প্রশ্ন
প্রশ্নকর্তা-এনামুল হক, কিশোরগঞ্জ
বিষয়ঃ কুরবানী
মাননীয় মুফতী সাহেব! আমরা যে সমস্ত চাকরকে খানাসহ বেতন নির্ধারণ করে রাখি, তাদের কে কি কুরবানীর গোস্ত খাওয়াতে পারবো?
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
খানা ও থাকার সাথে বেতনভূক্ত কাউকে কুরবানীর গোস্ত খাওয়ানো জায়েজ নয়।
কারণ, খানাটাও উক্ত ব্যক্তির বেতনের একটি অংশ। আর কুরবানীর গোস্তকে কোন বিনিময় হিসেবে প্রদান করা জায়েজ নয়।
তবে এক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে উক্ত চাকুরীজীবির জন্য কুরবানীর গোস্ত খাওয়া জায়েজ হবে। সেটি হল, যে ক’দিন কুরবানী গোস্ত খাবে, সে ক’দিনের খানার টাকা তাকে প্রদান করে দিবে।
এরপর যে গোস্ত খাবে, সেটিকে আর প্রতিদান ধরা যাবে না, কারণ, তখন সেটি হাদিয়া বা মেহমানদারী হিসেবে ধর্তব্য হবে।
বেতনের খাওয়ানোর দায়িত্ব হিসেবে নয়, বরং এমনিতে হাদিয়া স্বরূপ যদি কর্মচারীটি বাড়িতে গোস্ত নিয়ে খাবার জন্য কুরবানীর গোস্ত মনীব প্রদান করে, তাহলে তা গ্রহণ করা কর্মচারীর জন্য জায়েজ আছে।
فى الدر المختار: (وَلَا يُعْطَى أَجْرُ الْجَزَّارِ مِنْهَا) لِأَنَّهُ كَبَيْعٍ
وفى رد المحتار: (قَوْلُهُ لِأَنَّهُ كَبَيْعٍ) لِأَنَّ كُلًّا مِنْهُمَا مُعَاوَضَةٌ،لِأَنَّهُ إنَّمَا يُعْطَى الْجَزَّارُ بِمُقَابَلَةِ جَزْرِهِ وَالْبَيْعُ مَكْرُوهٌ فَكَذَا مَا فِي مَعْنَاهُ كِفَايَةٌ (رد المحتار، كتاب الاضحية، فروع-9/475
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
মুহাদ্দিস-জামিয়া উবাদা ইবনুল জাররাহ, ভাটারা ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]