প্রশ্নঃ
হুজুর ! রেলওয়ে স্টেশনের পিছনে যদি রেলওয়ের অনেক যায়গা থাকে, আর রেলওয়ে স্টাফের সহযোগিতায় মাঠ ভরাট করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সেই মাঠে ঈদের জামাত সহীহ হবে? না হবেনা? বিস্তারিত জানতে চাই।
কিছু সংখ্যক লোক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এই মর্মে যে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যদি ওয়াক্ফ করে লিখিত না দেয় তাহলে তাতে নামায শুদ্ধ হবেনা।
উল্লেখ্য যে, প্রতি স্টেশনেই সরকারী যায়গায় মসজিদ আছে এবং তাতে জুমআ’র নামায সহ ৫ ওয়াক্ত নামায হয় এসব মসজিদের হুকুম কী? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো।
নিবেদক
আবু সুফিয়ান
নুরুন্দি, জামালপুর
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সরকারী যায়গায় মসজিদ বা ঈদের মাঠ বানানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি লাগবে। সরকারী অনুমতি ছাড়া সেই স্থান মসজিদ বা ঈদের মাঠ বলে সাব্যস্ত হবেনা, যেহেতো সকল স্থানেই ঈদ ও অন্যান্য নামায পড়া যায়েজ, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত স্থানে ঈদের নামায সহীহ হয়ে যাবে। কিন্তু তা শরয়ী ঈদগা’ বলে ততক্ষণ সাব্যস্ত হবেনা,যতক্ষণ না সরকারী এতদ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিধিবদ্ধ আইন অনুযায়ী মৌখিক বা লিখিত অনুমোদন না নিবে। ওয়াক্ফ হবার জন্য লিখিত অনুমোদন জরুরী নয়। তবে লিখিত অনুমোদন নিয়ে নেয়াই উচিত। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মূল মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন না নিয়ে কেবল সাধারণ কর্মচারী বা অফিসারের মৌখিক অনুমোদন গ্রহণযোগ্য নয়। ঠিক একই বিধান সরকারী সকল স্থানের ক্ষেত্রে।
فى الدر المختار- لا يجوز التصرف فى مال غيره بلا اذنه ولا ولايته ( الدر المختار مع الشامى -9/291
وفى شرح المجلة- لا يجوز لأحد ان يتصرف فى ملك غيره بلا اذنه او وكالته او ولايته عليه وان فعل كان ضامنا( شرح المجلة-1/262)
وفى البحر الرائق- الخامس من شرائطه الملك وقت الوقف…………. اما لو وقف ضيعة غيره على جهات فبلغ الغيرفأجازه جاز بشرط الحكم والتسليم، ( البحر الرائق-5/188
প্রমাণের জন্য দেখুন-
# ফাতওয়ায়ে শামী- ৯/২৯১
# শরহু মাজাল্লাতিল আহকামিল আদলিয়্যাহ-১/২৬২
# আলবাহরুর রায়েক-৫/১৮৮
# ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২১/৩৩১-৩৩৭
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।