প্রচ্ছদ / অজু/গোসল/পবিত্রতা/হায়েজ/নেফাস / গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় সেহরী খাওয়া ও রোযা রাখার হুকুম

গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় সেহরী খাওয়া ও রোযা রাখার হুকুম

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকুম,

জনাব ৮ম রমজান রাতে আমি তারাবীর নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে আমি বুঝতে পারি আমার স্বপ্নদোষের মাধ্যমে গোসল ফরয হয়েছে।

তখন আমি ওই অবস্থায় (নাপাক অবস্থায়) সেহরী খাই, রোজা রাখার নিয়ত করি এবং ফজরের নামাজ না পড়ে ঘুমিয়ে যাই (যেহেতু নাপাক)।

পরবর্তীতে দুপুর বেলা গোসল করে যোহরের নামাজের পর ফজরের কাজা নামাজ আদায় করি।

এমতাবস্থায় আমার রোজা কী আদায় হয়েছে?

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার রোযা হয়েছে। পাক ও নাপাকের সাথে সেহরী ও রোযার কোন সম্পর্ক নেই।

কিন্তু নামায কাযা করার কারণে গোনাহ হয়েছে। আপনার উচিত ছিল ফজরের সময় থাকা অবস্থায় গোসল করে ফজরের নামায আদায় করে নেয়া।

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ  [٢:١٨٧]

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-১৮৭]

واصبح جنبا وان بقى كل اليوم لم يفطر، (رد المحتار، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم ومالا يفسده-3/372، مطلب فى حكم الاستمناء بالكف)

عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ

হযরত নওফেল বিন মুআবিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যার নামায ফউত হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৬৪২}

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক ও প্রধান মুফতী-তা’লীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *