প্রচ্ছদ / আকিদা-বিশ্বাস / পাক পাঞ্জাতন বলতে কী বুঝানো হয়?

পাক পাঞ্জাতন বলতে কী বুঝানো হয়?

প্রশ্ন

প্রশ্নকর্তা-ইমতিয়াজ

পাক পান্জাতন বিষয়ে যা বলা হয়, তা কি সহিহ?
যদি সহিহ হয় রেফারেন্স দিলে ভাল হয় আর যদি জাল বা বানানো হয় তাও জানালে ভালো হয়।

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

পাক পাঞ্জাতন এটির বাংলা অনুবাদ হল, পাঁচ পবিত্র ব্যক্তি। এটি শিয়াদের একটি বিশেষ আকীদা। যার দ্বারা তারা উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হযরত আলী রাঃ, হযরত ফাতিমা রাঃ, হযরত হাসান রাঃ, হযরত হুসাইন রাঃ। এ ৫জনকে মিলিয়ে তারা পাক পাঞ্জাতন বলে থাকে।

এর মানে এ পাঁচ ব্যক্তিত্ব পবিত্র।

বাহ্যিকভাবে এ দাবীতে কোন সমস্যা নেই। কারণ, আমাদেরও আকীদা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসূম তথা নিষ্পাপ। আর বাকি সাহাবাগণ মাহফূজ তথা গোনাহ করেছেন, কিন্তু তাদেরকে গোনাহের উপর অটল থাকতে আল্লাহ দেননি। তাই এ হিসেবে তারাও পবিত্র।

কিন্তু শিয়ারা নবীসহ বাকি চার সাহাবার নাম নিয়ে অবশিষ্ট সমস্ত সাহাবাদের প্রতি অপবিত্রতার ইংগিত করে থাকে। অথচ কুরআনের আয়াতের দ্বারা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানিতা স্ত্রীগণকে আহলে বাইত সাব্যস্ত করে তাদেরও পবিত্র হিসেবে কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে।

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا (33

হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে আহলে বাইত তথা নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। {সূরা আহযাব-৩২,৩৩}

তাছাড়া নবী ছাড়াও তাদের বিশ্বাসে ইমামদেরও মাসূম বা নিষ্পাপ মনে করে। যা সুষ্পষ্ট কুফরী আকীদা।

এ কারণে পাক পাঞ্জাতন শব্দটি প্রকৃত মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এর মাঝে শিয়াদের কুফরী আকীদা লুকায়িত রয়েছে।

عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا تسبوا أصحابى، فإن أحدكم لو أنفق مثل أحد ذهبا ما أدرك مد أحدهم ولا نصيفه (صحيح مسلم، فضائل الصحابة، باب تحريم سب الصحابة-2/320، رقم-2540)

ويكف عن ذكر الصحابة رضى الله عنهم إلا بخير لما ورد من الأحاديث الصحيحة فى مناقبهم، ووجوب الكف عن الطعن فيهم كقوله عليه السلام : لا تسبوا أصحابى فلو أن أحدكم إن أنفق مثل أحد ذهبا ما بلغ مد أحدهم ولا نصيفه” وكقوله عليه السلام “اكرموا أصحابى، فإنهم خياركم” (شرح العقائد النسفية-116، الشرح الفقه الاكبر لملا على القارى-71)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক ও প্রধান মুফতী – মা’হাদুত তালীম ওয়াল  বুহুসিল ইসলামী ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ফারূকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।

আরও জানুন

নাপাক লুঙ্গি পরিধান করে ফরজ গোসল করলে শরীর ও লুঙ্গি পবিত্র হবে কি?

প্রশ্ন নাপাক কাপড়ে কি ফরজ গোসল করলে পাক হওয়া যায়? উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم …

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস