প্রশ্ন
বর্তমানে বেশিরভাগ এক্সপোর্ট গার্মেন্টস বা টেক্সটাইল কোম্পানিতে কমপ্লায়েন্স ও এইচ আর নামে বিভাগ আছে । তাদের কাজ হল সরকারি এবং বিদেশি শ্রমিক আইন ও পরিবেশের নিরপত্তা জনিত বিষয়গুলো ঠিক রাখা। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মালিকদের পক্ষে এসব না করায় তাদেরকে মিথ্যা বলতে হয়। তবে পরিবেশগত বিষয় ৭০-৮০% ঠিক করা যায়। কিন্তু কাগজ কলমে ৯০% মিথ্যা। শুধু তাই নয় যারা শ্রমিক আছে তাদেরকেও মিথ্যা বলতে হয়। যেমন কর্ম ঘন্টা যদিও ১২ বলতে হয় ৮। এইচ আর এর লোকেরা এগুলো লেখে এরকম অনেক।
আমার প্রশ্ন হল এসব বিভাগে চাকরি করা কি ঠিক?
বেতন কি হালাল?
শ্রমিক যারা মিথ্যা বলছে তাদের কি হবে? তাদের কাজ তো হালাল । কিন্তু অডিটের সময় তো মিথ্যা বলে।
السلام على من اتبع الهدى
Peace be upon those who follow the right guidance.
Md. Husne Mubarak
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেহেতু মূল কর্মটি জায়েজ। তাই এর মাধ্যমে অর্জিত বেতনকে হারাম বলা যাবে না।
মিথ্যা কথা বলা হারাম। তাই এমন পোষ্টে চাকরী ছেড়ে অন্যত্র হালাল চাকরী তালাশ করা উচিত। [কিতাবুন নাওয়াজেল-১২/৫০৯]
إذا استاجر رجلا لينحت له طنبورا أو بربطا ففعل يطيب له الأجر إلا أنه يأثم فى الإعانة على المعصية، (الفتاوى التاتارخانية-15/131، رقم-22437)
والأجر يطيب وإن كان السبب حراما، (رد المحتار، كتاب الاجارة، باب الإجارة الفاسدة-9/62)
الإجارة عقد يرد المنافع بعوض، (الهداية، كتاب الإجارة-3/293
বিঃদ্রঃ
বিধর্মীকে সম্বোধন করার সময় বলতে হয়, আসসালামু আলা মানিত্বাবাআল হুদা। মুসলমানকে সম্বোধন করে এটি বলতে হয় না। দিতে হয় সুন্নাহ সম্মত সালাম।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]