তি
মুহতারাম, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
প্রচলিত ফ্ল্যাট বন্ধকী যে নিয়মে চলছে তা শরীয়ত মোকাবেক কতটুকু সহীহ জানার ছিল।
প্রশ্ন ঃ ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকায় তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট তিন বছরের জন্য বন্ধক নেয়া হল। শর্তানুযায়ী আগামী তিন বছর বন্ধক গ্রহীতা উক্ত ফ্ল্যাটটি ব্যবহার অথবা ভাড়া দিতে পারবেন। ফ্ল্যাটের বিদুৎ বিল বন্ধক গ্রহীতা পরিশোধ করিবেন। বন্ধক দাতা ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) নগদ এককালীন নিয়ে নিছেন।
তিন বছর পরে বন্ধক দাতা তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে ফ্ল্যাট বুঝে নিবেন। বন্ধক গ্রহীতা পুরো তিন লক্ষ টাকা পেলেন এবং তিন বছর ফ্ল্যাটটি এককভাবে ভোগ করলেন।
আমার প্রশ্ন হল উপরোক্ত শর্তানুযায়ী এই বন্ধকি চুক্তিনামা জায়েজ হবে কি না?
আরা আমার একটি কম্পিউটারের দোকন আছে, বন্ধকি চুক্তিনামার লেখক হিসাবে আমি কি কোন সুদের লেখকের মধ্যে পরি কি না?
জানালে খুব উপকৃত হতাম।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উপরোক্ত পদ্ধতিতে টাকা ঋণ দিয়ে ফ্ল্যাট বন্ধক নিয়ে তা ব্যবহার করা ঋণের উপর উপকার গ্রহণ এবং আমানতের সম্পদে হস্তক্ষেপ হওয়ায় তা নাজায়েজ ও হারাম।
তাই এহেন লেনদেন সূদী লেনদেনের আওতাভূক্ত হওয়ায় তা লিপিবদ্ধকারীও সুদ লিপিবদ্ধকারীর উপর হাদীসে বর্ণিত অভিশাপের অন্তর্ভূক্ত হবে।
لا يحل للمرتهن ان ينتفع بشيئ منه بوجه من الوجوه وإن أذن له الراهن لأنه اذن له فى الربا لأنه يستوفى دينه كاملا فتبقى له المنفعة فضلا فتكون ربا وهذا أمر عظيم (رد المحتار، كتاب الرهن-10\83، 7\395، مجمع الأنهر-2\588، 4\283-284)
وليس للمرتهن أن ينتفع بالرهن لا بالاستخدام ولا سكنى ولا لبس (هداية-4\522)
وليس للمرتهن الانتفاع بالرهن لان حق المرتهن الحبس إلى ان يستوفى دينه دون الانتفاع (مجمع الانهر-4\273، 2\587)
كل قرض جر نفعا حرام أى إذا كان مشروطا (رد المحتار، زكريا-7/395، كرتاشى-5/166)
كل قرض جر منفعة فهو وجه من وجوه الربا (تكملة فتح الملهم، كتاب المساقات والزارعة، مكتبة دار العلوم كرتاشى-1/575)
الربا هو القرض على أن يؤدى إليه أكثر أو افضل مما أخذ (حجة الله البالغة، الربا سحت باطل-2/282)
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com