প্রশ্ন
ফজরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করতে না পারলে সূর্যোদয়ের কতক্ষণ পর আদায় করা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
সূর্য পরিপূর্ণ উদয়ের পর আরো পনের বিশ মিনিট পর থেকে কাযাসহ সকল নামায পড়া যাবে। এর আগে পড়া যাবে না।
কারণ, সে সময় সূর্যপূজারীরা সূর্যের পূজা করে থাকে।
عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّهُ قَالَ : قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ! أَىُّ اللَّيْلِ أَسْمَعُ قَالَ ” جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ، فَصَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ مَكْتُوبَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الصُّبْحَ ثُمَّ أَقْصِرْ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، فَتَرْتَفِعَ قِيْسَ رُمْحٍ أَوْ رُمْحَيْنِ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ، وَتُصَلِّي لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ مَكْتُوبَةٌ حَتَّى يَعْدِلَ الرُّمْحُ ظِلَّهُ ثُمَّ أَقْصِرْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ تُسْجَرُ وَتُفْتَحُ أَبْوَابُهَا فَإِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ، وَيُصَلِّي لَهَا الْكُفَّارُ
‘আমর ইবনু আনবাসাহ আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! রাতের কোন অংশ অধিক শ্রবণীয় (অর্থাৎ আল্লাহ দু‘আ বেশি কবুল করেন)? তিনি বলেনঃ রাতের শেষাংশ, এ সময় যতটুকু ইচ্ছা সলাত আদায় করবে। কেননা এ সময়ে মালায়িকাহ (ফিরিশতাগণ) এসে ফজরের সলাত শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকেন এবং লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর সূর্য উঠা পর্যন্ত সলাত হতে বিরত থাকবে, যতক্ষণ না তা এক কিংবা দুই তীর পরিমাণ উপরে উঠে। কারণ সূর্য উদিত হয় শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্য দিয়ে। আর কাফিররা এ সময় তার পূজা করে থাকে। এরপর তীরের ছায়া ঠিক থাকা (দ্বি প্রহরের পূর্ব) পর্যন্ত যত ইচ্ছা সলাত আদায় করবে, এ সময়ের সলাত সম্পর্কে ফিরিশতাগণ সাক্ষ্য দিয়ে থাকেন এবং তা লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর সলাত হতে বিরত থাকবে, কেননা এ সময় জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় এবং তার সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয়। যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়বে তখন যত ইচ্ছা সলাত আদায় করবে, কেননা ‘আসরের সলাত পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যকার সলাত সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়া হয়। অতঃপর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সলাত হতে বিরত থাকবে, কেননা তা শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্য দিয়ে অস্ত যায় এবং এ সময় কাফিররা তার উপাসনা করে থাকে। [সুনানে আবু দাউদ-১/১৮১, হাদীস নং-১২৭৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা-১/১৬৪, হাদীস নং-২৬০, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন-১/২৪৪, হাদীস নং-৫৮৪]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]