প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম
জামাতে নামাজের সময় ঈমাম যখন তাকবির বলে তখন মুক্তাদিও কি তাকবির বলবে ? যেমন , ইমাম সাহেব যখন আল্লাহ হুয়াকবার বলে সিজদায় যবে তখন মুক্তাদিও কি আল্লাহ হুয়াকবার বলতে বলতে সিজদায় যাবে ? নাকি কিছু না বলে সরা সরি সিজদায় যাবে ? ইমাম যখন বলে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ । তখন মুক্তাদিও কি সাথে সাথে বলবে ? নাকি কিছু না বলে দুই দিকে সালাম ফিরবে?
বিস্তারিত জানালে খুশি হব ।
আহালে হক মিডিয়ার প্রচার ও প্রসার এর জন্য অনেক দুয়া ও শুভ কামনা রইল ।
মোহাম্মদ ফারুক
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ।
বাসা : খিলক্ষেত , তালের টেক,
ঢাকা – ১২২৯ ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাযের শুরুর তাকবীর বলা মুক্তাদীর জন্য ফরজ। এটি মুক্তাদী না বললে তার নামাযই শুদ্ধ হবে না।
আর এর পরের তাকবীরগুলো বলা সুন্নত।
আর “আসসালামু আলাইকুম” বলা ওয়াজিব।
রুকু সেজদায় গমণ ও আসা এবং সালাম ফিরানোর তাকবীর সবই ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদীও বলবে। এটাই সুন্নত।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ،
وفيه ايضا: يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، وَابْنُ الْمُبَارَكِ، وَالشَّافِعِيُّ، وَأَحْمَدُ، وَإِسْحَاقُ: إِنَّ تَحْرِيمَ الصَّلاَةِ التَّكْبِيرُ، وَلاَ يَكُونُ الرَّجُلُ دَاخِلاً فِي الصَّلاَةِ إِلاَّ بِالتَّكْبِيرِ.
سَمِعْت أَبَا بَكْرٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبَانَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ، يَقُولُ: لَوِ افْتَتَحَ الرَّجُلُ الصَّلاَةَ بِسَبْعِينَ اسْمًا مِنْ أَسْمَاءِ اللهِ تَعَالَى وَلَمْ يُكَبِّرْ لَمْ يُجْزِهِ،
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সালাতের চাবি হল, তাহারাত। তাকবীরে তারীমা [সালাতের পরিপন্থী] সকল কাজ হারাম করে দেয় আর সালাম তা হালাল করে।
হযরত সুফিয়ান সাওরী, ইবনে মুবারক, ইমাম শাফেয়ী, আহমদ ও ইসহাক রহঃ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, সালাতের তাহরীমা বল, তাকবীর বলা; তাকবীর ব্যতীত কেউ সালাতে দাখিল হয়েছে বলে গণ্য হবে না।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিজী রহঃ বলেন যে, আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী রহঃ বলেছেন, আল্লাহর নামসমূহের সত্তরটি নাম নিয়েও যদি কেউ সালাত শুরু করে কিন্তু সে যদি তাকবীর না বলে তবে তার সালাত হবে না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৩৮]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় ইমামকে নির্ধারিত করা হয়েছে তার অনুসরণের জন্য। তো যখন ইমাম তাকবীর বলে, তখন তোমরাও তাকবীর বল। আর যখন ইমাম কিরাত পাঠ করে তখন তোমরা চুপ থাকো। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ বলে তখন তোমরা রাব্বানা লাকালহামদ বল। [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]