প্রশ্ন:
জনাব,নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানা যায় যে,আমাদের মহল্লার জামে মসজিদ বর্তমান যেখানে অবস্থিত আছে, সেখানে একটি কবর ছিল। মসজিদ নির্মানের সময় কবরের হাড়-গোড় সব বের করে অন্যত্র পুতে রাখা হয়।এখন কী এই মসজিদে নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা আছে?
উল্লেখ্য যে,বর্তমানে মসজিদ ঢালাই করা হয়েছে।এবং বহু ফেত্নারও সম্ভাবনা রয়েছে। হাওলা সহ জানালে কৃতঞ থাকবো।
মোঃ শরীফুল ইসলাম।
হুলহুলিয়া,সিংড়া,নাটোর।?
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব:
মসজিদ নির্মাণের সময় কবরে লাশের হাড়-গোড় থাকা অবস্থায় উক্ত স্থানটিতে মসজিদ নির্মাণ ঠিক হয়নি। এতে মৃতকে অসম্মান করা হয়েছে। যদি হাড়-গোড় সহ পূর্ণ শরীর মাটির সাথে মিশে যেত, তাহলে সেখানে মসজিদ নির্মাণে কোন সমস্যা ছিল না যদি কবরের মৃতের পরিবার অনুমতি দিয়ে থাকে।
হাড়-গোর সরিয়ে মসজিদ নির্মাণ করার দ্বারা কাজটি ঠিক না হলেও যদি মৃতের পরিবার কবরটিকে মসজিদ নির্মাণে রাজি থেকে থাকে, তাহলে এটি শরয়ী মসজিদ হয়ে গেছে। তাই এখন এটি মসজিদ হিসেবেই পরিগণিত হবে।
فى رد المحتار- وكذا في المقبرة إذا كان فيها موضع آخر أعد للصلاة وليس فيه قبر ولا نجاسة (الرحر الرائق، كتاب الصلاة، باب ما يفسد الصلاة وما يكره فيها-2/58
অনুবাদ- কবরস্থানে নামায পড়া জায়েজ আছে। যদি তাতে নামায পড়ার আলাদা স্থান থাকে এবং তাতে কবর ও নাপাক না থাকে। {আল বাহরুর রায়েক-২/৫৮, ফাতাওয়া শামী-১/৩৮০, তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৯০}
فى عمدة القارى شرح صحيح البخارى- قال ابن القاسم لو أن مقبرة من مقابر المسلمين عفت فبنى قوم عليها مسجدا لم أر بذلك بأسا وذلك لأن المقابر وقف من أوقاف المسلمين لدفن موتاهم لا يجوز لأحد أن يملكها فإذا درست واستغنى عن الدفن فيها جاز صرفها إلى المسجد لأن المسجد أيضا وقف من أوقاف المسلمين لا يجوز تملكه لأحد فمعناهما على هذا واحد وذكر أصحابنا أن المسجد إذا خرب ودثر ولم يبق حوله جماعة والمقبرة إذا عفت ودثرت تعود ملكا لأربابها فإذا عادت ملكا يجوز أن يبنى موضع المسجد دارا وموضع المقبرة مسجدا وغير ذلك فإذا لم يكن لها أرباب تكون لبيت المال (عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الصلاة، باب هل تنبش قبور مشركي الجاهلية ويتخذ مكانها مساجد-3/435 زكاريا
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।