প্রচ্ছদ / দিফায়ে আকাবির / নামাযের মধ্যে ইচ্ছেকৃত নবী বা অন্য কাউকে স্মরণ করা যাবে কি?

নামাযের মধ্যে ইচ্ছেকৃত নবী বা অন্য কাউকে স্মরণ করা যাবে কি?

প্রশ্ন

From: নাইন
বিষয়ঃ নামাহ

প্রশ্নঃ
নামাজের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে অথবা রাসুল সা: কে স্মরন করা যাবে কি না? ভাই দয়া করে একটু বিস্তারিতভাবে বলবেন।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

না, যাবে না। কারণ, নামায খালিস আল্লাহর ইবাদত। আর ইবাদতের পূর্ণতা পায় তা এমনভাবে করলে যে, সে সরাসরি আল্লাহকে দেখতে পায়, কিংবা অন্তত আল্লাহ তাকে দেখতে পায়।

নামায সবচে’ বড় ইবাদত। সেই ইবাদতে বান্দা আল্লাহর সাথে কথা বলে। বান্দা আল্লাহর নিকটবর্তী হয়। এমতাবস্থায় অন্য কিছুর চিন্তা ইচ্ছেকৃত নিয়ে আসা আল্লাহর শানে গোস্তাখী হয়। তাই নামাযরত অবস্থায় ইচ্ছেকৃত অন্য কিছুর চিন্তা বা ভাবনা মাথায় নিয়ে আসা যাবে না।

একাগ্রচিত্তে নামায আদায় করতে হবে।

তবে যদি অনিচ্ছায় চলে আসে, তাহলে অপারগ হবার কারণে আল্লাহ তাআলা ইনশাআল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। হযরত জিবরাঈল আঃ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ

قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ؟ قَالَ: الإِحْسَانُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ،

‘ইহসান কী?’ তিনি বললেনঃ ‘আপনি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন।’ [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০]

হযরত উসমান বিন আফফান রাঃ থেকে বর্ণিত।

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি আমার মত এ রকম উযূ করবে, অতঃপর দু’রাকআত নামায আদায় করবে, যার মাঝে মনেমনে কথা বলে না, তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫৯]

হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, নামাযে অন্য কিছুর খেয়াল না করলেই কেবল তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা হয়।

قَوْله: (لَا يحدث فيهمَا) أَي: فِي الرَّكْعَتَيْنِ، قَالَ القَاضِي عِيَاض: يويد بِحَدِيث النَّفس الحَدِيث المجتلب والمكتسب، وَأما مَا يَقع فِي الخاطر غَالِبا فَلَيْسَ هُوَ المُرَاد الخ

أَن حَدِيث النَّفس قِسْمَانِ: مَا يهجم عَلَيْهَا ويتعذر دَفعهَا، وَمَا يسترسل مَعهَا وَيُمكن قطعه، فَيحمل الحَدِيث عَلَيْهِ دون الأول لعسر اعْتِبَاره (عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء، باب الوضوء ثلاثا ثلاثا-2/330، المكتبة الوقفية)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …