প্রশ্ন
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম।
মোঃ শাহ আলম,বাটাজোর,ভালুকা,ময়মনসিংহ।
আমার প্রশ্ন হলোঃ- “সাতজন মিলে কুরবানী দিলে এদের মধ্যে একজনের নিয়ত যদি সহিহ না হয় তাহলে সকলের কুরবানি বাতিল হয়ে যাবে।” এটা আমরা জানি এবং মানি। কিন্তু আমার এক বন্ধু আমার কাছে এই ফতোয়ার স্বপক্ষে কুরআন ও হাদিসের দলিল চাইলেন। আমি আহলে হক মিডিয়ার অ্যাপ এর ফতোয়া দেখাই। সেখানে শুধু কিছু কিতাবের রেফারেন্স দেওয়া আছে। এখন কুরআন ও হাদিসের দলিল দিয়ে উত্তর জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো। ধন্যবাদ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইবাদত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত শর্ত। নিয়ত ছাড়া কোন ইবাদতই ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয় না।
হাদীসে আসছে যে,
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى
হযরত উমর বিন খাত্তাব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি কাজের হুকুম তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১]
শরীকানা কুরবানীতে এক পশুর অংশে সকলে অংশিদার। তাই একাংশের মালিকের নিয়ত যখন খারাপ হবে, তখন এটি পূর্ণ পশুতেই ছড়িয়ে পড়বে। যেহেতু পশুর কোন নির্দিষ্ট অংশ কারো অংশিদারিত্ব থেকে আলাদা নয়। তাই পুরো পশুর হুকুমই নাজায়েজ হয়ে যাবে।
আমরা বুখারীর হাদীস পেশ করলাম। যদি ঐ লোক না মানে, তাহলে তাকে বলুন, এর বিপরীত এমন কোন আয়াত বা হাদীস পেশ করতে, যাতে আসবে যে, অংশিদার কারো নিয়ত খারাপ থাকলেও বাকিদের কুরবানী হবে। এমন কোন আয়াত ও বা হাদীস কোথাও নেই।
তাই বুঝা গেল যে, অংশিদার একজনের নিয়ত খারাপের কারণে বাকিদের কুরবানীও নষ্ট হয়ে যাবে।
যেমন সাতজন মিলে এক বালতিতে পানি রাখলো, এখন একজন যদি নাপাক পানি রাখে, তাহলে বাকি
৬ জনের পাক পানিও নাপাক হয়ে যাবে একসাথে হবার কারণে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক ও প্রধান মুফতী – মা’হাদুত তালীম ওয়াল বুহুসিল ইসলামী ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ফারূকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।