প্রশ্ন:
Minhaz Ahmed
Dear concern ,
Assalamu Alaikum. its very urgent for me to know 3 masala…my masala to know that
1) jodi ekjon muslim emon kono kotha bole/kaz kore jate tar “imaan” chole jai sei khetre ki kora uchit?? sudhu ::”Towba” korle-i hoi naki Notun Kore kolema porte hoi??
2)Jodi eki vul kaz Towba korar poro abar kore & again abar Towba kore/ kolema pore tahole ki seta thik hoi??
3) Jodi Towba korlei hoye jai tahole to valo,, kintu jodi Notun Kore kolema porte hoi tahole ki ”ozu” kore porte hobe?? kau jodi ozu na kore-i kolema pore tahole in this case seta ki appropriate hoi?? Muslim der jonno Imaan anar jonno jodi kolema porte hoi tahole ki ozu kora joruri???
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মুখ দিয়ে কুফরী কথা বললে সাথে সাথেই তওবা করতে হবে। কুফরী কথা বললে ঈমান চলে যায়, তাই নতুন করে কালিমায়ে শাহাদাত পড়তে হবে। মুসলমান কুফরী করার পর কালিমায়ে শাহাদত পড়ে তওবা করার জন্য অজু-গোসলের প্রয়োজন নেই। গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে নিজে নিজে কালিমা পড়ে ভবিষ্যতে এমন গোনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করলেই ইনশাআল্লাহ তওবা সম্পন্ন হয়ে যাবে। যতবার গোনাহ করবে, ততবারই তওবা করতে হবে। কুফরী খুবই মারাত্মক গোনাহ। তাই বারবার এমন করা কিছুতেই উচিত নয়। আল্লাহ না করুন, কুফরী অবস্থায় মৃত্যু হলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যাবে।
وإسلامه أن يأتي بكلمة الشهادة ويتبرأ عن الأديان كلها سوى الإسلام وإن تبرأ عما انتقل إليه كفى (الفتاوى الهندية، كتاب السير، الباب التاسع في أحكام المرتدين-2/253
ব্যক্তি ইসলামে ফিরে আসবে কালিমায়ে শাহাদাত পড়ার দ্বারা এবং ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম থেকে নিজেকে মুক্ত করার দ্বারা। আর যে কাজটি করেছিল তা থেকে ফিরে আসলেই যথেষ্ঠ। {ফাতওয়া আলমগীরী-২/২৫৩}
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧]وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ।
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
তওবা করার পদ্ধতি হল–
সুতরাং বুঝা গেল গোনাহ করে ফেললে মাফ করানোর পদ্ধতি হল খালেস দিলে তওবা করা। তওবা সহীহ হবার জন্য ৩টি শর্ত। যথা-
১-সাথে সাথে গোনাহের কাজটি ছেড়ে দিতে হবে।
২-ভবিষ্যতে এই গোনাহটি না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
৩-গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এই ৩টি শর্ত পাওয়া গেলে তওবা সঠিক হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।
عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يلج النار رجل بكي من خشية الله حتى يعود اللبن في الضرع ولا يجتمع غبار في سبيل الله ودخان جنهم
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-“যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করে সে ব্যক্তিকে (জাহান্নামের) অগ্নি স্পর্শ করা সম্ভব নয় যদিও দোহনকৃত দুধ উলানে ফিরানো সম্ভব হয়। আর জাহান্নামের ধোঁয়া এবং আল্লাহর পথে (চলার কারণে) উড়ন্ত ধুলি কখনো একসাথে হতে পারেনা। (নাসায়ী শরীফ, হাদিস নং-৩১০৮, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৬৩৩, ২৩১১, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪২৭)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।