প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম,
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য অনার্স মাস্টার্স শেষ করে চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আজকে খুব সংক্ষেপে আপনার কাছে দিশেহারা জীবনের ভয়ানক এক্টি অধ্যায়ের কথা শেয়ার করতে এসেছি।
প্রথমেই বলে নেই, আমি এই পাপের যাত্রায় নিদারুণ ক্লান্ত, বিষন্ন ও বিপর্যস্ত।
আমি ক্লাস এইট থেকে হস্তমৈথুনে ভয়ানকভাবে আসক্ত। সেই প্রায় ৮/৯ বছর থেকে এমন কোন দিন নাই আমি হস্তমৈথুন ছাড়া থেকেছি! এডাল্ট ভিডিও প্রায় ২/৩/৫/৭ দিন বিরতী দিয়ে দেখা হই -ই। ইদানীং অনেকটাই বের হতে পেরেছি।
কিন্তু আমি যখন এডাল্ড ভিডিও দেখি তখন নামাজে বা যে অবস্থায় থাকি মহান আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পরি। এমনকি এডাল্ড ভিডিও দেখার আগেও আল্লাহকে সিজদা দিয়েই বলি, আমি পারলাম আল্লাহ। আবার দেখলাম। তুমি দয়ার সাগর, আমাকে ক্ষমা কর!
সবসময়ই বলি, মহান আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আমাকে সেই পথে অটল রাখুন যে পথে আপনার সন্তুষ্টি নিহিত আছে।
কিন্তু না পারি নি।
উলটো আর বড় পাপের জগতে ঢুকে পড়লাম।।
এর মধ্যে যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম তখন এক বন্ধু দেখালে হোটেল। যেখানে নিয়মিত মেয়ে পাওয়া যায়।
আর আমার অন্ধকার অধ্যায় টা এখানেই শুরু।
ভার্সিটির জীবনে আজ প্রায় ৫ বছর আমি প্রায় ১৩/১৪ জনের সঙ্গে সেক্স করেছি।
কিন্তু বিশ্বাস করেন, আল্লাহর কাছে অঝোরে কাদি। ইভেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে, মহান আল্লাহ ভয়ে যেকোনো সেখানেই সেজদায় লুটিয়ে পড়ি।
এক্টাই প্রাথনা, মহান আল্লাহ ক্ষমা করুন।
এই ভাবে প্রতিবার অজস্র কান্নাকাটি করে, হাজার হাজার তওবা তাহলিল করেও আমি পুনরায় ফিরে গেছি সেই পাপের পথে।
এখন এডাল্ড ভিডিও দেখলে বা সেক্স করলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি।।তারপরও আমার পাপের যাত্রা আল্লাহ থামাতে সাহায্য করছেন না।
নামাজে বসলে ভীষণ কান্না চলে আসে। গোপনে ফুপিয়ে কাঁদি।
মহান আল্লাহ, তুমি আমাকে জাহান্নামীদের কাতারে সামিল করিও না।
আমি মুনাফিক, আমি মুশরিক, আমি মুরতাদের চেয়েও বেশি পাপী হয়ে গেছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে কর, হেদায়েত দান কর।
শত সহস্র তওবা আমাকে ফেরাতে পারছে না। ছোট বেলা থেকে ইসলামের প্রতি অন্যরকম একটা ভালবাসা কাজ করে অন্তকরণে।
তাই জিকির করি, সুযোগ পেলেই আল্লাহ কে সিজদা দেই। মাফ চাই, পানাহ চাই।
ইদানীং বেশি বেশি জিকির করতেছি।যথাসম্ভব পাপ থেকে দুরে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছি।
কিন্তু ভয় করতেছে এই ভেবে, মহান আল্লাহ,
যিনা কারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে উভয়ই জায়গায় রেখেছে ভয়ানক কষ্ট, সীমাহীন দুঃখ।
তাহলে আমি কেই সেই অভাগাদের কাতারে পরে গেছি।
আমার বাঁচার কি কোন বুদ্ধি নেই।
মহান আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন না?
এহেন হাজারো দুঃচিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে আছি।
(নামটি উহ্য রাখা হলো)
শাহবাগ, ঢাকা
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি আপনি সাচ্চা দিলে তওবা করে থাকেন। তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনার পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন। কিয়ামতের দিন এজন্য কোন শাস্তি দেয়া হবে না।
তওবার জন্য শর্ত হল,
১ গোনাহটি তৎক্ষণাত ছেড়ে দিতে হবে।
২ গোনাহটির জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে।
৩ ভবিষ্যতে আর কখনো উক্ত গোনাহটি না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
৪ সাচ্চা দিলে উক্ত গোনাহের কারণে রব্বে কারীমের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
উক্ত চার শর্ত পাওয়া গেলে তওবা পূর্ণাঙ্গ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।
এভাবে তওবা করলে বারবার পাপ করে এমন সাচ্চা তওবা করলেও উক্ত ব্যক্তির পূর্বের কৃত গোনাহ ক্ষমা হয়। এজন্য কিয়ামতে সে পাকরাও হবে না ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু যদি আবার গোনাহ করার ইচ্ছেসহ শুধু মুখে মুখে তওবা করে, তাহলে উক্ত তওবার কোন দাম নেই। তা প্রকৃত তওবা বলে গণ্যই হবে না।
সুতরাং তওবা করতে হবে সাচ্চা দিলে। ভবিষ্যতে উক্ত গোনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প থাকতে হবে।
কিভাবে বাঁচবেন উক্ত গোনাহ থেকে?
১ হস্তমৈথুন ও যিনা করা মহাপাপ সে কথা দৃঢ়ভাবে অন্তরে বসাতে হবে। হাদীসগুলো মনে রাখবেন:
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” سَبْعَةٌ لَا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ، وَلَا يَجْمَعُهُمْ مَعَ الْعَالَمِينَ، يُدْخِلُهُمُ النَّارَ أَوَّلَ الدَّاخِلِينَ إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، فَمَنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ النَّاكِحُ يَدَهُ، وَالْفَاعِلُ وَالْمَفْعُولُ بِهِ، وَالْمُدْمِنُ بِالْخَمْرِ، وَالضَّارِبُ أَبَوَيْهِ حَتَّى يَسْتَغِيثَا، وَالْمُؤْذِي جِيرَانَهُ حَتَّى يَلْعَنُوهُ، وَالنَّاكِحُ حَلِيلَةَ جَارِهِ “
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: সাত প্রকার ব্যক্তি, যাদের দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকাবেন না। তাদেরকে পবিত্র করবেন না। তাদেরকে অন্যদের সাথে একত্রিত করবেন না। তাদেরকেই সর্বপ্রথম জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। তবে যদি তওবা করে তাহলে ভিন্ন কথা। তবে যদি তওবা করে, তাহলে ভিন্ন কথা। যদি তওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাদের তওবা কবুল করবেন। সেসব লোক হল, হস্তমৈথুনকারী, সমকামী, মদে অভ্যস্ত,পিতা মাতাকে প্রহারকারী, অথচ তারা তার কাছে সাহায্যপ্রার্থী, প্রতিবেশীকে নিপিড়নকারী যখন তার উপর অভিশাপ করে,প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়াকারী। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৮৭]
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: يَجِيءُ النَّاكِحُ يَدَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَدُهُ حُبْلَى
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ বলেন, কিয়ামতের ময়দানে হস্তমৈথুনকারী এমনভাবে উঠবে যে, তার হাত গর্ভবতী থাকবে। [শুয়াবুল ঈমান, বর্ণনা নং-৫০৮৭]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةً، يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ، حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যভিচারী মু’মিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না এবং কোন মদ্যপায়ী মু’মিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোন চোর মু’মিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন লুটতরাজকারী মু’মিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে, যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৪৭৫]
২ একাকী কম থাকবেন। ভালো বন্ধ নির্বাচন করুন। যারা আপনাকে ভালো পরামর্শ দিবে। যেমন ভার্সিটিতে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ হয়, তাদের সাথে সময় দিন। কিংবা কোন হক্কানী ইসলামী দলের সাথে সময় দিন। যেমন খেলাফত মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইত্যাদি।
ভালো বন্ধুর সাহচর্য এবং তাদের সাথে মিশাও অনেক সময় পাপাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখে।
৩ বিবির ভরণপোষণে সক্ষম হলে দ্রুত বিয়ে করে ফেলুন। ইনশাআল্লাহ বিয়ে এহেন পাপাচার থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে।
৪ নাটক সিনেমা, অশ্লীল জিনিস দেখা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।
৫ কোন হক্কানী আল্লাহ ওয়ালা আলেমের সোহবতে সপ্তাহে একদিন সময় দেবার চেষ্টা করুন।
৬ প্রতিটি নামাযের পর আল্লাহর কাছে গোনাহমুক্ত থাকার দুআ করুন।
ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা আপনাকেসহ সকলকে হেফাজত করবেন।
তওবা সংক্রান্ত কয়েকটি দলীল
انَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧]وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
২
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢
নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২]
৩
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧]
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। {সূরা নিসা-১৭ }
৪
وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِّمَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَىٰ [٢٠:٨٢]
আর যে তওবা করে,ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে,আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল। [সূরা ত্বহা-৮২]
৫
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]
মুমিনগণ,তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর,যাতে তোমরা সফলকাম হও। [সূরা নূর-৩১]
৬
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا [٢٥:٧٠]
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সূরা ফুরকান-৭০]
৭
হযরত উবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ
গোনাহ থেকে তওবাকারী এমন,যেন সে গোনাহ করেইনি। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০]
৮
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
فَإِنَّ العَبْدَ إِذَا اعْتَرَفَ ثُمَّ تَابَ، تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ
বান্দা গোনাহ স্বীকার করে মাফ চাইলে আল্লাহ পাক তা কবুল করেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪১৪১]
৯
عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَصَرَّ مَنِ اسْتَغْفَرَ، وَإِنْ عَادَ فِي الْيَوْمِ سَبْعِينَ مَرَّةٍ
হযরত আবু বকর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যদি কেউ ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে সে দৈনিক সত্তর বার গোনাহ করলেও সে যেন আসলে গোনাহই করেনি। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫১৪]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com