প্রচ্ছদ / কুরবানী/জবেহ/আকীকা / কুরবানীর সামাজিক ভাগের গোস্তের বিনিময়ে ইমামের জন্য টাকা হাদিয়া গ্রহণ কতটুকু শরীয়তসম্মত?

কুরবানীর সামাজিক ভাগের গোস্তের বিনিময়ে ইমামের জন্য টাকা হাদিয়া গ্রহণ কতটুকু শরীয়তসম্মত?

প্রশ্ন

প্রশ্নকারীর নাম: মোঃ আশিকুর রহমান

ঠিকানা: ২৮/৭, বাইগেরটেক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

জেলা/শহর: ঢাকা

দেশ: বাংলাদেশ

প্রশ্নের বিষয়: কুরবানি

বিস্তারিত:
—————-
আসসালামু আলাইকুম শাইখ, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।
আমার একটা প্রশ্ন ছিল আশা করি উত্তর দিবেন।

প্রশ্নঃ আমাদের গ্রামে কুরবানির সময় সমাজের জন্য একটি ভাগ প্রত্যেক পশু থেকে রাখা হয় যা সমাজের সকলের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে উক্ত মাংস নিতে হলে সবাইকে মাথা পিছু ৪০ টাকা করে দিতে হয় মানে যদি কোন পরিবারে ৬ জন সদস্য থাকে তাহলে তাকে ২৪০ টাকা দিয়ে তা নিতে হয়। উক্ত টাকা ইমাম সাহেবকে প্রদান করা হয়। কারণ অন্য সময় ইমাম সাহেবের বেতন তুলতে গেলে অনেকে গরিমসি করে থাকে। এখন এভাবে কুরবানির মাংসের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করলে কি কুরবানির কোন ক্ষতি হবে এবং ইহা কি জায়েজ হবে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

কুরবানী শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এভাবে গোস্তের বিনিময়ে ইমামের হাদিয়া গ্রহণটি দু’টি কারণে নাজায়েজ। যথা-

১ এর মাঝে কুরবানীর গোস্ত বিক্রির সাদৃশ্য রয়েছে। আর কুরবানী গোস্ত বিক্রি করলে সেই টাকা দান করে দেয়া আবশ্যক।

২ বাধ্য করে কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করা জায়েজ নয়।

এ দুই কারণে উপরোক্ত পদ্ধতিতে ইমামের জন্য হাদিয়া গ্রহণটি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে নাজায়েজ ও হারাম হবে।

فإن باع الجلد أو اللحم به أى بمستهلك أو بدراهم تصدق بثمنه (إعلاء السنن، كتاب الأضحية، باب جلد الأضحية، كرتاشى-17/262، دار الكتب العلمية بيروت-14/285)

لو باع اللحم يتصدق بثمنه (الفتوى الولوالجية-3/77)

ولو باع الجلد واللحم بالدراهم أو بما لا ينتفع به إلا بعد استهلاكه تصدق بثمنه (هداية، كتاب الأضحية، أشرفية-4/450، رد المحتار، زكريا-9/475، كرتاشى-6/328)

ليس لأحد أن  يأخذ مال غيره بلا سبب شرعى (شرح المجلة الأحكام  العدلية، رستم باز-1/62، رقم-97، قواعد الفقه-110، رقم-269، الموسوعة  الفقهية الكويتية-21/112)

لا يحل لمسلم أن يأخذ ما أخيه بغير حق (مجمع الزوائد-4/171)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *