প্রশ্ন
আমি একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই ।
একঃ- ওয়াজের ওয়াজিনদের ব্যাপারে আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরি সাহেব একটি
বলেন কোরআনে আছেঃ-
একঃ- অপরকে যে পথে চলতে বলবে আগে নিজেই সেই নিজেই সেই পথের উপরে আমল করবে ।
দুইঃ- দাওয়াত দিবে মানুষকে নিঃস্বার্থ ভাবে । কোন বিনিময় ছাড়া ।
কিন্তু তিনি কোরআনের আয়াত গুলি বলেন নাই ।
আমি উপরের কথা গুলি কি কোরআনের ?
যদি হয় সূরা নাম এবং আয়াত নাম্বার দিলে উপকৃত হতাম ।
বা শুধু সূরার নাম বললেও হবে ।
প্রশ্নকর্তা-আশরাফুল আলম রনী।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী দা.বা. এর উপরোক্ত দু’টি বক্তব্যই কুরআনে কারীমের আয়াতের ভাবার্থ।
নিজে আমল না করে অপরকে দাওয়াত দেবার প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে ইরশাদ হচ্ছে
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ [٦١:٢]
মুমিনগণ! তোমরা যা কর না,তা কেন বল? {সূরা আসসফফ-২}
এ আয়াত পরিস্কার ভাষায় বুঝাচ্ছে যে কাজের দাওয়াত দেয়া হয়, সেটি নিজেও আমল করতে হবে।
আর কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দাওয়াত দেয়ার নির্দেশ একাধিক আয়াতে আছে। দুনিয়া কামাইয়ের জন্য দাওয়াত দিবে না। ইরশাদ হচ্ছে-
لَّا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِّن نَّجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤:١١٤]
তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভাল নয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধিস্থাপন কল্পে করতো তা স্বতন্ত্র। যে একাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমি তাকে বিরাট ছওয়াব দান করব। {সূরা নিসা-১১৪}
সুতরাং বুঝা গেল আল্লামা ওলীপুরী দা.বা. এর কথাগুলো কুরআনের আয়াতেরই প্রতিধ্বনি।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।