প্রশ্ন:
From: sajjadul alam
Subject: Mataphysics (science)
Country : bangladesh
Mobile :
Message Body:
Have admitted free think in Islam? and which and which (1 kind of subject) term of don’t encroach says ALLAH in holy Quran? such as…….”LOGIC and FAITH” that is two way..Can i prove ALLAH is 1 with logic( one kind of MATH or PHYSICS) is that admitted in Quran and Hadis? or other “IJMA or KAUS”? “CONCLUDE”:- In added to “LOGIC and FAITH” is that prove? Is that approval from( QURAN HADIS IGMA KAUS) ?????? PLEASE DESCRIVE ME…..
জবাব:
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার প্রশ্নটির জবাব সহজবোধ্য করার জন্য একে দু’টি ভাগে ভাগ করেছি।
যথা-
১. ইসলামে কুরআন সুন্নাহ ছাড়াও লাগামহীন মুক্তচিন্তার কোন সুযোগ আছে কি?
২. কাউকে আল্লাহ তায়ালা একক এই কথার দাওয়াত দিতে ম্যাথ ও পদার্থবিদ্যা দিয়ে তা প্রমাণ করার অনুমোদন শরীয়তে আছে কি?
১ম অংশের জবাব
ইসলামে শরয়ী সীমারেখা বহির্ভূত মুক্তচিন্তার কোন স্থান নেই। ইসলামকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে হবে। সামগ্রিক জীবনে ইসলামের বেঁধে দেয়া চৌহদ্দির মাঝে থেকেই কালাতিপাত করতে হবে। যা মনে চায় তা’ই করা যাবেনা। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা ‘দুনিয়া পরীক্ষাগার’ উল্লেখ করে ইরশাদ করেছেন যে,
الَّذِي خَلَقَالْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ (2
যিনি মৃত্যু ও জীবনকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাকারী (সূরা মুলক-২) পরীক্ষা কেন্দ্র যেমন পরীক্ষক যা জানতে চেয়েছেন, যা করতে বলেছেন কেবল তা’ই করতে হয়, তেমন দুনিয়াতেও একজন মুসলমান তা’ই করতে পারে যা তার স্রষ্টা করতে বলেছেন। যেভাবে করতে বলেছেন সেভাবেই করতে হবে।
নবীজী সা. দুনিয়াকে আখ্যা দিয়েছেন মুসলমানদের জন্য জেলখানা হিসেবে। ইরশাদ করেছেন যে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ
অর্থাৎ দুনিয়া মুসলমানদের জন্য জেলখানা আর কাফেরদের জন্য জান্নাত। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৭৬০৬)
সুতরাং লাগামহীন উদার মুক্তচিন্তা কখনোই ইসলাম সাপোর্ট করেনা। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা এক আয়াতে ইরশাদ করেন যে,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ ادْخُلُواْ فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ (208
অর্থাৎ হে মুমিনরা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবিষ্ট হও। আর তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ করনা। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা-২০৮)
অন্যত্র মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন যে,
وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ (285
তোমরা বল যে, আমরা শুনলাম আর মানলাম। তুমিই আমাদের ক্ষমাকারী প্রতিপালক। আর তোমার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।(সূরা বাকারা-২৮৫)
সুতরাং বুঝা গেল। ইসলামে লাগামহীনতার কোন দখল নেই। একজন মুসলিম তার পূর্ণ জীবনটাই আল্লাহ এবং তার নবী সা. এর আদর্শের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। কুরআন সুন্নাহর গন্ডির বাইরে কোন কিছু করার তার কোন এখতিয়ার নেই। এর মানে এই নয় যে, দুনিয়া নিয়ে কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা করা ইসলামে বৈধ নয়। বরং লাগামহীনতা ইসলাম সাপোর্ট করেনা। ইসলাম বরং চিন্তা-ভাবনাকে প্রশ্রয় দেয়। করতে উৎসাহ প্রদান করে। এই জন্যই মহান রাব্বুল আলামীন এক আয়াতে ইরশাদ করেন যে,
أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ اخْتِلاَفًا كَثِيرًا (82
তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করেনা? যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তাহলে তারা তাতে অসংখ্য মতভেদ পেত।(সূরা নিসা-৮২)
তাই গবেষণা, উদ্ভাবন এটা নিন্দনীয় কোন বিষয় নয়। বরং প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে লাগামহীন হওয়া যাবেনা। যদ্বারা নিজের ঈমানের উপর শংকা চলে আসে।
২য় অংশের জবাব
দাওয়াত দেবার ক্ষেত্রে ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে তার মূলনীতি। ইরশাদ হয়েছে
–ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ (125
অর্থাৎ তোমরা ডাক আল্লাহর পথে হিকমতের সাথে (বুদ্ধিমত্বার সাথে)। আর সুন্দর নসিহত করে। আর তাদের সাথে বিতর্ক কর উত্তম পন্থায়। তোমাদের রব জানেন কে তার পথ থেকে বিচ্যুত হবে। আর তিনি হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারেও ভাল জানেন (সূরা নাহল-১২৫)
এই আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, মানুষকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে হবে বুদ্ধিমত্বার সাথে। সুন্দরভাবে। উত্তম পন্থায় বিতর্ক করে। তা’ই একজন যুক্তিবাদী মানুষকে দাওয়াত দিতে হলে তাকে বুদ্ধিমত্বার সাথে তার যুক্তি দিয়েই তাকে আল্লাহর পথে আহবান করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সুতরাং যেকোন বিষয় দ্বারাই আল্লাহর অস্তিত্ব ও দ্বীন প্রচার করা হোক তা বৈধ হবে। কিন্তু শর্ত হল এই যুক্তিতর্ক যেন কিছুতেই দ্বীনের মৌলিকত্বের গন্ডির বাইরে না যায়। যেমন আল্লাহ এক বুঝাতে গিয়ে ভগবান ১০০ জন মেনে নেয়া। এরকম কুফরী কথার মাধ্যমে দাওয়াত দেয়া যাবেনা। গন্ডির মধ্যে থেকেই যতটুকু সম্ভব যুক্তিতর্ক ব্যবহার করা যাবে।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্বীনের দায়ী হিসেবে কবুল করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।