প্রচ্ছদ / পরিবার ও সামাজিকতা / পায়ে ও দাড়িতে মেহেদি দেয়ার হুকুম কি?

পায়ে ও দাড়িতে মেহেদি দেয়ার হুকুম কি?

প্রশ্ন:

From: Mohammad Fourkan Hamid
Subject: জায়েয-নাজায়েয
Country : Bangladesh
Message Body:
আসসালামু আ’লাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
প্রশ্নঃ
(ক) অনেক মেয়ে শখের বশে পায়ে মেহেদী দেয়। কিন্তু অনেকে বলে থাকেন যে, প্রিয় নবী (সা) দাঁরিতে মেহেদী দিতেন। মেহেদী ব্যবহার করা সুন্নাত। কাজেই পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা নাজায়েয। কথাটি কি সত্য?
(খ) মেয়েদের হাতে কিংবা পুরূষদের দাঁড়ি-চুলে মেহেদি ব্যবহার করা কি সুন্নাত?

জবাব:

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

পুরুষদের দাড়িতে বা চুলে আর মহিলাদের হাতে, চুলে মেহেদী ব্যবহার করা সুন্নাত কথাটি ভুল। বরং এটি মুস্তাহাব, সুন্নাত নয়।

রাসূল সাঃ দাড়িতে মেহেদী দিয়েছেন কিনা? এই ব্যাপারে মতভেদ আছে। সহীহ কথা হল রাসূল সাঃ দাড়িতে মেহেদী দিতেন না, বরং দাড়িতে প্রচুর তেল দিতেন, যার ফলে তার দাড়ি কিছুটা লালচে হয়ে গিয়েছিল। এটাকেই অনেকে নবীজী সাঃ দাড়িতে মেহেদী দিয়েছেন মর্মে ভুল করেছেন। তবে রাসূল সাঃ মেহেদী লাগানো পছন্দ করতেন। হযরত আবু বকর রাঃ, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ সহ অনেক সাহাবী দাড়িতে, চুলে মেহেদী লাগাতেন। সুতরাং এটিকে কিছু সাহাবাদের সুন্নাত বলা যায়। কিন্তু রাসূল সাঃ এর সুন্নাত নিশ্চিতভাবে বলা উচিত নয়। তবে মুস্তাহাব এতে কোন সন্দেহ নেই।

পায়ে মেহেদী লাগানো জায়েজ মহিলাদের জন্য। কোন সমস্যা নাই।

দলিল

فى سنن ابى داود-عن ابن عباس قال مر على النبى -صلى الله عليه وسلم- رجل قد خضب بالحناء فقال « ما أحسن هذا ». قال فمر آخر قد خضب بالحناء والكتم فقال « هذا أحسن من هذا ». قال فمر آخر قد خضب بالصفرة فقال « هذا أحسن من هذا كله (سنن ابى داود-2/578، رقم الحديث-4213

فيه ايضا-عن ابن عباس قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- « يكون قوم يخضبون فى آخر الزمان بالسواد كحواصل الحمام لا يريحون رائحة الجنة (سنن ابى داود-2/578)

وفى البذل المجهود- قال النووى مذهبنا استحباب خضاب الشعر للرجل والمرأة بصفرة وبحمرة ويحرم خضابه بالسواد على الاصح

وفيه ايضا- (اجتنبوا السواد)…….قال النووى قال الغزالى والبغوى وآخرون من الأصحاب هو مكروه والظاهر عبارتهم انه مكروة تنزيهة ثم قال والصحيح بالصواب انه حرام ومن صرح صاحب الحاوى إلا أن يكون فى الجهاد (بذل المجهود-5/8

প্রামান্য গ্রন্থাবলী

১. আবু দাউদ শরীফ-২/৫৭৮

৩. শরহে নববী-২/১৯৯

৩. বজলুল মাজহুদ-৫/৮০

৪. ফাতওয়ায়ে শামী-৯/৬০৪-৬০৫

৫. ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৩৫৯

৬. ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-১৯/৪৪৯

৭. আহসানুল ফাতওয়া-৮/৩৬১

৮. ইমদাদুল ফাতওয়া-৪/২১-২১৫

৯. জাওয়াহিরুল ফিক্ব্হ-২/৪২২

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com

lutforfarazi@yahoo.com

আরও জানুন

মিথ্যা বলে চাকুরী নিলে সেই চাকুরীর বেতন কি হালাল হবে?

প্রশ্ন আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ জনাব, অনেকে নতুন চাকরীতে ভাল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য পূর্বের চাকরীর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস