প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম।
আমি বেতকান্দী,উল্লাপড়া সিরাজগন্জ থেকে বলছি, মোহাম্নাদ সাব্বির হোসেন সেলিম রেজা।
জনাব আমার প্রশ্ন হলো আমার ফোনের সময় হঠাৎ ওলটপালট হয়ে যায়, যা আমি জানতাম না। আর এই কারনে আমাদের ৫ জনের ইফতার ৪-৬ মিনিট আগে হয়েছে। তাই এখন আমাদের রোজা হবে কি? আমরাতো জেনে করিনি। আর আল্লাহতো ক্ষমাশীল। দয়া করে উত্তরটি তাড়াতাড়ি দিবেন।
প্রশ্নকর্তা- মোহাম্নাদ সাব্বির হোসেন
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জেনে বা ইচ্ছেকৃত না করার কারণে সময়ের আগেই ইফতারী করার কারণে আপনাদের কোন গোনাহ হবে না। কিন্তু সময়ের আগেই খানার গ্রহণ করার কারণে রোযাটি ভেঙ্গে গেছে। তাই রমজান পরবর্তী সময়ে উক্ত রোযাটি কাযা করে নিতে হবে।
عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ مُحَمَّدًا، تَسَحَّرَ وَهُوَ يَرَى أَنَّ عَلَيْهِ لَيْلًا، ثُمَّ اسْتَبَانَ لَهُ أَنَّهُ تَسَحَّرَ بَعْدَ مَا أَصْبَحَ، فَقَالَ: «أَمَّا أَنَا الْيَوْمَ فَمُفْطِرٌ»
আউন রাহ. থেকে বর্ণিত, মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রাত্র বাকি আছে ভেবে সাহরী খেলেন। তারপর জানতে পারলেন, তিনি সুবহে সাদিকের পর সাহরী করেছেন তখন তিনি বললেন, ‘আমি আজ রোযাদার নই।’ (অর্থাৎ আমাকে এ রোযার কাযা করতে হবে)।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৪৯, হাদীস নং-৯১৩১, ৯০৩৮]
عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: شَهِدْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ، وَقُرِّبَ إِلَيْهِ شَرَابٌ فَشَرِبَ بَعْضُ الْقَوْمِ وَهُمْ يَرَوْنَ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ غَرَبَتْ، ثُمَّ ارْتَقَى الْمُؤَذِّنُ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَاللَّهِ لَلشَّمْسُ طَالِعَةٌ لَمْ تَغْرُبْ، فَقَالَ عُمَرُ: «مَنَعَنَا اللَّهُ مِنْ شَرِّكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً، يَا هَؤُلَاءِ مَنْ كَانَ أَفْطَرَ فَلْيَصُمْ يَوْمًا مَكَانَ يَوْمٍ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَفْطَرَ فَلْيُتِمَّ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ»
আলী ইবনে হানযালা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রোযার মাসে ওমর রা.-এর নিকট ছিলেন। তার নিকট পানীয় পেশ করা হল। উপস্থিতদের কেউ কেউ সূর্য ডুবে গেছে ভেবে তা পান করে ফেলল। এরপর মুয়াযযিন আওয়াজ দিল, হে আমীরুল মুমিনীন! সূর্য এখনো ডুবেনি। তখন ওমর রা. বললেন, ‘যারা ইফতারি করে ফেলেছে তারা একটি রোযা কাযা করবে। আর যারা ইফতারি করেনি তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৫০, হাদীস নং-৯১৩৮, ৯০৪৫]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]