প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / মানুষ কী কী কারণে ওয়ারিস হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়?

মানুষ কী কী কারণে ওয়ারিস হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়?

প্রশ্ন

Salman Rahmani

হযরত, একজন মানুষ কি কি কারণে ওয়ারিশ হতে পারে না, একটু ব্যাখ্যা করে বললে উপকৃত হতাম। ‌

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়ারিস না হবার কয়েকটি কারণ রয়েছে:

দাসত্ব। অর্থাৎ যদি কোন আত্মীয় গোলাম বা দাসী হয়, তাহলে তিনি ওয়ারিস হবেন না। তেমনি তার থেকেও ওয়ারাছাত চলবে না।

এমন হত্যাকাণ্ড যার ফলে কিসাস বা কাফফারা আবশ্যক হয়।

দ্বীন ভিন্ন ভিন্ন হওয়া। সুতরাং কাফের মুসলমানদের ওয়ারিস হবে না, তেমনি মুসলমান কোন কাফেরের মিরাস পাবে না।

রাষ্ট্র ভিন্ন হওয়া। রাষ্ট্র বলতে দারুল ইসলাম ও দারুল হরবের পার্থক্য। অথবা এক দারুল হরবের আরেক দারুল হরবের সাথে পার্থক্য হলে।

এ নিষিদ্ধতার সম্পর্ক শুধুমাত্র কাফেরদের সাথে। অর্থাৎ দারুল ইসলামে বসবাসকারী অমুসলিম দারুল হরবের  আত্মীয় এর ওয়ারিস হবে না। অথবা এক দারুল হরবে বসবাস করে অন্য দারুল হরবের কারো ওয়ারিস হবে না।

তবে মুসলমানদের জন্য এ প্রতিবন্ধকতা নেই। মুসলমান এক দারুল হরবে থেকে দারুল ইসলাম থেকে কিংবা দারুল ইসলামে থেকে দারুল হরব থেকে এবং এক দারুল হরবে থেকে অন্য দারুল হরব থেকে মিরাস পাবে।

আরো কিছু কারণে ওয়ারিস হওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারে। যেমন তার থেকে উপরের কোন আত্মীয় জীবিত থাকলে। যেমন আপন ছেলে জীবিত থাকতে নাতি নাতনী মিরাস পায় না ইত্যাদি।

المانع من الإرث أربعة: الرق وافرا كان أو ناقصا، والقتل الذى يتعلق به وجوب القصاص او الكفارة، واختلاف الدينين، واختلاف الدارين، إما حقيقة كالحربى والذمى، او حكما كالمستأمن والذمى، اوالحربيين من دارين مختلفين، والدار إنما تختلف باختلاف المنعة والملك لانقطاع العصمة فيما بينهم (السراجى فى الميراث-13-15)

ومن المتفق عليه بين الفقهاء أن المسلمين يتوارثون فيما بينهم مهما اختلفت ديارهم ودولهم وجنسياتهم، وعند الإمام أبى حنيفة وهو الراجح فى مذهب الشافعية، وعند بعض الحنابلة، ان اختلاف الدارين يمنع من التوارث بين غير المسلمين (الموسوعة الفقهية الكويتية-3/28، رد المحتار، زكريا-10/503)

وفريق يرثون بحال، ويحجبون بحال، وهذا مبنيى على أصلين: أحدهما هو أن كل من يدلى إلى الميت بشخص لا يرث مع وجود ذلك الشخص سوى أولاد الأم، فإنهم يرثون معها، لانعدام استحقاقها جميع التركة، والثانى الأقرب فالاقرب (السراجى فى الميراث-39-40)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

ইমেইল[email protected] 

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *