প্রচ্ছদ / আহলে হাদীস / ইমাম আবূ হানীফা রহঃ ফার্সি ভাষায় নামায পড়ার অনুমতি দিয়েছেন?

ইমাম আবূ হানীফা রহঃ ফার্সি ভাষায় নামায পড়ার অনুমতি দিয়েছেন?

প্রশ্নঃ

আসসালামু আ’লাইকুম
সন্মানিত মুফতী সাহেবদের কাছে প্রশ্ন
আহলে হাদীসরা প্রায়ই ঠাট্টা করে যে ইমাম আবু হানিফা রহ. ফারসি ভাষায়ও নামায পড়ার ফতোয়া দিয়েছেন । আসলে কি তিনি এমনটা করেছেন নাকি এটা আহলে হাদীসের অপবাদ ? আর যদি এই ফতওয়া দিয়েই থাকেন তবে বিশটারিত জানতে চাই এবং আরবী ব্যতিত অন্য ভাষায় নামাযের হুকুম কি হবে এটাও জানতে চাই।

উ্ততর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

ইমাম আবূ হানীফা রহঃ নামাযে ফার্সি ভাষায় নামায শুদ্ধ হবার ফাতাওয়া দিয়েছিলেন। কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ রহঃ এবং ইমাম মুহাম্মদ রহঃ আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় নামায পড়লে নামায শুদ্ধ হবে না বলেই মত দেন।

অবশেষে ইমাম আবূ হানীফা রহঃ ইমাম আবূ ইউসুফ রহঃ এবং ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর অভিমতের দিকে রুজু করেছেন।

তিনি ফাতওয়া দিয়েছিলেন এবং সেই ফাতওয়া থেকে রুজুও করেছেন। সুতরাং এখন সেই কথা পেশ করে প্রশ্ন উত্থাপন করা অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়।

যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে অনুমতি প্রদান করেছেন।

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর প্রথম প্রথম বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়তেন। তারপর তা পরিবর্তন হয়ে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামায পড়েছেন।

ইসলামের শুরু যুগে নামাযে কথা বলার অনুমতি ছিল। পরবর্তীতে তা নিষিদ্ধ করা হয়।

এখন কোন ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, কবর যিয়ারত নিষিদ্ধতার আগের হাদীস পেশ করা। তেমনি বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়ার অনুমতি নবীজী দিয়েছেন বলা। নামাযে কথা বলার অনুমতি প্রদানের কথা বলাটাও নবীজীর উপর একটি অপবাদ হবে।

তেমনি ইমাম আবূ হানীফা রহঃ যে মত থেকে রুজু করেছেন, সেই মতটিকে সামনে এনে, যে মতটিকে পরবর্তীতে প্রাধান্য দিয়েছেন, এবং যে মতের উপর হানাফী মাযহাবের ফাতওয়া সেটিকে  প্রশ্নবিদ্ধ করা একটি ই্চ্ছেকৃত প্রতারণা বৈ কিছু নয়।

প্রথম খণ্ডের ৫২৯-৫৩১ পৃষ্ঠায় স্পষ্টভাবেই ইমাম আবূ হানীফা রহঃ তার মত থেকে রুজু করেছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন।

সুতরাং পরিত্যাজ্য মতটিকে ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মত বলা ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর উপর একটি অপবাদ।

বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়তে, কবর যিয়ারত না করতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন বলাটা যেমন অপবাদ।

ويروى رجوعه في أصل المسألة إلى قولهما وعليه الاعتماد (هداية-1\49)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়া ফারূকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ চৌধুরী বাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply to এশার নামাজ কয় রাকাত? Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *