প্রচ্ছদ / আহলে হাদীস / রফয়ে ইয়াদাইন তথা রুকুতে যেতে আসতে হাত উঠানো বিষয়ে কথিত আহলে হাদীসদের ধোঁকাবাজী [পর্ব-১]

রফয়ে ইয়াদাইন তথা রুকুতে যেতে আসতে হাত উঠানো বিষয়ে কথিত আহলে হাদীসদের ধোঁকাবাজী [পর্ব-১]

লেখক– মুনাজিরে ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ আমীন সফদর ওকাড়বী রহঃ

অনুবাদঃ লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

بسم الله الرحمن الرحيم

বর্তমান সময় মুসলমানদের জন্য কঠিন পরীক্ষার। যেসব বিষয়ে মুসলমানদের বর্তমানে বিভক্ত হতে হচ্ছে, তা ইতোপূর্বে হতে হয়নি। নতুন নতুন মাসআলা দাঁড় করানো হচ্ছে। এর কারণ একটি বলেই আমার মনে আসছে। তা হল- ফুক্বাহায়ে ইসলামের সাথে বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করে কুরআন হাদীস সম্পর্কে স্বল্প পড়াশোনা। আর এর সাথে সাথে নিজের মতকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা।

একদিন এক লোক তার কয়েকজন সাথীসহ আমার কাছে এল। নিজের পরিচয় দিয়ে বলেঃ “আমি ইসলামীয়াত ও আরবীতে এম এ করেছি। আর কুরআন হাদীস নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি”।

আমি তাকে বললামঃ “হাদীসের কিতাবে কতিপয় এমন হাদীসও পাওয়া যায়, যা বাহ্যিকভাবে বিপরীতমুখী মনে হয়, এসব হাদীসের ক্ষেত্রে আপনারা কি একেক সময় একেক হাদীসরে উপর আমল করেন নাকি বিপরীতমুখী দুই বা তিন হাদীসের মাঝে একটি হাদীসকে রাজেহ তথা প্রাধান্য দিয়ে তার উপর আমল করে বাকি বিপরতীমুখী দুই বা তিন হাদীসকে ছেড়ে দেন?”

লোকটি বলতে লাগলঃ “সকল হাদীসের উপরতো কেউই আমল করতে পারবে না। তাই রাজেহ তথা প্রাধান্য পাওয়া হাদীসের উপরই আমল করা হয়। আর মারজূহ তথা অপ্রাধান্য পাওয়া হাদীসকে ছেড়ে দেয়া হয়”।

আমি বললামঃ “কিছু হাদীসকে রাজেহ আর কিছু হাদীসকে মারজূহ হওয়া কি আল্লাহ বা রাসূল সাঃ সাব্যস্ত করেন? না হাদীস বাতিল ও আমল করার ক্ষেত্রে নিজেদের অনিরাপদ সীদ্ধান্তের সাহায্য গ্রহণ করেন? সুনিশ্চিতভাবে আপনারা নিজেদের বা কোন উম্মতীর সীদ্ধান্তের উপরই আমল করে থাকেন। যদি তা’ই হয়, তাহলে আপনারা নিজেদের আহলে হাদীস বলেন কেন? কাজ করে করেন রায় তথা কিয়াস দ্বারা আর দাবী করেন আহলে হাদীস এটা কোন ধরণের আচরণ? তাহলে আল্লাহ তাআলার বাণী لم تقولون ما لا تفعلونতথা তোমরা কেন তা বল যা কর না? {সূরা সফফ-২} কেন আপনাদের স্মরণ থাকে না? এ বিষয়টি একটু পরিস্কার করে বলুনতো-

 

প্রথম মূলনীতি

 

লোকটি বলতে লাগলঃ “আমাদের প্রথম মূলনীতি হল, যে হাদীসের সনদ অধিক সহীহ আমরা এর উপর আমল করে থাকি। আর অন্য হাদীসের উপর আমল করি না। সনদ অধিক সহীহ হাদীস ছেড়ে যারা অন্য হাদীসের উপর আমল করে থাকে, তাদের আমরা হাদীসের উপর আমলকারী মনে করি না”।

আমি বললামঃ “ইমাম বুখারী রহঃ বলেছেন যে, হযরত আনাস রাঃ এর হাদীস “আসনাদ” তথা সনদের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী। যে হাদীসে এসেছে যে, “উরু সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়”। এর মানে হল, উরু ঢাকা জরুরী নয়। আর জারহাদ এর হাদীস যাতে এসেছে যে, “উরু ঢাকা জরুরী” সেটি আহওয়াত তথা অধিক সতর্কতমূলক। অর্থাৎ এর উপর আমল করাটা সতর্কতামূলক। এভাবে আমরা উম্মতের মতবিরোধ এড়াতে পারি। {সহীহ বুখারী-১/৫৩, সালাত অধ্যায়, উরু সম্পর্কে বর্ণনার পরিচ্ছেদ}

তাহলে খেলার মাঠে যে সকল ছেলে মেয়েরা উরু বের করে খেলাধোলা করে থাকে, তারা উঁচু পর্যায়ের আহলে হাদীস? কারণ তারা সনদের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী হাদীসের উপর আমল করছে! আর আপনারা যারা উরু ঢেকে নামায পড়েন, এখনো উরু ঢেকে আছেন তারাতো কেউ আর আহলে হাদীস বাকি থাকেন না”।

আমরা কথা শুনে লোকটি পেরেশান হয়ে যায়। আমি তাকে বললামঃ “আপনার মূলনীতিটিও তো আপনাদের রায়ের উপর নির্ভরশীল, কুরআন বা সহীহ হাদীসের উপর নয়, তাই আপনি না আহলে হাদীস না আহলে রায়”।

দ্বিতীয় মূলনীতি

লোকটি এবার বলতে লাগলঃ “আমাদের দ্বিতীয় মূলনীতি হলঃ যখন মুত্তাফাক আলাই হাদীস পাওয়া যায়, অর্থাৎ যে হাদীস ইমাম বুখারী রহঃ এবং ইমাম মুসলিম রহঃ তাদের কিতাবে বর্ণনা করেছেন। তাহলে উক্ত হাদীসের উপর করা ফরজ বলে আমরা মেনে থাকি। আর এ দুই কিতাবের বিপরীত বর্ণনা যেসব হাদীসের কিতাবে আছে, সেসবের উপর আমরা কখনোই আমল করি না”।

আমি বললামঃ “এ মূলনীতি আল্লাহ তাআলা বলেছেন, না রাসূল সাঃ বলেছেন, না সাহাবায়ে কেরাম নির্ধারণ করেছেন, না মুজতাহিদ ইমামগণ নির্ধারণ করেছেন। হাফেজ আবু বকর মুহাম্মদ বিন মুসা আলহাযেমী আশশাফেয়ী রহঃ এর ওফাত ৪ বা ৫ হিজরীতে হয়েছে। তিনি শাফেয়ী মূলনীতি অনুযায়ী ৫০টি মূলনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কিন্তু এ মূলনীতি একদমই উল্লেখ করেন নি যে, যে হাদীস বুখারী ও মুসলিমে পাওয়া যাবে সেটাই রাজেহ তথা প্রধান্য পাবে। আর শাইখুল ইসলাম ওয়ালা মুসলিমীন আল্লামা ইবনুল হুমাম রহঃ তো স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, تحكم لا يجوز التقليد فيهএ বক্তব্যটি সম্পূর্ণ বে-ইনসাফী এবং এটা মানা জায়েজ নয়। {হাশিয়ায়ে বুখারী-১/১৫৮}

যাইহোক লোকটি একথার উপর খুবই জোর দিল যে, তারা মুত্তাফাক আলাই হাদীসের উপর করে থাকেন। আর এর বিপরীত অন্য কিতাবের হাদীসকে ছেড়ে দেন। আমি তাকে বললামঃ আপনার এ কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। প্রমাণ দেখুনঃ

রাসূল সাঃ এর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের ৩৬ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিম শরীফের ১ম খন্ডের ১৩৩ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। {দেখুন-সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২২,২২৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৪৭}

কিন্তু আহলে সুন্নাতের চার মাযহাবের কোন মাযহাবে একথা বলা নেই যে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা ফরজ আর বসে প্রস্রাব করার হাদীস যেহেতু মুত্তাফাক আলাই নয়, তাই বসে প্রস্রাব করার হাদীস মুত্তাফাক আলাই হাদীসের বিপরীত হওয়ার কারণে বসে প্রস্রাব করা হারাম।

আপনারাও তো একথা বলেন না যে, ইংরেজরা যে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাই তারা পাক্কা আহলে হাদীস! আর আমরা যারা বসে বসে প্রস্রাব করে থাকি, তারা হাদীসের বিরুদ্ধবাদী!

ইমাম বুখারী রহঃ এর ছাত্র ইমাম তিরমিজী রহঃ এ মুত্তাফাক আলাই হাদীসের বিপরীত অধ্যায় পরিচ্ছেদ নির্ধারণ করেছেন باب النهى عن البول قائماতথা দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা নিষেধ হওয়ার বর্ণরা। তিনি  আরো বলেনঃ আমার নিকট দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা হারাম নয়, তবে আদবের পরিপন্থি। তবে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ বলেন যে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জুলুম। {তিরমিজী-১/৯, হাদীস নং-১২}

বুখারীর ১ম খন্ডের ৩১ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ১২৩ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূল সাঃ অজু করার সময় হাতের তালুতে পানি নিয়ে একই সাথে কুলি ও নাকে পানি দিতেন।  {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৭৮} কুলি ও নাকে পানি দেয়ার জন্য আলাদা আলাদা পানি নেয়ার বর্ণনা না বুখারীতে আছে, না মুসলিমে আছে। কিন্তু ইমাম তিরমিজী রহঃ ইমাম শাফেয়ী রহঃ থেকে বর্ণনা করেন যে, وقال الشافعي إن جمعهما في كف واحد فهو جائز وإن فرقهنا فهو أحب إلينا  অর্থাৎ ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেনঃ মুত্তাফাক আলাই হাদীসটির উপর আমল করে এক পানিতে কুলি ও নাকে পানি দেয়া জায়েজ, তবে আলাদা পানি নেয়া অধিক উত্তম। {সুনানে তিরমিজী-১/৮৪, হাদীস নং-২৮}

বুখারীর ১ম খন্ডের ১২২ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ১২৮ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যদি বেশি কষ্ট না হতো, তাহলে আমি প্রত্যেক নামাযের সাথে মেসওয়াক করার হুকুম দিতাম। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৮৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬১২}

ইমাম তিরমিজী রহঃ বলেন যে, এ হাদীস আঠার জন সাহাবী বর্ণনা করেছেন। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২} কিন্তু তারপরও অধিকাংশ লোক নামাযের বদলে অজুর সাথে মেসওয়াক করে থাকে। কিন্তু কেউতো তাদের গোনাহগার বলে না। হাদীসে বলেছে নামাযের সাথে মেসওয়াকের কথা, আর করা হয় অজুর সাথে, এ উল্টো আমল কেন করা হয়?

বুখারীর ১ম খন্ডের ৭৪ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২০৫ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীস হল- রাসূল সাঃ নামাযের মাঝে স্বীয় নাতি উমামাকে বহন করে নামায পড়তেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৯৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১২৪০} আর বাচ্চাদের বহন করা ছাড়া নামায পড়ার কোন স্পষ্ট বর্ণনা না বুখারীতে আছে, না মুসলিমে আছে। তাহলে কি যে সকল নামাযীগণ বাচ্চাদের বহন করা ছাড়া নামায পড়ে থাকে, তা মুত্তাফাক আলাই হাদীসের বিপরীত হওয়ার কারণে তাদের নামায বাতিল?

বুখারী ১ম খন্ডের ৫৬ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২০৮ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনায় এসেছে যে, রাসূল সাঃ জুতা পরিধান করে নামায পড়তেন। জুতা খুলে নামায পড়ার কোন স্পষ্ট বর্ণনা বুখারী ও মুসলিমের কোথাও নেই। তাহলে কি যেসব খৃষ্টানরা জুতা পরিধান করে নামায পড়ে থাকে, তারা সকলে আপনাদের নিকট পাক্কা আহলে হাদীস? আর যেসব গায়রে মুকাল্লিদরা জুতা খুলে নামায পড়ে থাকে, তারা মুত্তাফাক আলাই হাদীসের উপর আমল না করার কারণে মুনকিরে হাদীস তথা হাদীস অস্বিকারকারী?

আপনারা কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে ডান হাতকে বাম কনুইয়ের উপর রেখে সিনার উপর হাত বেঁধে থাকেন।  আর এটাকে সুন্নতে মুআক্কাদা বলে থাকেন। অথচ এ অবস্থার কোন হাদীস বুখারী মুসলিমের কোথাও নেই।

বুখারীর ১ম খন্ডের ৫৫ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ১৬৪ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই হাদীসে যে আজানের কথা এসেছে, তাতে তারজী’ নেই। অথচ আপনাদের গায়রে মুকাল্লিদওয়ালা মসজিদের আজানের মাঝে তারজী’ দিয়ে মুত্তাফাক আলাই হাদীসের সাথে বিরোধীতা করা হয় কেন?

৮, ৯, ১০

সমগ্র উম্মত সানার সময় “সুবহানাকাল্লাহুম্মা ” আর রুকুর সময় “সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম” আর সেজদার সময় “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলে থাকে। যা বুখারী মুসলিমের মারফূ হাদীসে বর্ণিত নয়।

অথচ বুখারীর ১ম খন্ডের ১০৩ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২১৯ পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনায় সানার সময় “সুবহানাকাল্লাহুম্মা” এর স্থলে এসেছে “আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনী”। আর বুখারীর ১মম খন্ডের ১০৯ নং পৃষ্ঠা এবং মুসলিমের ১ম খন্ডের ২১৩ নং পৃষ্ঠার মুত্তাফাক আলাই বর্ণনায় রুকু ও সেজদার তাসবীহ “সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম” ও “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” এর বদলে অন্য তাসবীহের কথা এসেছে।

এসব মুত্তাফাক আলাই বর্ণনার উপর আমল না করার কারণে কি পুরো উম্মত গোনাহগার হচ্ছে?

তৃতীয় মূলনীতি

বলতে লাগলঃ “আমাদের নিকট মূলনীতি হলঃ যেদিকে হাদীস বেশি সেটার উপর আমল করে থাকি, আর যেদিকে হাদীস কম সেটাকে ছেড়ে দেই”।

আমি বললামঃ-

ইমাম বুখারী রহঃ সহীহ বুখারীর ১ম খন্ডের ৪৩ নং পৃষ্ঠায় হযরত উসমান রাঃ, হযরত আলী রাঃ, হযরত জুবায়ের রাঃ, হযরত তালহা রাঃ, হযরত উবাই বিন কা’ব রাঃ, হযরত আবু আইয়ুব রাঃ, এ ছয়জন সাহাবী থেকে হাদীস এনেছেন যে, যদি কেউ বিবির সাথে সহবাস করে, আর বীর্যপাত হওয়ার আগেই আলাদা হয়ে যায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর গোসল করা ওয়াজিব নয়। এ ছয়জনের বিপরীত এক হযরত আবু হুরায়রা রাঃ এর হাদীস এনেছেন। যাতে এসেছে যে, এরকম অবস্থায় গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়।

এখানে অধিক বর্ণনা গোসল ওয়াজিব না হওয়ার পক্ষে থাকলেও সবাই এক বর্ণনার উপর নির্ভর করে বলছেন যে, গোসল ফরজ হয়ে যাবে। তাহলে আপনার মূলনীতি গেল কোথায়?

রাসূল সাঃ এর জুতা পরিধান করার হাদীস সনদের দিক থেকে মুতাওয়াতির। এ কারণেই গায়রে মুকাল্লিদ শায়েখ আলবানী লিখেছেনঃ وهو حديث متواتر كما ذكره الطحاوىঅর্থাৎ এ হাদীসটি মুতাওয়াতির। যেমনটি বলেছেন ইমাম তাহাবী রহঃ। {সিফাতু সালাতিন নবী-৭০}

অথচ পুরো উম্মতের আমল হল এর বিপরীত। পুরো উম্মত থেকে নামাযে জুতা খুলে নামায পড়ার বিষয়টি আমল হিসেবে মুতাওয়াতির। সকল উম্মতের মাঝে এ ব্যাপারে ঐক্যমত্ব যে, রাসূল সাঃ এর জুতা পরিধান করে নামায পড়ার আমলটি একটি বিরল আমল ছিল। আর কখনো কখনো বিরল আমলের বর্ণনাও অনেক হয়ে যায়। তাই তাহক্বীক ছাড়া হাদীস বেশি দেখেই আমল করার মানসিকতা রাখাটা বোকামী বৈ কিছু নয়”।

আমি তাকে বললামঃ “দেখুন! আমাদের এখানে লোকেরা নাভীর নিচে হাত বেঁধে নামায পড়ে। এটি একটি পরিচিত আমল। তাই এটি বর্ণনা করার কোন দরকার নেই। কিন্তু যদি দুই একজন ব্যক্তি মাথার উপর হাত বেঁধে নামায পড়ে কয়েকদিন, তাহলে একথা পুরো শহরময় বর্ণিত হয়ে বেড়াবে। সবাই এটাকে বলতে শুরু করে দিবে। তাই বুঝা গেল যে, বর্ণনা অধিক হওয়ার দিকে লক্ষ্যা করা উচিত নয়। বরং অধিক আমল হওয়ার দিকে লক্ষ্য করা উচিত।

এ কারণেই রাসূল সাঃ এর জুতা পরিধান করে নামায পড়ার বিষয়টি যদিও খুব বিরল আমল ছিল। কিন্তু তারপরও তা পঞ্চাশের অধিক সাহাবী বর্ণনা করেছেন। অথচ জুতা খুলে নামায পড়ার বিষয়, যা রাসূল সাঃ এর সাধারণতঃ আমরণ আমল ছিল, সেটির বর্ণনা মাত্র দুই চার সাহাবী করেছেন।

এ কারণেই মূলনীতিবীদ উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, الترجيح لا يقع بفضل عدد الرواةতথা সংখ্যাধিক্য তারজীহ তথা প্রধান্য পাওয়ার কারণ নয়। {নূরুল আনওয়ার-২০০}

এমনিভাবে সেজদার সময় রফয়ে ইয়াদাইন করার হাদীস অনেক। এ কারণেই শায়েখ আলবানী লিখেছেনঃ وقد روى هذا الرفع عن عشرة من الصحابةতথা এ রফয়ে ইয়াদাইন দশ জন সাহাবী বর্ণনা করেছেন। {সিফাতু সালাতিন নাবী-১৪৬} এমনিভাবে গায়রে মুকাল্লিদদের নিকট মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফক্বীহ ও উসূলী আবুল মুহাম্মদ আব্দুল হক আলহাশেমী আসসালাফী [মৃত্যু ১৩৯২ হিজরী] সাহেব স্বীয় কিতাব “ফাতহুল ওদূদ ফী তাহক্বীকি রফয়ে ইয়াদাইন ইনদাস সুজূদ” গ্রন্থে হযরত মালিক বিন আনাস রাঃ, হযরত আনাস বিন মালিক আনসারী রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ, হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ, হযরত উমায়ের বিন হাবীব রাঃ, হযরত হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ, হযরত ওয়াইল বিন হুজুর রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর বিন খাত্তাব রাঃ এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর রাঃ এ নয়জন সাহাবী থেকে সেজদার সময় রফয়ে ইয়াদাইন করার হাদীস একত্র করেছেন।

এমনিভাবে প্রসিদ্ধ গায়রে মুকাল্লিদ আলেম আবু হাফস বিন উসমান আলউসমানী সাহেব স্বীয় রেসালা “ফজলুল ওদূদ ফী তাহক্বীকে রফয়ে ইয়াদাইন লিস সুজূদ” এ উল্লেখিত নয়জন সাহাবীর হাদীস এনেছেন। আর ফাতাওয়া উলামায়ে হাদীস এর ৪ নং খন্ডের ৩০৬ নং পৃষ্ঠায় লিখা হয়েছে যে, রফয়ে ইয়াদাইন [সেজদার সময়] মানসূখ তথা রহিত হয়নি। বরং এটা রাসূল সাঃ এর শেষ সময়ের আমল এটা ছিল। কেননা, মালিক বিন হুয়াইরিস রাঃ রাসূল সাঃ এর শেষ বয়সে মদীনায় সাক্ষাৎ করে। এরপর এমন কোন স্পষ্ট হাদীস পাওয়া যায় না, যার দ্বারা এটি রহিত হওয়ার কথা বুঝা যায়। {আব্দুল হক্ব ওয়া ফায়যুল কারীম সিন্ধী}

এবার লক্ষ্য করুন! সেজদার সময় রফয়ে ইয়াদাইন করার হাদীস অনেক। এরপরও অধিকাংশ হাদীসকে ছেড়ে দিয়ে কম হাদীসের উপর করে সেজদার সময় রফয়ে ইয়াদানইনকে বর্জন করা হচ্ছে। তাহলে আপনারা মূলনীতি গেল কোথায়”।

এবার লোকটি উদভ্রান্ত হয়ে বলতে লাগলঃ “আচ্ছা! তাহলে আপনাদের কাছে তারজীহ তথা প্রধান্য পাওয়ার মূলনীতি কি?”

 

আমাদের মূলনীতি

 

আমি বললামঃ “আমাদের মূলনীতিতো একেবারে স্বভাবজাত ও সহজবোধ্য। কুরআন ও হাদীসের ব্যাপারে আমাদের মূলনীতি একটিই। যেমন মতভেধপূর্ণ হাদীস আছে। ঠিক তেমনি কুরআনে কারীমেরও মতভেদপূর্ণ কেরাত সাতটি। আমরা সেই সাত কেরাতের মাঝে একটি কিরাতের উপর তেলাওয়াত করে থাকি। যেটি সর্বত্র সাধারণ ও উলামা সকলের নিকটই মুতাওয়াতির। আর সেটি হল আবু আসেম কুফী রহঃ এর কেরাত এবং কারী আবু হাফস কুফী রহঃ এর বর্ণনা।

ঠিক একইভাবে আমরা মতভেদপূর্ণ হাদীসের ব্যাপারে মুজাতাহিদ ইমামগণ যে তারজীহ তথা প্রাধান্য দিয়েছেন, আমরা সেটি মেনে থাকি। আর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মাঝে চারটি মাযহাব তথা হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী। যেভাবে আমরা কুরআনে কারীমের সাত কিরাতের মাঝে আমরা সেই কেরাতেই তেলাওয়াত করে থাকি, যেটি এখানে তিলাওয়াত হিসেবে মুতাওয়াতির। ঠিক তেমনি রাসূল সাঃ এর সুন্নত চার মাযহাবের ইমামগণ সংকলিত করেছেন। তাদের মাঝে আমাদের এখানে যেহেতু শুধুমাত্র হানাফী মাযহাবের পদ্ধতিই আমল ও শিক্ষায় সাধারণ ও উলামাগণের নিকট মুতাওয়াতির। এ কারণে আমরা যে সকল হাদীসকে হানাফী মাযহাবের ইমামগণ তারজীহ দিয়ে আমল করেছেন, এবং সে সকল হাদীস আমাদের এখানকার মুহাদ্দিসীন, ফুক্বাহা, আউলিয়ায়ে কেরাম, এবং সাধারণ্যের মাঝে আমল হিসেবে মুতাওয়াতির হয়েছে। আমরা সেগুলোকে রাজেহ হিসেবে আমল করি। আর বাকিগুলোকে মারজূহ মনে করে ছেড়ে দেই।

হযরত আসেম রহঃ এর কেরাত আমাদের এখানে তিলাওয়াত হিসেবে মুতাওয়াতির হওয়ার কারণে যেমন আমাদের কুরআনে কারীমের তেলাওয়াত সঠিক ও নির্ভূল হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। ঠিক তেমনি আমাদের এখানে ফুক্বাহায়ে কেরাম ও সাধারণ মানুষের আমলের মুতাওয়াতির সূত্রে পৌঁছা নামাযের ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নেই।

 

বিতর্ক

 

লোকটি আমার কথা শুনছিল। মুচকি মুচকি হাসছিল। অবশেষে বলতে লাগলঃ “আপনি রফয়ে ইয়াদাইনের কথা বললেন। আমি এই মাত্র একটি ক্যাসেট শুনে এলাম। যাতে আপনি শিয়ালকোটে রফয়ে ইয়াদাইন বিষয়ে একটি বিতর্কে পরাজিত হয়ে এসেছেন”।

আমি তাকে বললামঃ “পরাজয় কি প্রশ্নকারীর হয়? না দাবীকারীর? দাবীকারী যদি নিজের দাবী প্রমাণিত করতে পারে, তাহলে সে জিতে গেছে। আর যদি প্রমাণিত না করতে পারে, তাহলে সে হেরে গেছে। আমিতো উক্ত বিতর্কে প্রশ্নকারী ছিলাম। তাদের দাবীর স্বপক্ষে প্রমাণ চেয়েছিলাম। যা তারা উপস্থান করতে পারে নি। আর কিয়ামত পর্যন্ত তা পারবেও না ইনশাআল্লাহ।

 

শর্তসমূহ

আমি লিখিয়েছিলাম যে, আহলে হাদীসরা নিজেদের বৈশিষ্ট এই বলে থাকে যে, “আমরা শুধুমাত্র আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর কথাই দলীল হিসেবে মেনে থাকি। কোন উম্মতীর কথা মানা তাকলীদ এবং শিরক। এ কারণে আমি গায়রে মুকাল্লিদ বিতার্কিক আল্লাহ ও রাসূল সাঃ ছাড়া কোন উম্মতীর কথা উপস্থাপন করবো না”।

আমি তাদের বলেছিলামঃ “তারা হাদীসের সহীহ, জঈফ এর সংজ্ঞা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ থেকে পেশ করবে। কোন হাদীসকে সহীহ বা জঈফ বলতে চাইলে তা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত করতে হবে। যদি তারা নিজেদের রায় বর্ণনা করবে, বা কোন উম্মতীর রায় পেশ করবে তখনি বিতর্ক খতম হয়ে যাবে। কেননা, তখন সে আর আহলে হাদীস হিসেবে আর বাকি থাকছে না। বরং মুশরিক হয়ে যাচ্ছে। মুশরিক আহলে হাদীসের সাথে বিতর্ক কী করে হতে পারে?

গায়রে মুকাল্লিদ হিসেবে তাদের উচিত কুরআন ও হাদীস থেকেই দলীল দিবে। তদুপরি তারা বলে থাকে যে, তাদের দ্বীন নাকি মক্কা মদীনাওয়ালা আর হানাফীদের দ্বীন কুফাওয়ালা। তাই তাদের কুরআনে কারীমের কোন আয়াত পড়ার কোন অধিকার নেই যে কেরাত কারী আসেম কুফী রহঃ এর কেরাত হবে। তারা কেবল মক্কা ও মদীনাওয়ালা কারীর কুরআনে কারীমের কেরাত পড়বে। আর প্রতিটি আয়াত সনদসহ বলতে হবে। কারণ মক্কা মদীনার কারীদের কেরাত এখানে মুতাওয়াতির নয়। এ কারণে এ কেরাতের সনদ জরুরী। আর হাদীসও এমন কিতাবের শুনাবে যেটা লিখেছেন মক্কার বা মদীনার অধিবাসী। আর ঐতিহাসিক সূত্রে প্রমাণিত করবে উক্ত হাদীস সংকলক না মুজতাহিদ ছিলেন না মুকাল্লিদ ছিলেন। বরং তিনি গায়রে মুকাল্লিদ ছিলেন। কেননা, তাদের নিকট কিয়াসকারী তথা মুজতাহিদ ব্যক্তি শয়তান। আর তাকলীদকারী ব্যক্তি মুশরিক। তাই তারা এমন কোন হাদীস পেশ করতে পারবে না, যে কিতাবের সংকলক মুজতাহিদ বা মুকাল্লিদ ছিলেন।

আমার এসব শর্ত মানতে তারা একদম অস্বিকার করে বসল। এবার আপনিই বলুন! এটা কি তাদের বিজয় ছিল না পরাজয়?”

এবার লোকটি বলতে লাগলঃ শর্তগুলোতো আপনি সহীহই উপস্থাপন করেছেন। কেননা, ওয়াদা পূর্ণ করার তাগীদ কুরআন ও হাদীসে স্পষ্ট। আর তারাতো এটাই বলে যে, “আমরা শুধু কুরআন ও হাদীস মানি। আমরা মক্কা মদীনাওয়ালা। তাকলীদ শিরক”। আর আপনিতো তাদের শুধু তাদের ওয়াদা পূর্ণ করার ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মাত্র। তাদের এসব শর্ত মানা উচিত ছিল। কিন্তু সত্য কথা হল এসব ওয়াদা তারা কোনদিন পূর্ণ করতে পারবে না”।

আমি বললামঃ “তাহলে তারা মিথ্যা ওয়াদাকারী সাব্যস্ত হল। আর যে দল স্বীয় ওয়াদা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়, তারা কি বিজয়ী না পরাজিত”?

লোকটি বললঃ “পরাজিত”।

নতুন শর্তসমূহ

আমি বললামঃ “তারপর তারা শোরগোল শুরু করে দিল। বলতে লাগলঃ বিতর্কের শর্ত আগে থেকেই ঠিক করা আছে। আর সেটা হল সিহাহ সিত্তাহ তথা বুখারী [২৫৬হিজরী], মুসলিম [২৬১ হিজরী], আবু দাউদ [২৭৫ হিজরী], তিরমিজী [২৭৯ হিজরী], নাসায়ী [৩০৩ হিজরী] ও ইবনে মাজাহ [২৭৩ হিজরী] থেকে দলীল দেয়া যাবে”।

আমি বললামঃ “এ শর্ত না আমি ঠিক করেছি। না এ ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে। আর এতে খাইরুল কুরুনে লিখা কোন কিতাবই নেই। আর এসবের মাঝে কোন একটি কিতাবও না আহলে মক্কার কেউ লিখেছেন না আহলে মদীনার কেউ লিখেছেন। আর উল্লেখিত কিতাবের সংকলকের কারো ব্যাপারে আপনারা একথা প্রমাণ করতে পারবেন না যে, তারা কেউ ইজতিহাদের যোগ্যতাও রাখতেন না, আবার আবার কারো তাকলীদও করতেন না তাই তারা গায়রে মুকাল্লিদ ছিলেন। নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান সাহেব “ইতহাফুন নুবালা” গ্রন্থের ৪২৪ এবং শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ “ইযালাতুল খাফা” এর ১ম খন্ডের ২৭১ নং পৃষ্ঠায় সিহাহ সিত্তার সকল সংকলককে ফার্সি বংশোদ্ভূদ বলে উল্লেখ করেছেন। এ কারণেই আপনাদের হাকীকী ভাই আহলে কুরআনের লোকেরা আপনাদের প্রতি অভিযোগ উত্থাপন করে বলে যে, “আরবী কুরআনের পরিবর্তে কেন ছয়টি অনারবী কুরআন বানিয়েছো?”

আরবের কিতাব না হওয়ার কারণে ওসব কিতাব থেকে আপনাদের দলীল দেয়ার কোন অধিকার নেই।

রইল হানাফীদের বিষয়; আমি কতটুকু ইনসাফের কথা বলেছি। তাদের বলেছি যে, আপনারা গায়রে মুকাল্লিদ তাই আপনাদের উপর আবশ্যক হল এমন কিতাব থেকে হাদীস দেখাবেন, যে কিতাবের সংকলক না মুজতাহিদ ছিলেন না মুকাল্লিদ ছিলেন। বরং তিনি গায়রে মুকাল্লিদ ছিলেন। এমনিভাবে আপনারা একথা আমাকেও বলতে পারেন যে, আমি দলীল কেবল ওসব কিতাব থেকে পেশ করবো যার সংকলক হানাফী। যদি হানাফী নিজেই শাফেয়ী বা অন্যান্য মাযহাবের সংকলকের কিতাব থেকে দলীল দেয় তাহলে সে মাযহাবের বড়ত্বের প্রমাণ। তাই আমাকে কেবল হানাফীদের সংকলনকৃত হাদীসের কিতাব থেকেই দলীল দিতে বাধ্য করবে। বলবে যে, আমি কেবল মুসনাদে ইমামে আজম, কিতাবুল আসার লি আবীইউসুফ, কিতাবুল আসার লিইমাম মুহাম্মদ, মুয়াত্তা মুহাম্মদ, কিতাবুল হুজ্জাত লিইমাম মুহাম্মদ, শরহু মাআনিল আসার লিততাহাবী, মাশকিলুর আসার লিততাহাবী ইত্যাদি কিতাব থেকেই দলীল দিতে পারবো। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, তারা হক ও ইনসাফকে মানলেতো!

অবশেষে আমি হাদীস পড়লামঃ রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ كل شرط ليس فى كتاب الله فهو باطلতথা প্রত্যেক ঐ শর্ত যা আল্লাহ কিতাবে নেই, তা বাতিল। {সিহাহ সিত্তাহ} আমি যখন বারবার হাদীসটি শুনাচ্ছিলাম। তখন নামধারী আহলে হাদীসদের ঘাম ঝরছিল। না পারছিল পালাতে না পারছিল কিছু বলতে। যদি হাদীস মানে, তাহলে তাদের শর্ত যাচ্ছে বাতিল হয়ে। আর যদি হাদীসটি অস্বিকার করে, তাহলে আহলে হাদীসের বদলে মুনকিরে হাদীস তথা হাদীস অস্বিকারকারী সাব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

এবার তাদের মিথ্যা আহলে হাদীস হওয়ার বিষয়টি একদম দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই বশীর কাসেমী সাহেব মিনতী করে বলেন যে, “শর্ত থেকে আমাদের বাঁচাও। আর মুনাজারা শুরু কর”।

এটা তাদের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের অপমানকর অবস্থা ছিল না?”

২য় পর্ব

0Shares

আরও জানুন

লাহনে জলী কিরাত পড়া ইমামের পিছনে ইক্তিদা করার হুকুম কী?

প্রশ্ন আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ প্রশ্নঃ হজরত মুফতি সাহেব দা:বা: আমার নাম মোহাম্মদ নুমান সিঙ্গাপুর থেকে| আমার …

10 comments

  1. jajakallah

  2. মাছুম বিল্রাহ

    জাঝাকাল্লাহ!! অসাধারণ !! অসাধারণ!!! অনেক অনেক ধন্যবাদ। মনটা ভরে গেল।

  3. batara ai sob jaygay tikte pare na kintu sadharon manush ke thik e bibranto kopre, mejaj to eikhanei kharap hoy

  4. Jazakallah

  5. Nice Answer

  6. Saheda Akther Mazumder.

    Tnx.

  7. Saheda Akther Mazumder.

    Zazakallah.

  8. মো: হাসান

    সুবহানাল্লাহ। জাঝাকুমুল্লাহু খয়রান মুফতি সাহেব

  9. খুবই ভালো লাগলো । আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন ।

  10. মাশা আল্লাহ
    অনেক সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

Leave a Reply to মোঃ সাইফুল ইসলাম Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *