প্রশ্ন
From: মুহাম্মাদ রিয়াদুল ইসলাম
বিষয়ঃ রিয়ার প্রতিকার
প্রশ্নঃ
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
নিঃসন্দেহে রিয়া ক্ষতিকর এক আত্মার ব্যাধি। কোন আমালে সালেহ করার সময় যদি অনিচ্ছায় রিয়া চলে আসে, তবে এমতাবস্থায় করণীয় কি? ঐ আমালটি করা থেকে কি বিরত থাকব? নাকি চালিয়ে যাব?
সর্বোপরি রিয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য করণীয় কী? জানালে খুবই উপকৃত হব।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আমলটি বন্ধ করা যাবে না। বরং আমলটি চালিয়ে যেতে হবে। আমল বন্ধ করে দিলে শয়তান খুশি হবে।
কারণ, শয়তান চায় মানুষ আমল না করুক। তারপরও যদি আমল শুরু করে দেয়, তখন মনের মাঝে রিয়া সৃষ্টির অপচেষ্টা করে থাকে। এখন যদি রিয়া আসার কারণে তা পরিত্যাগ করা হয়। তাহলে শয়তানের ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। তাই আমল শুরুর পর রিয়া চলে আসলেও আমল চালু রাখবে।
যে কাজ মানুষ দেখলে খুশি হয়। মানুষ ভালো জানে। সেই কাজ আমার মহান মালিক দেখছেন। তিনিই সবচে’ বেশি খুশি হবেন। মানুষের কাছে বড় হবার চেয়ে সকল মানুষের রবের কাছে বড় হওয়াই সবচে’ বুদ্ধিমানের কাজ এই মানসিকতায় রিয়ামুক্ত থাকার চেষ্টা করবে। সেই সাথে খুলুসিয়্যাতের সাথে আমলের জন্য আল্লাহর কাছে দুআও করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে রিয়া দূর হবে।
اعلم أن مِنَ النَّاسِ مَنْ يَتْرُكُ الْعَمَلَ خَوْفًا مِنْ أَنْ يَكُونَ مُرَائِيًا بِهِ وَذَلِكَ غَلَطٌ وَمُوَافَقَةٌ للشيطان………لأن الشيطان يدعوك أولاً إلى ترك العمل فإذا لم تجب واشتغلت فيدعوك إلى الرياء فإذا لم تجب ودفعت بقي يقول لك هذا العمل ليس بخالص وأنت مراء وتعبك ضائع فأي فائدة لك في عمل لا إخلاص حتى يحملك بذلك على ترك العمل فإذا تركته فقد حصلت غرضه (احياء علوم الدين، كتاب ذم الجاه وارياء-3\320)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী, নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com