প্রশ্ন
পিস টিভিতে শান্তির প্রতীক হিসেবে জলন্ত মোমবাতি হাতে নিয়ে কিছু লোককে হাঁটতে দেখা যায়। এটাকি আগুনের পুজা করার মাধ্যমে শিরক করা হচ্ছে না?
শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বান আর মোমবাতি জ্বালিয়ে শান্তি প্রদর্শনের মধ্যে পার্থক্য কি?
সুহাইল , শিবগঞ্জ ,চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
এখানে কয়েকটি বিষয় বুঝতে হবে। যথা-
আগুন কখনোই শান্তির প্রতীক নয়। আগুনকে শান্তির প্রতীক মনে করা অগ্নিপূজকদের বিশ্বাস।
শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বাণ বা মোমবাতি প্রজ্বলন। সব ক’টিই অগ্নি উপাসকদের নিদর্শন।
অন্য ধর্মের পূজনীয় বস্তু হওয়ায় অগ্নিকে শ্রদ্ধা জানাবার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা ইসলামের তাওহীদের চেতনা ও বৈশিষ্ট্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ জাতীয় প্রয়াস জাতিকে পৌত্তলিকতার দিকেও ঠেলে দিবে।
তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
মদীনা আসার পর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের জন্য সমবেত হওয়ার এলান বিষয়ে পরামর্শ করলে, আগুন জ্বালিয়ে সকলকে সতর্ক করা বিষয়ে পরামর্শ দিলে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য থাকায় তা নাকচ করে দেন।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: ذَكَرُوا النَّارَ وَالنَّاقُوسَ، فَذَكَرُوا اليَهُودَ وَالنَّصَارَى
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (নামাযে সমবেত হওয়ার জন্য) সাহাবা-ই কিরাম (রাঃ) আগুন জ্বালানো অথবা নাকূস বাজানোর কথা আলোচনা করেন। আবার এগুলোকে (যথাক্রমে) ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রথা বলে উল্লেখ করা হয়। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬০৩]
رِوَايَةُ رَوْحِ بْنِ عَطَاءٍ عَنْ خَالِدٍ عِنْدَ أَبِي الشَّيْخِ وَلَفْظُهُ فَقَالُوا لَوِ اتَّخَذْنَا نَاقُوسًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاكَ لِلنَّصَارَى فَقَالُوا لَوِ اتَّخَذْنَا بُوقًا فَقَالَ ذَاكَ لِلْيَهُودِ فَقَالُوا لَوْ رَفَعْنَا نَارًا فَقَالَ ذَاكَ لِلْمَجُوسِ (فتح البارى، كتاب الاذان، باب بدء الاذان-2/120)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা-জামিয়া ফারুকিয়া দক্ষিণ বনশ্রী ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]