প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম, আমাকে একটি মাছালা বলবেন হানাফি মাঝহাবে জামাতে নামাজ পরার সময় ইমামের পিছনে রুকু এবং সিজদা তে ইমাম জখন আল্লাহু আকবর বলে মুসুল্লীরা কি আল্লাহু আকবর বলতে হবে কি না ?
আর জদি না বলে তাহলে নামাজ হবে কি না?
আসা করি উত্তর টা পাব
Waly Mohammed
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জামাতে নামাযে পড়ার সময় ইমাম যা বলবেন ও করবেন মুসল্লিগণ তা’ই করবেন ও বলবেন। তবে ইমাম যখন কিরাত পাঠ করবেন, তখন মুসল্লিগণ চুপ থাকবেন।
এমনটিই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
তাই শুধু কিরাত ছাড়া সকল ক্ষেত্রে ইমামের মতই আমল করতে হবে। তবে ইমাম মুসল্লিগণকে জানাতে তাকবীর জোরে জোরে বলবে, কিন্তু মুসল্লিগণ আস্তে বলবেন।
তাকবীরা তাহরীমাটা ফরজ। কারণ, এটিকে নামাযের প্রবেশের মূল বলা হয়েছে। তাই এটি না পড়লে নামায হবে না। বাকি তাকবীরগুলো সুন্নত। তাই কেউ যদি ভুলে নাও পড়ে, তাহলে তার নামায হয়ে যাবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ،
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবীর বলে তখন তোমরা তাকবীর বল। আর যখন কিরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। যখন ইমাম তিলাওয়াত করে “ওয়ালাদ্বল্লীন” তখন আমীন বলো। আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন বল রাব্বানা লাকাল হামদ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৮৮৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪৬, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৪৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭১৩৭]
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। পবিত্রতা হল নামাযের চাবি। তাকবীরে তাহরীমা নামায বহির্ভূত বস্তুকে হারাম করে দেয়, আর সালাম তা হালাল করে দেয়। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২৭৬, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৬১]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com