প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / মাহরাম কাকে বলে? মহিলাদের জন্য মাহরাম ছাড়া সফরের হুকুম কি?

মাহরাম কাকে বলে? মহিলাদের জন্য মাহরাম ছাড়া সফরের হুকুম কি?

প্রশ্ন

নামঃ আতিয়া

দেশঃ বাংলাদেশ

প্রশ্নের বিষয়ঃ মহিলাদের একাকী সফর প্রসঙ্গে

আমি মহিলাদের সফর সংক্রান্ত একটি হাদিস পেয়েছি-হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, রসূলে আকরাম (স) বলেন, মহিলা তার মাহরামকে না নিয়ে তিন দিনের সফর করবে না।(বুখারী,খ-১,পৃ-১৪৭)

তাহলে জানার বিষয় হল,

১.      ১. সফর তিন দিনের কম হলে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত একা যেতে পারবে?

২.      ২. ৭-৮ ঘন্টার(৪০০-৬০০কিমি) পথ একা যেতে পারবে?

৩.      ৩. সাথে অন্য আত্তীয়/পরিচিত মহিলা থাকলে সফর করতে পারবে?

৪.      ৪. সাথে অন্য মহিলা এবং তার মাহরাম(যেমনঃ খালা-খালু)থাকলে সফর করতে পারবে?

৫.      ৫. প্লেনে সফর ৬/৮ ঘন্টা(বিদেশ যেতে) একা যেতে পারবে?(অর্থাৎ দূরত্ব বেশি কিন্তু সময় কম লাগে এমন সফর)

৬.      ৬. এসব নিয়মে দিন ও রাতের সফরে কি কোন পার্থক্য আছে?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

১, ২  ও ৫ নং এর উত্তর

সফর কমপক্ষে ৮৩ কিলোমিটারের চেয়ে কম হলে মহিলাগণ পর্দার সাথে একা একা সফর করতে পারবে। ৮৩ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি হলে স্বামী বা মাহরাম ছাড়া কারো সাথে বা একা সফর করা জায়েজ নয়। {আহসানুল ফাতওয়া-৪/৯৫}

فى الدر المختار- ومع زوج او محرم ولو عبدا (الى قوله) لامرأة حرة ولو عجوزا في سفر

وفى رد الرد المحتار-هو ثلاثة أيام ولياليها فيباح لها الخروج إلى ما دونه لحاجة بغير محرم بحر (رد المحتار-كتاب الحج-2/157)

وكذا فى النهر الفائق-2/58-59)

এক্ষেত্রে ধর্তব্য হল দূরত্ব। কত সময়ে উক্ত স্থানে পৌঁছতে পারছে সেটা ধর্তব্য নয়। উদাহরণতঃ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব চারশত কিলোমিটার। কিন্তু বিমানে যেতে লাগে ৩০মিনিট। এক্ষেত্রে বিমানে সফর করলেও মহিলাদের জন্য স্বামী বা মাহরাম থাকা আবশ্যক। একা সফর করা জায়েজ নয়।

فى الدر المختار- حتى لو أسرع فوصل في يومين قصر

وقال ابن عابدين الشامى رح- ( قوله فوصل ) أي إلى مكان مسافته ثلاثة أيام بالسير المعتاد بحر (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/603)

৪ ও ৬ নং এর উত্তর

সফরের এ হুকুমের ক্ষেত্রে দিন বা রাতের কোন পার্থক্য নেই। উভয়ের সফরের ক্ষেত্রে একই হুকুম। মহিলাদের সাথে তার স্বামী বা মাহরাম ব্যক্তি থাকতে হবে। কোন নারী থাকলে বা গায়রে মাহরাম কেউ থাকলে হবে না। মহিলাদের মাহরাম ঐ সকল ব্যক্তিদের বলা হয়, যাদের সাথে আজীবন বিবাহ নিষিদ্ধ। যেমন- পিতা, দাদা, ছেলে, নাতি, ভাগিনা, মামা, ভাই, ভাতিজা, শ্বশুর, চাচা, মেয়ের জামাই প্রমূখ।

فى الفتاوى الهندية- والمحرم الزوج ومن لا يجوز مناكحتها على التأبيد بقرابة أو رضاع أو مصاهرة كذا في الخلاصة (كتاب المناسك ، الباب الأول في تفسير الحج وفرضيته ووقته وشرائطه وأركانه وواجباته وسننه وآدابه ومحظوراته-1/219،

وكذا فى رد المحتار-2/145، وفى النهر الفائق-2/57) 

وفى البحر الرائق-(ومحرم او زوج لامرأة فى سفر)ويشترط محرم إلى أخره كما في الصحيحين لا تسافر امرأة ثلاثا إلا ومعها محرم ( 1 ) وزاد مسلم في رواية أو زوج

 وروي البزازلا تحج امرأة إلا ومعها محرم فقال رجل يا رسول الله أني كتبت في غزوة وامرأتي حاجة قال ارجع فحج معها فأفاد هذا كله أن النسوة الثقات لا تكفي قياسا على المهاجرة والمأسورة لأنه قياس مع النص مع وجود الفارق فإن الوجود في المهاجرة والمأسورة ليس سفرا لأنها لا تقصد مكانا معينا بل النجاة خوفا من الفتنة حتى لو وجدت مأمنا كعسكر المسلمين وجب أن  تفرو لأنه يخاف عليها الفتنة وتزاد بانضمام غيرها إليها ولهذا تحرم الخلوة بالأجنبية وإن كان معها غيرها من النساء (البحر الرائق، كتاب المناسك، باب الإحرام-2/551-552

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com

lutforfarazi@yahoo.com

আরও জানুন

সাক্ষীদের না জানা অবস্থায় ইংরেজী ভাষায় ইজাব কবুল করলে বিবাহ হবে কি?

প্রশ্ন সম্মানিত মুফতি সাহেব,আল্লহ আপনার ছায়াকে আমাদের জন্য দীর্ঘায়িত করুন।বিনয়ের সাথে একটি সমস্যার সমাধান জানতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *