প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / খতমে তারাবীতে এক দুই আয়াত ছুটে গেলে করণীয় কী?

খতমে তারাবীতে এক দুই আয়াত ছুটে গেলে করণীয় কী?

প্রশ্ন

মুহতারাম সালাম নিবেন,
আমার জানার বিষয় হচ্ছে যে, পবিত্র রমাদানে তারাবিহ নামাজে পবিত্র কুরআনে কারিম তিলাওয়াত করা হয়ে থাকে। উক্ত তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় হাফেজ সাহেবগণ তিলাওয়াতের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখেন না। যেমন নিয়মিতভাবে কোন পারা বা সূরার অংশ বা আয়াত সমূহ তিলাওয়াত করেননি পরবর্তীতে অন্য দিন শুধুমাত্র সেই অংশগুলো তিলাওয়াত করা। এক্ষেত্রে কি পবিত্র কুরআন খতমের সাওয়াব পাওয়া যাবে? তা’ছাড়া এক মসজিদে দেখলাম হাফেজ সাহেব শুধুমাত্র আগের দিনের বাদ দিয়ে যাওয়া অংশ اولاءك اصحاب النار هم فىها خالدون পাঠ করলেন এক্ষেত্রে তিলাওয়াতের হুকুম কী? অনুগ্রহ পূর্বক উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

তারাবীতে কুরআন পড়ার সময় যদি কোন আয়াত ছুটে যায়, তাহলে পরবর্তী রাকাতে বা পরদিন হলেও উক্ত আয়াত পড়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আগে পড়ে দুই এক আয়াত মিলিয়ে পড়বে। যাতে করে অর্থ পরিবর্তন না হয়।

এভাবে পড়ে নিলে খতম পূর্ণ হয়ে যাবে।

ছুটে যাওয়া আয়াত না পড়লে খতম পূর্ণ হবে না।

প্রশ্নে উল্লেখিত অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে আগে পরের আয়াত মিলিয়ে পড়াই নিরাপদ। শুধু খণ্ডাংশ তিলাওয়াতে অর্থ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

যদি অর্থ পরিবর্তন না হয়, তাহলে এভাবে তিলাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি আগের সাথে না মিলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে নামায হবে না।

যেমন উপরোক্ত আয়াতের আগে যদি মুমিনদের বর্ণনা এসে থাকে, তারপর এ আয়াত হুট করে তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে অর্থ বিকৃতি ঘটার কারণে নামায হবে না।

তাই আগে পরের আয়াত মিলিয়ে পড়াই নিরাপদ।

وإذا غلط في القراءة في التراويح فترك سورة أو آية وقرأ ما بعدها فالمستحب له أن يقرأ المتروكة ثم المقروءة ليكون على الترتيب، (الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الباب التاسع فى النوازل، فصل فى التراويح-1/118، الفتاوى التاتارخانية، كتاب الصلاة، الفصل الثالث فى التراويح—2/326، رقم-256، خانية مع الهندية-1/238)

وإن كان اختلافا فتباعدا نحو أن يختم أية الرحمة بآية العذ1ب أو آية العذاب بآية الرحمة فعلى قول أبى حنيفة ومحمد تفسد صلاته….وفى الخناية: والصحيح هو الفساد (الفتاوى التاتارخانية-2/96، رقم-1843)

أَمَّا إذَا غَيَّرَ الْمَعْنَى بِأَنْ قَرَأَ ” إنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ إنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ ” إلَى قَوْلِهِ ” خَالِدِينَ فِيهَا أُولَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ ” تَفْسُدُ عِنْدَ عَامَّةِ عُلَمَائِنَا وَهُوَ الصَّحِيحُ. هَكَذَا فِي الْخُلَاصَةِ. (الفتاوى الهندية-1/81)

وان تغير المعنى بأن قرأ “إن الأبرار لفى جحيم، وإن الفجار لفى نعيم” أو قرأ: “إن الذين آمنوا وعملوا الصالحات أولئك هم شر البرية” أو قرأ: “وجوه يومئذ عليها غبرة، أولئك هم المؤمنون حقا” تفسد صلاته، لأنه أخبر بخلاف ما أخبر الله تعالى به، وقال بعضهم: لا تفسد صلاته لعموم البلوى والأول أصح (فتاوى قاضي خان على الفتاوى الهندية-1/152

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

ইমেইল[email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …