প্রশ্ন
From: তানভীর
বিষয়ঃ মাধ্যম হিসেবে আর্থিক সেবা প্রদান।
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম।
১ম প্রশ্ন
একটি কোম্পানি বিভিন্ন মাধ্যমে সরাসরি/অনলাইনে/ব্যাকিং/অন্য কোন মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে (গ্রাহকের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে ) এবং বিক্রি করে (গ্রাহককে টাকা প্রদান করে ) এইভাবে লেনদেন বৈধ কি?
২য় প্রশ্ন
কোন এক জন লোক দেশের বাইরে থেকে কিছু পণ্য কিনবে অথবা কোন সেবা গ্রহণ করবে। এইজন্য সেই পণ্য অথবা সেবাটি নেয়ার জন্য তাকে অনলাইনে সেই দেশীয় মুদ্রা অথবা ডলার পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু তার কাছে অনলাইনে পরিশোধ করার মত কোন মাধ্যম নেই।
এখন সে লোকের কাছ থেকে অন্য কোন কোম্পানী যদি এই চুক্তি করে যে, সে লোককে সেই কোম্পানীতে কিছু টাকা দিয়ে নিবন্ধিত হয়ে সদস্য হতে হবে। যাতে সে লোক ওই কোম্পানীকে প্রতারিত করতে না পারে, এবং সে লোকের যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা বিল পরিশোধ করতে হবে তার উপর সে ব্যাক্তিকে নিবন্ধিত কোম্পানীকে
(ক) একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা শতকরা হারে প্রদান করতে হবে।
(খ) নির্দিষ্ট পরিমান ছাড়া টাকা প্রদান করা এই দুই উপায়ে অর্থ উর্পাজন কি ওই কোম্পানীর জন্য বৈধ হবে?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১ম প্রশ্নের উত্তর
যদি উপরোক্ত লেনদেনে আর কোন শরীয়ত বহির্ভূত বিষয় না থাকে, তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়বিক্রয় যদি নগদ লেনদেন হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে। কিন্তু যদি উভয় কারেন্সি বাকিতে লেনদেন করে থাকে, তাহলে ক্রয়বিক্রয় বৈধ হবে না।
তবে যদি একটি নগদ ও অন্যটি বাকিতে হয়, তাহলেও ক্রয়বিক্রয় পদ্ধতিটি জায়েজ হবে।
فى الهداية–ويجوز بيع الفلس بالفلسين بأعيانهما” عند أبي حنيفة وأبي يوسف، وقال محمد: لا يجوز لأن الثمنية تثبت باصطلاح الكل فلا تبطل باصطلاحهما، وإذا بقيت أثمانا لا تتعين فصار كما إذا كانا بغير أعيانهما (هداية، كتاب البيوع، باب الربى-3/85، طبع رحمانية)
فى المستدرك للحاكم- عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ (مستدرك على الصحيحين-2/65-66، رقم-2342، شرح معانى الآثار، رقم-5554، سنن الدرقطنى، رقم-3060)
২য় প্রশ্নের উত্তর
কত টাকা কমিশন গ্রহণ করবে, তা নির্দিষ্ট থাকলে এভাবে মাধ্যম হিসেবে উপার্জন করা কোম্পানীর জন্য জায়েজ আছে।
কিন্তু যদি কমিশন নির্দিষ্ট না থাকে, তাহলে জায়েজ হবে না।
وَلَمْ يَرَ ابْنُ سِيرِينَ، وَعَطَاءٌ، وَإِبْرَاهِيمُ، وَالحَسَنُ بِأَجْرِ السِّمْسَارِ بَأْسًا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ: بِعْ هَذَا الثَّوْبَ، فَمَا زَادَ عَلَى كَذَا وَكَذَا، فَهُوَ لَكَ وَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ: إِذَا قَالَ: بِعْهُ بِكَذَا، فَمَا كَانَ مِنْ رِبْحٍ فَهُوَ لَكَ، أَوْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ، فَلاَ بَأْسَ بِهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: المُسْلِمُونَ عِنْدَ شُرُوطِهِمْ
ইবনু সীরীন, আতা, ইবরাহীম ও হাসান (রহ.) দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেননি। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও। এতো এতো এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইবনু সীরীন (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে, তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে। [সহীহ বুখারী-১/৩০৩]
فال فى التاتارخانية: وفى الدلال والسمسار يجب اجر المثل، (رد المحتار-9/87)
سئل محمد بن مسلمة عن أجرة السمسار، فقال: أرجوا أنه لا بأس به،….. لكثرة التعامل (رد المحتار، كتاب الإجارة، مطلب فى اجرة الدلال-9/87، تاتارخانية-15/137، رقم-22462)
لو آجره دابته لينقل عليها الخمر، أو آجره نفسه ليرعى له الخنازير يطيب له الأجر عنده، وعندهما يكره (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة، باب الأستبراء وغيره-9\562، البحر الرائق-8\372)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী, নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com