প্রচ্ছদ / নামায/সালাত/ইমামত / মা বাবার সাথে দুর্ব্যবহারকারী ব্যক্তিকে ইমাম বানানো যাবে কি?

মা বাবার সাথে দুর্ব্যবহারকারী ব্যক্তিকে ইমাম বানানো যাবে কি?

প্রশ্ন

আচ্ছালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ, মোঃশফিকুল ইসলাম বাগে মদিনা শিধলকুড়া, ডামুড্যা শরিয়তপুর।

হযরত একটি পরিবারে সদস্য ৬জন, বাবা কাচা মালের ব্যাবসা করতেন ইনকাম সিমিত থাকায় সকলকে সমান ভাবে খরচ দিতে পারতেন না, এবং সকল ছেলে মেয়েদেরকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়া করাইতেন।

তাদের মধ্যে মেজো ছেলেকে মাদরাসায় পড়তে দেন, এবং বাবা সকলকে সমান ভাবে খরচাদি দিতে নাপারায় মেজো ছেলে ও বাবার মাঝে মনমলিন্য হয়।

এই জেদ ধরে মেজো ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তখন তার ১৬ বছর ছিল মা বাবা অনেক খোজা খুজি করেন এবং সকল চেষ্টাই ব্যার্থ হন।

দীর্ঘ দিন পরে তার মোবাইল নংটি পেতে সক্ষম হন,কিন্ত যখনি মোবাইলে মা বাবার আওয়াজ পান তখনি ফোন কেটেদেন, এবং আর received করেননা।

এমনি ভাবে ১৬ বৎসর অতিবাহিত হয়ে যায়, এখন তিনি হাফেজ, মাওলানা, মুফতি হয়েছেন।

তাই তাকে একাধিক বার একান্ত ভাবে মা বাবার সাথে সাক্ষাত ও সেবা যত্নের কথা বলা হলে তখন তিনি মা বাবাকে ঐ ব্যাটা ও ঐ মহিলা বলে সম্মদন করেন, এবং এ মত পোষোন করেন যে, তাদের এন্তেকালের পর তাদের জন্য দোয়া করলেই, কিয়ামতের দিন বাধ্য সন্তান বল গন্য হব। অথচ তারা এখন বার্ধক্য অবস্থায় আছেন, এমনকি তাদের এখন সেবা যত্ন আবশ্যক।

অতএব: হযরতের কাছে আমার জানার বিষয় হল, এমন আলেমের ইমামতি মাদরাসার মসজিদে জায়েজ হবে কি না, অন্য যোগ্য আলেম থাকা সত্বেও।

জরুরি ভাবে দলিল প্রোমানের ভিত্তিতে সমাধান দিয়ে বাধীত করায় হুজুরের নেক হায়াত কামনা করছি।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

পিতামাতাকে মন্দ বলা নিরেট কবীরা গোনাহ। এমন ব্যক্তি ফাসিক। যোগ্য ব্যক্তি থাকা অবস্থায় এমন ফাসিক ব্যক্তিকে ইমাম বানানো মাকরূহে তাহরীমী।

إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا ﴿الإسراء: ٢٣﴾

عن عبد الله بن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن من أكبر الكبائر أن يلعن الرجل والدييه (صحيح البخارى، النسخة الهندية-2/883، رقم-5973)

عن عبد الله عمرو عن النبى صلى الله عليه وسلم قال: إن من أكبر الكبائر أن يسب الرجل والديه (صحيح ابن حبان-1/228، رقم-414)

عن عبد الله أنيس الجهنى قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن من أكبر الكبائر  الشرك بالله، وعقوق الوالدين (سنن الترمذى، النسخة الهندية-2/131، رقم-3020)

وكيره تقديم العبد الأعرابى والفاسق الخ (هداية، اشرفى-1/101، حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-301)

فالحاصل أنه يكره لهؤلاء التقديم ويكره الاقتداء بهم (البحر الرائق، زكريا-1/610، كويته-1/349)

ولعل المراد به من يرتكب الكبائر، كشارب الخمر، والزانى، وآكل الربوا ونحو ذلك، بل مشى فى شرح المنية على أن كراهة تقديمه كراهة تحريم (رد المحتار، زكريا-2/289، كرتاشى-1/559-560)

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

ইমেইল[email protected]

 

0Shares

আরও জানুন

ডাচ বাংলা ব্যাংকের জন্য এটিএম বুথের জায়গা ভাড়া দেয়ার হুকুম কী?

প্রশ্ন আমাদের বিল্ডিংয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি ATM বুথ ভাড়া নিয়েছে। হুজুরের কাছে আমার প্রশ্ন হল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *