প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় কুরবানির কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের (স্বেচ্ছায় নিয়োজিত, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় না; নিজে থেকেই এসে কাজ শুরু করে। পরিচিত/ আত্মীয় বিদায় কাজ করতে নিসেদ করা যায় না। ) জন্য কুনো পারিস্রমিক নির্ধারণ করা হয় না । গোস্ত ৩ ভাগ করার পর কুরবানি দাতার অংশ থেকে কুরবানির কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের গুস্ত হাদিয়া দেওয়া হয়। পারিশ্রমিক নির্ধারণ করাটা অনেকে ভাল ভাবে নেয়না। এমতাবস্থায় কি করণীয় জানালে খুব উপকার হয়।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শ্রমের বিনিময়ে কুরবানীর গোস্ত প্রদান করা জায়েজ নয়। তা’ই এ পদ্ধতি পরিহার করতে হবে।
কুরবানীর গোস্ত না দিয়ে পারিশ্রমিক দিতে হবে। পারিশ্রমিক দেবার পর হাদিয়া স্বরূপ গোস্ত প্রদান করলে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু পারিশ্রমিক না দিয়ে, গোস্ত প্রদান করলে তা পারিশ্রমিকই হয়ে যায়। যদিও মুখে বলা হয় যে, পারিশ্রমিক নয় হাদিয়া স্বরূপ দেয়া হচ্ছে।
তাহলে এক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকে যে, যদি হাদিয়াই উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে কাজ না করা অবস্থায়ইতো দেয়া যেতো, কাজ করার পর কেন?
কাজ করার পর মুখে হাদিয়া বলে গোস্ত দিলেও, তা মূলত পারিশ্রমিক হিসেবেই প্রদান করা হয়, তা’ই একাজ অবশ্যই বর্জনীয়।
فى الدر المختار: (وَلَا يُعْطَى أَجْرُ الْجَزَّارِ مِنْهَا) لِأَنَّهُ كَبَيْعٍ
وفى رد المحتار: (قَوْلُهُ لِأَنَّهُ كَبَيْعٍ) لِأَنَّ كُلًّا مِنْهُمَا مُعَاوَضَةٌ،لِأَنَّهُ إنَّمَا يُعْطَى الْجَزَّارُ بِمُقَابَلَةِ جَزْرِهِ وَالْبَيْعُ مَكْرُوهٌ فَكَذَا مَا فِي مَعْنَاهُ كِفَايَةٌ (رد المحتار، كتاب الاضحية، فروع-9/475
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]