প্রশ্ন
এ বিষয়ে সাপোর্ট ডকুমেন্ট এ্যাটাস্ট করা হয়েছে। প্লিজ ডাউনলোড করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক যন্ত্রণায় ভুগছি।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
শ্রদ্ধেয় শায়খ!
আমি (নাম ও ঠিকানা উহ্য রখা হলো)। আমার স্বামী- (নাম ও ঠিকানা উহ্য রাখা হলো), -এর সাথে ২০১১ সালে পারিবারিকভাবে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়। বিয়ের একমাস পর থেকে আমার শ^শুরবাড়িতে আমি নানাবিধ চারিত্রিক অপবাদের সম্মুখীন হই।
আমার স্বামী তখন ঢাকায় চাকরি করতো। কিছুদিন পর পর আমার কাছে আসতো, আমি তাকে চরম শারীরিক সুখ দিতে আগ্রহী ছিলাম। আমি কখনও তার কোনো প্রকার আবদার ও শারীরিক চাহিদা অপূর্ণাঙ্গ রাখিনি। তারপরও আমি বিভিন্ন সময় অনেক অপবাদমূলক কথা শুনে আসছি।
বিয়ের একবছর পর্যন্ত এভাবেই আমাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। একবছর পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে যৌনসুখ মুটামুটিভাবে পেয়েছি। তবে আমার চাহিদার তুলনায় কম। আমার বিয়ে হয় ১৬ বছর বয়সে, তখন তার বয়স ২৮ হবে। হঠাৎ করে বিয়ের একবছর পর তার শারীরিক শক্তি একেবারে চলে যায়। কেনো যায়, কী জন্য যায় তা আমি জানি না।
যাইহোক, আমি তাকে এরপর থেকে ডাক্তারের স্বরণাপন্ন করার অনেক চেষ্টা করে কখনও ব্যর্থ হয়েছি কখনও আমি নিজেই তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়েও গিয়েছি সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু সে কখনও স্বেচ্ছায় ডাক্তারের কাছে যেতে চায়নি। যতবারই আমি তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছি ততবারই আমি নিজে উদ্যোগী হয়েই নিয়েছি।
এভাবে ৭-৮ বছর তার সাথে আমি থাকি। সে আমাকে তখন থেকেই অদ্যাবধি ৫-১০ সেকেন্ডের বেশি যৌন সুখ দিতে পারেনি। এমনকি মাঝে মধ্যে এমনও হয়েছে যে, আমার যৌনাঙ্গে তার লিঙ্গ প্রবেশের আগেই তার বীর্য বের হয়ে গেছে। আমি একজন যুবতী নারী আমার পক্ষে এভাবে থাকাটা কতটা কষ্টকর তা শুধু একজন নারীই বুঝবে। যাইহোক এ নিয়ে আমাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অনেক দ্বন্ধ-কলহ লেগেই থাকতো। তবে আমি তার কোনো চাহিদা অপূর্ণাঙ্গ রাখিনি।
এছাড়া আমার অজান্তে আমি কখনও কোনো অনৈসলামিক কাজ করলেও সে আমাকে তেমন কোনো বাধা দেয়নি, আর এ সমস্ত শরীয়াতের কোনো জ্ঞানই তার নেই। অথচ আমার বাবা একজন ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল। এ কথাগুলো কখনও আমি আমার পরিবারের এমন কি আমার বন্ধু মহলেও কাউকে জানায়নি কোনোদিন।
যাইহোক, জীবনের এক পর্যায়ে এসে ২০১৯ সালে আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, আমি তার সাথে সম্পর্ক রাখবো না, তবে আমাকে সেই রকম পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এরপর থেকে আমি তার থেকে মুটামুটি দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতাম। এছাড়া সে বছর তিনেক আগে আমার অগোচরে আমাকে প্রেগনেন্ট করে দেয়, এটি সে নিজ মুখেও স্বীকার করেছে। তাই আমি যখন বুঝতে পারি সে এটা শয়তানী করে করেছে যাতে আমি তার থেকে বের হয়ে যেতে না পারি তখন ২ মাস পর আমি সেটা নষ্ট করে ফেলি।
এছাড়াও সে আমার সাথে অনেক অসদাচারণ করতো ও আমাকে কয়েকবার এমনভাবে প্রহারও করেছে যে আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি। এমনকি গত রমজান মাসে রোযা অবস্থায় সে আমাকে এমনভাবে আঘাত করেছে সমস্ত শরীরে যে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই এবং আমাকে মেরে ফেলতে আসে তখন আমি চিৎকার দেওয়ার কারণে পাশের বাসার লোক এসে আমাকে উদ্ধার করে।
আমি এই কষ্ট সহ্য করতে করতে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। অতীব দুঃখের বিষয় হলো এই অবস্থায় আমার বাবাকে বার বার ফোন করে আমি আমার বাসায় আনি, তখন সেও বাসায় ছিলো কিন্তু কখনও একটি প্রশ্নও ও শক্ত কথা আমার বাবা তাকে বলেনি।
২০২১ থেকে পুরোপুরিই আমি তার থেকে শারীরিক সম্পর্ক করা থেকেও বিরত থেকেছি অনেকদিন, একান্ত নিরূপায় হয়ে যখন আর পারিনি তার সাথে তখন শারীরিক সম্পর্ক করেছি তাও ৫-১০ সেকেন্ড।
এমতাবস্থায় ২০২৩ সালের ফেব্রæয়ারি মাস থেকে আমি তার সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক পুরোপুরিভাবে বর্জন করি, আর সেও তেমন জোর আমার সাথে আর করতো না কিন্তু এভাবে তো আর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক চলে না। তখন থেকে সেও চেয়েছে যে, আমার সাথে সংসার করবে না এবং উকিলের কাছে গিয়ে তালাক দিবে তাও বলেছে কয়েকবার।
আর মাঝে মধ্যে আমাকেও বলেছে তালাক দিয়ে দিতে। আমার বয়স এখন ২৮ বছর। তাই বিগত রমজান মাসে যখন সে আমাকে বেদম প্রহার করে আমি তখন থেকেই সিদ্ধান্ত পাকা করি যে তাকে তালাক দিবো। কিন্তু আমি অনেকবার তাকে বলেছি আমাকে তালাক দিতে কিন্তু সে নারাজ দিবে না, কারণ সে তালাক দিলে তাকে অনেক টাকা গুনতে হবে সেই ভয়ে।
তবে সে অনেকবার রাগের বসে ও অনেক সময় আমি ভালোভাবে বললেও সেও স্বাভাবিকভাবে বলেছে যে, আমি যেনো তাকে ডিভোর্স দিই।
উল্লেখ যে, বিগত মার্চ ২০২৩ থেকে তার সাথে আমার আর কোনো প্রকার শারীরিক সম্পর্ক তো দূরের কথা আমার শরীর স্পর্শ পর্যন্ত তাকে করতে দেইনি।
এরই মধ্যে কুরবানী ঈদের ২ মাস আগে সে আমাকে ছেড়ে মির্জাপুরের বাসায় চলে যায়, আর আমি চাকরির সুবাদে সফিপুর (চন্দ্রা) তে অবস্থান করি।
এইভাবে আমাদের জীবন চলতে থাকে। যখন তাকে বার বার ভালোভাবে বুঝিয়েও দুজনের সম্মতিতে তালাক করাতে পারিনি আর আমার পরিবারও আমার এই দুর্দশা দেখে খেল-তামাশা করে করেছে তারাও কোনো প্রকার ভ‚মিকা নেয়নি বরং সবাই আমাকে খারপ বলেছে যে, আমি এতদিন তাহলে কীভাবে থাকলাম?
শায়খ! উল্লেখ্য পরিশেষে আমার উপর এসকল নির্যাতন কখনও আমার বাবা-মা, ভাই ও আত্মীয়-স্বজনকে জানানোর পরও তারা কোনো প্রকার আমলে নেননি, আমি অসহায়ের মতো অবস্থায় থেকেই নিজের মতো এবং কয়েকজনের পরামর্শে এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি।
আমি বিয়ের পর থেকে কখনও এ সমস্ত কথা কাউকেই বলিনি। কিন্তু বিগত প্রায় তিন বছর আগে আমার একজন শিক্ষক যিনি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক তার সাথে প্রথম শেয়ার করি, তিনি বিষয়টি আমার বাবাকে নাম উল্লেখ না করে জানালে তিনিও ফতোয়া দেন যে, ঐ মেয়ে তালাকের হকদার। কিন্তু যখন তিনি শুনলেন যে, স্বয়ং তারই মেয়ের ব্যাপারে তখন থেকে তিনি কোনো প্রকার বসাবসিও করেননি এবং কোনো কার্যকরী পদক্ষেপও গ্রহণ করেননি।
উল্লেখ্য যে, আমার কাবিন নামার ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে কি না, সেখানে লেখা আছে “হ্যাঁ, ইসলামী বিধি মোতাবেক”।
তখন এক পর্যায়ে আমি একজন আলিমের পরামর্শে তাকে তার পূর্বের একাধিকবার মৌখিকভাবে সম্মতির ভিত্তিতে তাকে মোবাইলে মেসেজ লিখে খোলা তালাক প্রদান করি। যার ভাষ্য ছিলো এমন : “আমি শরীয়াত মোতাবেক তোমাকে একবছর সময় দেওয়ার পরিবর্তে ৯ বছর সময় দিয়েছি কিন্তু তোমার কোনো পরিবর্তন নেই এছাড়া কাবিন নামায় (কপি সংযুক্ত-১) ১৮ নং কলামের ভিত্তিতে আমি খোলা নেওয়ার হকদার। তাই আমি আমার নিজের নফসের উপর ১ তালাক, ২ তালাক ও ৩ তালাক গ্রহণ করলাম। আজ থেকে আমি আর তোমার স্ত্রী না, তুমিও আমার স্বামী না।” (উল্লেখ্য সে এখনও আামর মহর পূর্ণরূপে পরিশোধ করেনি।)
আমি তাকে এই মেসেজ দিই ২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯-২২ তারিখের মধ্যে। সে এই মেসেজ পাওয়ার পর আমাকে শুধু বলেছে যে, এটার দ্বারা কি তালাক হয়? তখন আমি বলেছি কয়েকজন মাওলানার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করো তাহলে উত্তর পেয়ে যাবে।
তখন সে এক মুফতীর কাছে গিয়ে যখন দেখেছে যে, সমস্যা তখন সে কাজ সমাধা না করে ফিরে আসে। যার অডিও রেকর্ড আমার কাছে বিদ্যমান। সে এই মেসেজ পাওয়ার পর আমার বাবাকে শুধু বলেছে যে, আপনার মেয়ে এটা আমাকে দিয়েছে কিন্তু আমার বাবা তাকে শুধু বলেছে যে, এটা নিয়ে তুমি কোনো চিন্তা করো না।
উল্লেখ্য যে, এই ঘটনার পর থেকে তার সাথে আমি কথা বলেছি ও দেখা করেছি এবং তার সাথে পূর্ণ এক সপ্তাহ একই বাসাতে ভিন্ন ভিন্নভাবে অবস্থানও করেছি কিন্তু সে কখনও নিজের থেকে আর কোনো প্রকার আগ্রহ দেখায়নি আর আমিও তাকে আর কিছু বলিনি। আমরা আলাদা বাসাতেই থাকতাম।
উপরুন্ত সে এগুলো মেনে নিয়েই দিনের পর দিন আলাদা থেকেছে। এ ব্যাপারে কারো কাছে প্রতিকারের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও গ্রহণ করেনি আর আমার পরিবারও না।
আরো উল্লেখ্য যে, আমি আলাদা বাসায় যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সে আমার কোনো খরচ বহন করে না, শুধু বাচ্চাদের খরচ বাবদ ১২-১৪ হাজার টাকা দিতো। এই মেসেজ দেওয়ার পর থেকে আর আমার ও আমার বাচ্চাদের কোনো প্রকার বহন করে না, এমনকি ঈদের সময় একটা কাপড় পর্যন্তও কিনে দেয়নি। আমি ঐ মেসেজ দেওয়ার পর থেকেই ইদ্দত মনে করে থাকি।
এরপর আমি চিন্তা করি যে, মেসেজ দ্বারা হয়তো শরীয়াতের দৃষ্টিতে তালাক হয়ে গেছে কিন্তু আমার বাচ্চাদের খরচ আদায় করার জন্য তো আমাকে কোর্টের আশ্রয় নিতে হবে তাই আবার গত আগস্টের ৩ তারিখ ঢাকা জজকোর্টে গিয়ে একজন উকিলের সহযোগিতায় কাজীর মাধ্যমে আমি তাকে তালাকে তাফবীজ চিঠি পাঠাই (কপি সংযুক্ত-২) এবং এই চিঠিতে স্বাক্ষর করার সময় তিন তালাকেরই নিয়ত করে স্বাক্ষর করি যার সাক্ষীও রয়েছেন। আমি তার কাছে স্বীকারও করেছি যে তিন তালাকের জন্যই দিয়েছি। কোর্টের কাজীর মাধ্যমে তালাকের চিঠি পাঠানোর পর এরই মধ্যে আমার দুটি পিরিয়ড চলে যায়।
এই দুটি পিরিয়ড চলে যাওয়ার পর তার পক্ষ থেকে উকিলের মাধ্যমে একটা নোটিশ আমি পাই যাতে লেখা আছে যে, “আমার মোয়াক্কেল (মাইদুল ইসলাম) আপনার পাঠানো তালাক নামা মেনে নিয়েছেন বলে আমি নথি সংরক্ষণ করলাম এবং এর একটি কপি আপনার নিকট প্রেরণ করলাম”। (কপি সংযুক্ত-৩)
শায়খ! উল্লেখ্য যে, যেহেতু মাইদুলের সাথে আমার বিগত ফেব্রæয়ারী-২০২৩ থেকে কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি আর এমনিতেই খোলা তালাকের ইদ্দত এক তুহুর তাই একটি পিরিয়ড অতিবাহিত হওয়ার পর মোবাইল ও তালাকে তাফবীজকে খোলা তালাক মনে করে ভিন্ন একজন পুরুষের সাথে বিয়ের মহর একটি উমরাহ পালনের শর্তকে নির্ধারণ করে ঘরোয়াভাবে ইজাব-কবুলের মাধ্যমে দুজনের সম্মতিতে বিবাহ করি এবং একে অপরকে স্বামী ও স্ত্রী স্বীকার করে আমরা একত্রে সংসার করতে থাকি।
যা আমার দ্বিতীয় স্বামীর সকল আত্মীয়, পরিবারের সদস্য, তার চাকরির স্থানের সকল কলিগ ও বিভিন্ন পরিচিতি মহল জানেন এবং আমারও কতিপয় কলিগকেও সরাসরি (দ্বিতীয় স্বামীকে সাথে নিয়ে) জানিয়েছি।
এটা আমার দ্বিতীয় স্বামী আমার বাবা ও ভাইকে জানিয়েছেন এবং মেসেজটি দিয়েছেন, তারাও মেসেজটি দেখেছেন। যদিও আমি আমার বাবার কাছে এখনও স্বীকার করিনি। তবে আমি তাদেরকে দৃঢ়ভাবে বলে দিয়েছিলাম যে, পরবর্তীতে বিয়ে হলে আমি তাকেই (বর্তমান দ্বিতীয় স্বামীকে) করবো।
এখানে একটি কথা বলা জরুরী যে, আমাদের বিয়ের তাৎক্ষণিক কোনো লোক সাক্ষী ছিলো না, কিন্তু আমরা বিষয়টি প্রচার করি কখনও গোপন করিনি। যেহেতু সাক্ষী ছাড়াও যদি প্রচার করা হয় বিয়ের খবর তাহলেও বিয়ে সহীহ হয়ে যাওয়ারও মত রয়েছে সাহাবা ও ইমামগণের। যেমন :
القول الثاني: النكاح جائز بغير شهود. القائلون به: ابن عمر، والحسن بن علي رضي الله عنهم، وعبد الله بن إدريس، وعبد الرحمن بن مهدي، ويزيد بن هارون، وأبو ثور، وعبيد الله بن الحسن، وابن المنذر. ৫৩-৬১
এবং এ ক্ষেত্রে তারা কুরআন ও হাদীসেরও বেশ কয়েকটি দলীলও পেশ করেছেন বিভিন্ন কিতাবে।
এছাড়া ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ.সহ কয়েকজন জগতবিখ্যাত মনীষীর বক্তব্যও এমন রয়েছে যে,
وقد لخص شيخ الإسلام رحمه الله مسألة الإشهاد والإعلان بقوله : ” لا ريب في أن النكاح مع الإعلان يصح وإن لم يشهد شاهدان . وأما مع الكتمان والإشهاد : فهذا مما ينظر فيه .
قال الشيخ ابن عثيمين رحمه الله : ” وقال بعض العلماء : إنه يشترط إما الإشهاد وإما الإعلان ، أي الإظهار والتبيين ، وأنه إذا وجد الإعلان كفى.
قال ابن قدامة في المغني (৬/৩১৫): وعن أحمد أنه يصح بغير شهود وفعله ابن عمر والحسن بن عليৃ ثم قال: قال ابن المنذر: لا يثبت في الشاهدين في النكاح خبر.
وقال ابن عبد البر: قد روي عن النبي ্রلَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيّ عَدْلٍগ্ধ من حديث ابن عباس وأبي هريرة وابن عمر إلا أن في نقله ذلك ضعيفًا فلم أذكره.
قال ابن حزم في المحلى (৯/৪৮): ولا يتم النكاح إلا بإشهاد عدلين فصاعدًا أو بإعلان عام، فإن استكتم الشاهدان لم يضر ذلك شيئًا.
قال شيخ الإسلام ابن تيمية في مجموع الفتاوى (৩২/১২৮):واشتراط الإشهاد وحده ضعيف، ليس له أصل في الكتاب ولا في السنة، فإنه لم يثبت عن النبي فيه حديث.
এই জন্য আমরা তাৎক্ষণিক কিছু জটিলতার কারণে এবং আমাদের মধ্যে পাপ যাতে না হয় ৭-১০ দিনের মতো বিয়ের বিষয়টি গোপন করে পরে সকলকে জানিয়ে দেই। এবং খুব দ্রæত লিখিতভাবে রেজিস্ট্রি বিয়ে করে নিবো বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
এরপর আমি আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে একটু মনোমালিন্য হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে কোনো প্রকার তালাক ছাড়াই আবার প্রথম স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে ১৭.১০.২০২৩ তারিখ কোর্টে গিয়ে তালাক উইথড্র করি এবং বিবাহ নবায়ন করি। (কপি সংযুক্ত-৪)
তবে সেটা তার সাথে স্থায়ীভাবে থাকবো সে ইচ্ছা ছিলো না।
এরপর একসপ্তাহ আমার সেই প্রথম স্বামীর সাথে একই বাসাতেই থাকি তবে আমদের কোনো যৌন সম্পর্ক হয়নি, এমনকি আমি কখনও আমার হাত পর্যন্তও তাকে স্পর্শ করতে দিতাম না। আমি আলাদা রুমেই থাকতাম, শুধু প্রয়োজনীয় ও জরুরী কথা ছাড়া তেমন কথাও আমাদের মধ্যে হতো না।
এর মধ্যে অন্য একটি মেয়ের সাথে তার কথা বলা নিয়ে এক পর্যায়ে সে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে আমাদের নিজেদের বাড়ি মিজাপূরে থাকতে শুরু করে।
এ অবস্থায় আমি তাকে বলি তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, আমরা মিউচুয়ালী তালাক করি চলো। তাকে বার বার বলাতে একপর্যায়ে ১৯.১১.২০২৩ আবার প্রথম স্বামী (মাইদুল)-এর সাথে কাযীর কাছে গিয়ে উভয়ে খোলা তালাকের নোটিশে স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে স্বজ্ঞানে স্বাক্ষর করি।
উল্লেখ যে, ঐ সময় আমার পিরিয়ড চলছিলো। আর যেহেতু পিরিয়ড চলাকালীন অবস্থায় খোলা তালাক করানো যায় তাই সেটা আমার কাছে বৈধ বলে মনে হয়েছে।
এরপর আমি ও আমার দ্বিতীয় স্বামী উভয়ে মিলে আমাদের বিষয়টি প্রশ্ন আকারে একটি ইফতাবোর্ডে পাঠাই, সেখান থেকে ফতোয়া দেয় যে, আমার প্রথম স্বামীর সাথে আমার তিন তালাক হয়ে গিয়েছে।
তাই ১৯.১১.২৩ তারিখ উভয়ের মিউচুয়ালী তালাক হয়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয় স্বামী যেহেতু বৈধ হয়েছে তাই তার সাথে যোগাযোগ করে আবার তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি এবং একই সাথে রাত্রিযাপন করতে থাকি।
এরপর ২০২৩ এর নভেম্বর মাসের শেষের দিকে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তার কর্মস্থলের কাছে বাসা ভাড়া নিয়ে একটু মনোমালিন্য হওয়ায় আবার প্রথম স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে কোনো প্রকার তালাক ও প্রথম স্বামী (মাইদুলের) এর সাথে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই তার সাথে একই বাড়িতে মির্জাপুরে অবস্থান করি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে।
আমাদের বিগত একবছর যাবত কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি এবং অন্তরঙ্গভাবে স্পর্শও কেউ কাউকে করিনি। কারণ আমি আমার দ্বিতীয় স্বামীকেই বৈধ বলে মনে করতাম।
এরপর আমি আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথেই স্বাভাবিকভাবে যোগাযোগ করি এবং সে আমার প্রথম স্বামীর সেই বাসাতেও যাতায়াত করতো তার অজান্তে।
সর্বশেষ বিগত ০১.০১.২০২৪ তারিখ আমার প্রথম স্বামীর বাসা থেকে আমার সমুদয় মালামাল নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর কর্মস্থলের নিকটবর্তী এলাকাতেই একটি বাসায় চলে আসি এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করি।
এরপর বিগত ১৬.০১.২০২৪ তারিখ আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে (তার সাথে এক জায়গায় যাওয়ার কথা হয়, কিন্তু আমি তার আগের দিন রাতে তার সাথে একটু রাগ হওয়ায় তার অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে বের হয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার কারণে তিনি আমাকে বলেন আমি অপরাধ করছি, আমি বললাম আমি কোনো অপরাধ করিনি, তখন তিনি রেগে গিয়ে বলেন : তাই যদি হয় তাহলে তো এমন বউয়ের আমার কোনো দরকার নেই।
এ নিয়ে) মনোমালিন্য হওয়ার কারণে নিজের জিদ ও শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় আমি আবার প্রথম স্বামীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করি এবং দ্বিতীয় স্বামীর অমতে বাসা থেকে সমুদয় মালামাল নিয়ে প্রথম স্বামীর সহযোগিতায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠি এবং বর্তমানে প্রথম স্বামীর সাথে এক বাসাতেই অবস্থান করছি।
উল্লেখ্য যে, আমার প্রথম স্বামীর সাথে আমার শেষের তালাক হওয়ার পর এখন বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই একই বাসাতে থাকি এবং আমরা একে অপরকে দেখা দিই, কথা বলি এবং সহবাসও করেছি কয়েকবার।
বিষয়টি আমার দ্বিতীয় স্বামী আমাকে বার বার বুঝানোর চেষ্টা করছেন, এবং বলছেন যে, আমি প্রতি মুহুর্তে যিনা করছি।
এ ছাড়া তিনি আমাকে কুরআন-হাদীস দিয়েও অনেক বুঝানোর করলেও আমি শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় বুঝতে চেষ্টা করছি না। দ্বিতীয় স্বামী আমাকে আবার তার সাথে থাকার জন্য জোরালো চাপ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন : আমি নাকি যিনা করছি প্রতি মুহুর্তে এবং দ্রæত চলে আসার জন্য বলছেন বার বার। আমিও আমার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গ ছাড়া আমার জীবন জীবন্ত লাশের মতো হয়ে যাবে।
আরো উল্লেখ্য যে, আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সকল ঘটনা আমার প্রথম স্বামীর কাছে আমি কোনোদিনই বলিনি ও তিনি জানেন না। তবে আমার বাবা মা মুটামুটি বিষয়টি জানেন।
শ্রদ্ধেয় শায়খ! আমার উল্লিখত বক্তব্যের আলেকে আমার জিজ্ঞাসা :
১. ইসলামী শরীয়াতের বিধানে কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর যৌন চাহিদা মেটাতে না পারলে তাকে চিকিৎসার জন্য ১ বছর সময় দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু আমি তাকে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ কমপক্ষে ৯ টা বছর সময় দিয়েছি। সে আমাকে কখনও তালাক দিবে না যা বার বার ওয়াদা করেও ভঙ্গ করেছে এবং আমার বাবাও আমাকে বার বার ওয়াদা করে ভঙ্গ করেছেন এরপর আমার খোলা তালাক নেওয়ার অধিকার আছে কি-না?
২. যদি আমি খোলা নেওয়ার অধিকার রাখি তাহলে মোবাইলে যে, আমার নফসের উপর তিন তালাক দেওয়ার যে খোলা তালাকের মেসেজ দিয়েছি তার দ্বারা আমার উপর তালাক পতিত হয়েছে কি-না?
৩. এছাড়া কের্টের উকিলের মাধ্যমে কাজীর দ্বারা যে (তিন তালাকের নিয়তে) তালাক নামা পাঠিয়েছি এবং সে ( প্রথম স্বামী) যে তালাক গ্রহণের নোটিশ আমার কাছে পাঠিয়েছে এবং আমি তা পড়েছি এবং মেনে নিয়েছি, এর দ্বারা আমার উপর তালাক পতিত হয়েছে কি-না? যদি তালাক পতিত হয় তাহলে কয় তালাক পতিত হয়েছে? উল্লেখ্য যে, আমি এই তালাক নামা পাঠানোর পর দুটি পিরিয়ড চলে যাওয়ার পর সে আমাকে তালাক গ্রহণ করেছে বলে চিঠি দেয়।
৪. আমি তাকে মোবাইলের মেসেজে ও কাজীর মাধ্যমে তালাকে তাফবীজের যে চিঠি পাঠিয়েছি এবং সে সেই তালাকের নোটিশ মেনে নিয়ে যে চিঠি দিয়েছে তাতে যদি সত্যিই তালাক পতিত হয় তাহলে তা ফেরত নেওয়ার কোনো বিধান ইসলামে আছে কি-না?
৫. আমি যখন তালাক নামায় স্বাক্ষর করি (আর সেখানে লেখা ছিলো আমি আমার নফসের উপর তালাকে তাফবীজ গ্রহণ করিলাম), তখন তিন তালাকের নিয়তই করেছি। আর আমার স্বামী তা গ্রহণ করেও আমাকে চিঠি দিয়েছেন। তাহলে তিন তালাক পতিত হয়েছে কি-না?
৬. আর মোবাইলের মেসেজের তালাককে কেন্দ্র করে নির্ধারিত দিন পরে একটি উমরাহকে মহর নির্ধারণ করে যে বিবাহ করেছি এবং তা কয়েকজন ব্যক্তিকেও জানানো হয়েছে সে বিয়ে সহীহ হয়েছে কি-না?
৭. যদি প্রথম স্বামীর সাথে আমার তিন তালাক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে সহীহ হয়ে থাকে আমি এখন দ্বিতীয় স্বামীর কাছে যেতে পারবো কি-না?
৮. আমি এখন আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে যে জিদ করে প্রথম স্বামীর কাছে পূর্বের স্বামীর কাছ থেকে কোনো প্রকার তালাক ও প্রথম স্বামীর সাথে কোনো প্রকার বৈবাহিক সম্পর্ক ব্যতীত একই বাসাতে অবস্থান করছি এতে আমার গোনাহ হচ্ছে কি না?
৯. আমি দ্বিতীয়বার স্বামী-স্ত্রীর সম্বয়ে কাজীর কাছ থেকে যে খোলা তালাক করিয়েছি তাতে আমাদের মধ্যে হুরমত সাব্যস্ত হয়েছে কি না?
১০. আমি আমার দ্বিতীয় স্বামীর কাছ থেকে শরীয়াতের কোনো কারণ ছাড়াই কোনো খোলা তালাক করতে পারবো কি না? সে আমাকে ছাড়তে চায় না। সে আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে।
১১. আমি এখন যে অবস্থায় আছি তাতে আমার কোনো গুনাহ হচ্ছে কি-না?
প্রিয় শায়খ! এই মুহুর্তে আমার উপরিউক্ত বক্তব্যের আলোকে শরীয়াতের সঠিক সিদ্ধান্ত ও বিধান রেফান্সে হাওয়ালাসহ জানতে চাই। আপনারা অনেক অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞজন, মহান আল্লাহ আপনাদেরকে কুরআন হাদীসের সঠিক ইলম দান করেছেন আলহামদু-লিল্লাহ। তাই ইসলামের বিধান অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্তটি জানানোর জন্য আপনার কাছে আমি জোর আরজী জানাচ্ছি।
মা‘আস্সালাম
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শ্রদ্ধেয় বোন আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া অপ্রয়োজনীয়। আমরা শুধুমাত্র মূল বিষয়ের উত্তর প্রদান করছি।
আপনার প্রথম স্বামীর সাথে আপনার তিন তালাক সম্পন্ন হয়ে গেছে।
আর দ্বিতীয় কথিত স্বামীর সাথে কোন প্রকার বিবাহ সম্পন্ন হয়নি। কারণ, বিয়ে শুদ্ধ হবার জন্য বর ও কনে ছাড়া দুইজান প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ, বা দুইজন মহিলা ও একজন পুরুষ যারা প্রাপ্ত বয়স্ক এবং মুসলিম হবেন উপস্থিত থাকা আবশ্যক। যারা সকর্ণে বর ও কনের ইজাব এবং কবুল একই মজলিসে শুনতে হবে।
তাহলেই কেবল বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় না। যারা বলেছেন: ‘সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় পরবর্তীতে জানিয়ে দিলেই হবে’ তাদের বক্তব্যটি ভুল। শুধু ভুল নয় মারাত্মক ভুল।
সুতরাং আপনার বিবরণ অনুপাতে আপনার প্রথম স্বামীর সাথে তালাকতো হয়ে গেছে তিনটা। সেই সাথে তিন হায়েজ তথা ইদ্দত ও সম্পন্ন হয়ে গেছে। সুতরাং এখন আর তার সাথে সংসার করা কোনভাবেই জায়েজ হচ্ছে না। তার সাথে থাকার দ্বারা আপনি যিনার গোনাহে লিপ্ত আছেন।
প্রথম স্বামীর সাথে আবার ঘর সংসার করতে হলে আপনার অন্যত্র যদি শরয়ী শর্ত অনুপাতে বিয়ে হয়, তারপর সেখানে সহবাসসহ ঘরসংসার করেন। কোন কারণে স্বামী মারা যায়, বা তালাক দেয়, তাহলে ইদ্দত শেষে আবার প্রথম স্বামীকে নতুন মোহর ধার্য করে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিয়ে করতে পারবেন। এছাড়া তার সাথে থাকার ও সংসার করার কোন সুযোগ নেই।
আর দ্বিতীয় কথিত স্বামীর সাথেও যেহেতু শরয়ী শর্তানুপাতে বিয়েই হয়নি, তাই তার সাথে সংসার করাও হারাম ও যিনার গোনাহ হচ্ছে।
তবে আপনি এখন প্রথম স্বামী থেকে পৃথক হয়ে যদি শরয়ী সাক্ষীদ্বয়ের উপস্থিতিতে মোহর নির্ধারণ করে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বিয়ে করে নেন, তাহলে তার সাথে সংকার করা জায়েজ হবে। এছাড়া তার সাথে সংসার করা বা দেখা দেয়া কোনটাই জায়েজ নয়।
আপনার বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর নিষ্প্রয়োজন বলে এড়িয়ে যাওয়া হলো।
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ (سورة البعرة-٢)
وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك (صحيح البخارى-2/792، 2/803)
عن عائشة رضى الله عنها قاتل: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذا طلق الرجل امرأته ثلاثا لم تحل له حتى تنكح زوجا غيره، ويذوق كل واحد منهما عسليلة صاحبه (سنن الدار قطنى، كتاب الطلاق، دار الكتب العلمية-4\21، رقم-3932)
الثالث: أن يكون الغضب وسطابين ا لحالتين بأن يشتد ويخرج عن عادته، ولكنه لا يكون كالمجنون الذى لا يقصد ما يقول ولا يعلمه، والجمهور على أن القسم الثالث يقع به الطلاق (كتاب الفقه على المذاهب الأربعة-4/294)
وإن كان الطلاق ثلاثا فى الحرة، وثنتين فى الأمة لم تحل له حتى تنكح زوجا غيره نكاحا صحيحا ويدخل بها، ثم يطلقها، أو يموت عنها (الفتاوى الهندية-1\478، جديد-1\535، مجمع الأنهر، دار الكتب العلمية بيروت-2/88، الفتاوى التاتارخانية-5/147، رقم-7503، البحر الرائق، زكريا-4/94، كويته-4/56)
أما المطلقات الثلاث فحكمها الأصلى هو زوال الملك وزوال حل المحلية أيضا حتى لا يجوز له نكاها قبل التزوج بزوج آخر، لقوله تعالى: فإن طلقها فلا تحل له حتى تنكح زوجا غيره (بدائع الصنائع، زكريا-3/295)
ومبدء العدة بعد الطلاق وبعد الموت على الفور، تنقضى العدة وإن جهلت المرأة بهما أى بالطلاق والموت (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-5/202، كرتاشى-3/520)
ابتداء العدة فى الطلاق عقيب الطلاقب، وفى الوفاة عقيب الوفاة، فإن لم تعلم بالطلاق أو الوفاة حتى مضت مدة العدة فقد انقضت عدتها (الفتاوى الهندية-1/531-532، جديد-1/584)
عن عمران بن الحصين رضى الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا نكاح إلا بولى، وشاهديى عدل (مصنف عبد الرزاق-6/195، رقم-10473، المعجم الكبير للطبرانى-18/142، رقم-299)
عن عائشة رضى الله عنها، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا نكاح إلا بولى، وشاهدى عدل، وما كان من نكاح على غير ذلك، فهو باطل (صحيح ابن حبان-4/310، رقم-4077، المعجم الأوسط-6/428، رقم-9291، سنن الدار قطنى-3/155، رقم-3481)
وشرط حضور شاهدين حرين أو حر وحرتين، مكلفين، سامعين قولهما معا على الأصح فاهمين مسلمين (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-4/87-92، كرتاشى-3/21-23، هداية-2/307)
ولا ينعقد نكاح المسلمين إلا بحضور شاهدين، عاقلين بالغين مسلمين رجلين أو رجل وامرأتين (هداية-2/306، البحر الرائق-3/155)
ولا ينعقد نكاح المسلمين إلا بحضرة شاهدين حرين مسلمين بالغين الخ (الجوهرة النيرة، كتاب النكاح، امدادية ملتان-2/66، دار الكتاب ديوبند-2/64-65)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– [email protected]