প্রশ্ন
Md Nizam Uddin
শিয়াদের মৃত্যুতে ইন্না-লিল্লাহ বলা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শিয়াদের অনেক প্রকার আছে। যে সমস্ত শিয়ারা কাফের। যেমন যারা মুসলমানদের কালিমার সাথে কালিমার শব্দ বৃদ্ধি করে, কুরআনকে বিকৃত মনে করে, হযরত আবূ বকর রাঃ, উমর রাঃ, উসমান রাঃ, মুয়াবিয়া রাঃ, আম্মাজান আয়শা রাঃ সহ সাহাবাগণকে কাফের বলে। এ সমস্ত শিয়ারা কাফের।
তাদের বিধান আর কাফেরের বিধান একই।
অমুসলিম বা কাফেরের ইন্তেকালে ইন্নালিল্লাহ বলা জায়েজ আছে। কারণ:
১ উপরোক্ত বাক্যে আল্লাহ তাআলা একত্ববাদ এবং আখেরাতের স্মরণের কথা আছে। যে কোন মানুষের মৃত্যুই উক্ত বিষয়ের স্মরণ হতে পারে।
২ যে কোন মানুষের মৃত্যুই আমাদের নিজ মৃত্যুর কথা স্মরণ করায়। সেই হিসেবে উপরোক্ত বাক্য মুসলিম অমুসলিম সবার ক্ষেত্রেই মৃত্যুকে স্মরণ করানোর ক্ষেত্রে বরাবর।
৩ এ কালিমা যে কোন বিপদ ও মুসিবতের সময়ই পড়া যায়। এর মাঝে বিপদগ্রস্ত বা মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তির ঈমান ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলা হয় না।
৪ এর অর্থ হলো: ‘নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা প্রত্যাবর্তন করবো’।
সুতরাং এ বাক্যের মাঝে মুসলিম অমুসলিম কারো ক্ষেত্রে পড়ার কোন বাধ্যবাধকতা থাকার যৌক্তিকতা কুরআন ও হাদীসে, কিংবা ফিক্বহের কিতাবে উদ্ধৃত হয়নি।
সুতরাং শিয়া বা যে কোন কাফেরের ইন্তেকালে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন’ পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
তবে উক্ত কাফেরকে মুসলমান মনে করে পড়া হারাম। যদি কাফেরকে মুসলমান মনে করে পড়ে, তাহলে উক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে কুফরীর শংকা রয়েছে।
তবে না পড়াই উত্তম হবে যদি, কাফেরকে মুসলমান মনে করার শংকা তৈরী হয়।
সেই সাথে মনে রাখতে হবে যে, কোন কাফেরের জন্য মাগফিরাতের দুআ করা, কিংবা জান্নাতপ্রাপ্তির দুআ করা হারাম। এটা জায়েজ নয়।
তবে যে সমস্ত শিয়ারা কাফের নয়, তাদের জন্য ইন্নালিল্লাহ পড়া এবং তাদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করা যাবে।
قال اللہ تعالیٰ : ﴿وَ لَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَ الْجُوعِ وَ نَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَ الْأَنْفُسِ وَ الثَّمَرَاتِ وَ بَشِّرِ الصَّابِرِينَ، الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَ إِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ﴾ (البقرة: 155، 156)
و في تفسير روح المعاني : و المصيبة تعم ما يصيب الإنسان من مكروه في نفس أو مال أو أهل- قليلا كان المكروه أو كثيرا- حتى لدغ الشوكة ، ولسع البعوضة ، و انقطاع الشسع، و انطفاء المصباح ، و قد استرجع النبي صلى الله تعالى عليه و سلم من ذلك و قال: «كل ما يؤذي المؤمن فهو مصيبة له و أجر» اھ (1/ 421)
و قال اللہ تعالیٰ : ﴿مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَ الَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَ لَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ﴾ (التوبة: 113)
و في تفسير القرطبي : تحت هذه الآية تضمنت قطع موالاة الكفار حيهم و ميتهم فإن الله لم يجعل للمؤمنين أن يستغفروا للمشركين فطلب الغفران للمشرك مما لا يجوز . (8/ 273)
و في الفقه الإسلامي و أدلته : و قال الحنابلة: تحرم تعزية الكافر ؛ لأن فيها تعظيماً للكافر كبداءته بالسلام اھ (2/ 684)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com