প্রশ্ন
যে হোটেলে মদ বিক্রি হয়, শুকরের গোশত বিক্রি হয়, এমন হোটেলে চাকুরী করার হুকুম কী? রাতে বেগানা নারীদের দিয়ে অশ্লীল নাচ গানের আয়োজন হয়।
ইউরোপের অনেক দেশেই আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা এমন হোটেলে চাকুরী করে থাকেন। এখন প্রশ্ন হল, তাদের এ চাকুরী করা এবং এর উপার্জন কী হালাল হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
হারাম কাজ করা যেমন জায়েজ নেই। তেমন তার সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই। যদি হোটেলে সেসব হারাম কাজ ছাড়া অন্য কাজ করা যায়। উক্ত হারাম কাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়, তাহলে চাকুরী করা জায়েজ হবে। সেই হিসেবে বেতনও জায়েজ হবে।
কিন্তু যদি হারাম কাজের সহযোগী হতে হয়, যেমন মদ পরিবেশন, শুকরের গোশত পরিবেশন ইত্যাদি করতে হয়। তাহলে উক্ত চাকুরী জায়েজ হবে না।
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। [সূরা মায়েদা-২]
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَمْرِ عَشَرَةً عَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَشَارِبَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَآكِلَ ثَمَنِهَا وَالْمُشْتَرِيَ لَهَا وَالْمُشْتَرَاةَ لَهُ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, শারাবের সাথে সম্পৃক্ত দশ শ্রেণীর লোককে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন। এরা হলঃ মদ তৈরিকারী, মদের ফরমায়েশকারী, মদ পানকারী, মদ বহনকারী, যার জন্য মদ বহন করা হয়, মদ পরিবেশনকারী, মদ বিক্রয়কারী, এর মূল্য ভোগকারী, মদ ক্রেতা এবং যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১২৯৫]
ولا تصح الإجارة لعسب التيس ولا لأجل المعاصى مثل الغناء، والنوح والملاهى (رد المحتار-9\75)
وقال أبو حنيفة رحمه الله لا تجوز على شيء من اللهو، والمزامير، والطبل وغيره، لأنها معصية، والإجارة على المعصية باطلة (تاتارخانية-15\132، رقم-22439)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক -তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীন বাজার, সালেহপুর ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com