঋণ প্রদান ও গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কোন কাজে নিয়োজিত ছিলাম না।

প্রশ্ন হলঃ
১। আমার পিতার হজ্জের হুকুম কি। হজ্জ ফরজ হলে আদায়ের সূরত কি?
২। আমার পিতার যাকাতের হুকুম কি। যাকাত ফরজ হলে আদায়ের সূরত কি?
৩। আমার পিতা বেতন বাবদ যা ভোগ করেছেন তার কি হুকুম? উল্লেখ্য আমার পিতা ব্যাংক এর চাকুরি ব্যতিত জীবনে আর কোন চাকুরি বা ব্যবসা করেননি।এমতাবস্থায় ব্যাংক থেকে উপার্জিত সমস্ত অর্থ যদি হারাম হয় আর তা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকা করতে হয় এবং আমার পিতার ব্যাংক এর চাকুরির টাকা বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তার উপর যাকাত ওয়াজিব নয়,তাহলে তো তিনি নিজেই সদকা ও যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত ছিলেন, তাছাড়া তিনি ঋণগ্রস্তও,এমতাবস্থায় চাকুরির টাকা নিজে ব্যাবহার করা জায়েজ হয়েছে কিনা। যদিও তিনি মাসআলা জানতেন না কিন্তু যখন তিনি চাকুরি নেন তখন অন্য কোন হালাল চাকুরিও পাচ্ছিলেন না।
৪। আমার পিতা পুরোপুরি সুন্নতের উপর নাই,এবং তার ঈমানি যোগ্যতাও বেশী নাই।এমতাবস্থায় তার কি করনীয়।
৫। আমার পিতা বর্তমান বাড়ি থেকে যে ভাড়া পান,তা হালাল কিনা?
৬। উক্ত পন্থায় ঋণ পরিশোধ করা হলে পিতার বর্তমানে ও মৃত্যুর পর আমার উক্ত বাড়ি নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করা হালাল হবে কিনা। হালাল না হলে হালাল ভাবে করার সূরত কি।
৭। আমি বালেগ হওয়ার পরেও যে পিতার (চাকুরির+বাড়ি ভাড়ার)টাকায় খেয়েছি ও লেখাপড়া করেছি তা আমার উপর হালাল ছিল কিনা। হারাম হয়ে থাকলে বর্তমানে আমার কি করনীয়। উল্লেখ্য পূর্বে আমার বোধোদয় না হলেও কিছুদিন যাবত তাবলীগে সময় দেওয়ার কারণে সহীহ্ দ্বীন মানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৮। পিতার জীবদ্দশায় ও তার মৃত্যুর পর বর্তমান বাড়ি আমি ব্যবহার করতে পারব কিনা?
৯। পিতা যদি উক্ত পন্থায় ঋণ পরিশোধ করে জান,তাহলে তার মৃত্যুর পর সমপরিমাণ টাকা ছদকা করা আমার উপর ওয়াজিব হবে কিনা।
১০। তিনি ঋণের টাকায় যেসব জমি কিনেছিলেন তার মৃত্যুর পর আমি সেগুলোর মালিক হব কিনা।
১১। তিনি ব্যাংকের বেতনের টাকায় যেসব জমি কিনেছিলেন তা যদি তিনি রেখে মারা যান, উত্তরাধিকার সূত্রে আমি সেগুলোর মালিক হতে পারব কিনা। যদি মালিক না হই তাহলে এসব জমির ব্যাপারে আমার কি করনীয় হবে । আমি যদি সেগুলো নিজের জন্য হালাল ভাবে ব্যবহার করতে চাই তাহলে সেগুলোর ক্রয়মূল্য ছদকা করলে হবে কিনা।

জবাব

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার দীর্ঘ বিবরণ ও প্রশ্নটির বিস্তারিত উত্তর না দিয়ে একটি মূলনীতিমূলক জবাব দিচ্ছি।

ব্যাংকে চাকরি করা হারাম হওয়ার মূলত কারণ দু’টি। যথা-

১-হারাম কাজে সহায়তা করা হয়।

২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সর্ব ধরণের সহায়তা হারাম নয়। বরং সেসব সহায়তা হারাম যাতে সরাসরি হারাম কাজে জড়িত হওয়া হয়। যেমন সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লেখা। সুদী টাকা উসুল করা ইত্যাদী।

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি সুদী কাজে জড়িত না হতে হয়, বরং তার কাজের ধরণ এমন হয় যেমন ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদী হয় তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমনটি করার সুযোগ আছে।

আর হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে।

ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)

অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}

ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-

১-মূলধন। ২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা। ৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী। ৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।

এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।

যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।

কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}

উল্লেখিত মূলনীতির আলোকে আপনি বের করে নিন আপনার পিতার ব্যাংকিং চাকরীটি জায়েজ ছিল কি না? যদি জায়েজের অনূকুল হয় তাহলেতো কোন কথাই নেই। তাহলে ব্যাংকের বেতনে যেসব প্রপার্টিজ তিনি করেছেন তা জায়েজই হবে। হারাম হবে না।

আর যদি হারাম হয় চাকরীটি তাহলে সে বেতনে যা কিছু করা হয়েছে তা হারাম মাল দিয়ে করায় ততটুকু পরিমাণ টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেয়া বর্তমানে আবশ্যক। যদি ততটুকু পরিমাণ সম্পদ সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করা না হয় তাহলে উক্ত প্রপার্টিজের মালিক আপনার পিতা হবেন না। তাই উক্ত সম্পত্তিতে তার উপর হজ্বও ফরজ হবে না, যাকাত, কুরবানী সদকায়ে ফিতর কিছুই আবশ্যক হবে না। সে হিসেবে আপনিও মিরাসসূত্রে তার মালিক হবেন না। যদি হারাম টাকা পরিমাণ টাকা দান করে দেয়া হয়, তাহলেই কেবল সে টাকা দিয়ে যে সম্পত্তি করা হয়েছে তার মালিক আপনার পিতা সাব্যস্ত হবে, সে হিসেবে আপনিও তার মৃত্যুর পর মালিক হবেন।

فى معارف السنن- من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)

পিতা যদি হারাম মাল দিয়ে সন্তান লালন করে থাকে, তাহলে উক্ত সন্তানের যদি পিতার সাহায্য ছাড়া নিজের ভরণ পোষণ চালানো সম্ভব হয়, তাহলে তার জন্য পিতার হারাম টাকা দিয়ে নিজের ভরণপোষণের জন্য টাকা নেয়া জায়েজ নয়। তবে যদি নিজের ভরণ পোষণ করার মত ক্ষমতা না থাকে তাহলে অপারগ হিসেবে পিতার হারাম টাকা নেয়া জায়েজ আছে। {ইহয়ায়ে উলুমিদ্দীন-২/১৪৭}

আশা করি আপনার বিশাল প্রশ্নটির সব ক’টি পয়েন্টের উত্তরই এতে সন্নিবিষ্ট হয়েছে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালকতালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com

lutforfarazi@yahoo.com

0Shares

আরও জানুন

‘সুন্দর সম্পর্ক কেন নষ্ট করে দিলা’ বলার দ্বারা কি স্ত্রী তালাক হয়ে যায়?

প্রশ্ন আস্সালামুআলাইকুম মুফতি সাহেব, এই প্রশ্ন কয়েকটা আগেও করেছিলাম, উত্তর না পেয়ে আবার করছি| ওয়াসওয়াসা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *