প্রচ্ছদ / কসম ও মান্নত / কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি কাজ সমাধা হলে কুরবানী করবে বলে মান্নত করলে বিধান কী?

কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি কাজ সমাধা হলে কুরবানী করবে বলে মান্নত করলে বিধান কী?

প্রশ্ন

From: মো:মিনহাজ উদ্দিন সিরাজী
বিষয়ঃ মান্নতের কুরবানি

সালাম বাদ
জানতে চাই,
·একজন ব্যক্তির জন্য কুরবানি ওয়াজিব হয়েছে।
এমন ব্যক্তি একটা মান্নত মেনে ছিলো যে,
আমি ওমুক কাজটা সফল হতে পারলে একটা কুরবানি দিবো,এবং তার সে কাজ সফল,হয়েছে।
(ক) প্রশ্ন হলো সে ব্যক্তি শুধু সে মান্নতের কুরবানি আদায় করে,তাহলে তার জিলহজ্বের কুরবানি আদায় হবে কি.?
(খ) মান্নতের মাংসের হুকুম কী।
জানালে উপকার হবে।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

“কুরবানী দিবো” বলার দ্বারা লোকটির উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্যের উপর নির্ভরশীল হুকুম।

দু’টি উদ্দেশ্য হতে পারে। যথা-

১-নজরে জবাহ। তথা জবাই করার নজর তথা মান্নত। যদ্বারা মাকসাদ হল, কাজটি সফল হলে, একটি পশু জবাই করে গরীবদের খাওয়াবে। এই পশু জবাইয়ের কোন সময় নির্ধারিত নেই। যেকোন সময়ই করতে পারবে। তা কুরবানীর দিনও করতে পারবে।

২-নজরে উজহিয়্যাহ। তথা কুরবানীর মান্নত। যার দ্বারা উদ্দেশ্য ছিল, তার উপর যে কুরবানী করা আবশ্যক, সেই কুরবানীটি সে আদায় করবে। আর তা আদায়ের নির্ধারিত সময় হল, জিলহজ্ব মাসের দশ, এগার ও বার তারিখ।

এ দু’টি বিষয়ের কোন একটির নিয়তে উক্ত মান্নতটি করা হয়েছে। যার নিয়ত করা হয়েছে, হুকুম সেই অনুপাতে হবে।

যদি ১ম প্রকার মান্নত করে থাকে,তাহলে এর দ্বারা ব্যক্তির উপর আবশ্যক হওয়া কুরবানীর দায়িত্ব মুক্ত হবে না। বরং আলাদা আরেকটি পশু দিয়ে আলাদা কুরবানী দিতে হবে।

আর মান্নত হিসেবে কুরবানীর পশুর গোস্ত নিজে খেতে পারবে না। কোন ধনীকেও দিতে পারবে না। বরং তা গরীবদের মাঝে দান করে দেয়া আবশ্যক।

আর যদি দ্বিতীয় প্রকার মান্নত করে থাকে, তাহলে তা মূলত তার উপর আবশ্যক হওয়া কুরবানীটি করার একটি ওয়াদা হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তাই এর মাধ্যমে, তার উপর ওয়াজিব কুরবানী আদায় হবে। এর গোস্ত নিজেও খেতে পারবে। ধনী গরীব সবাইকে দিতে পারবে। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া-১৭/৮২-৮৩]

إن الدماء أنواع ثلاثة: نوع يجوز لصاحبه أن ياكل منه بالإجماع ونو لا يجوز له أن ياكل منه بالإجماع ونوع اختلف فيه، فالأول: دم الأضحية نفلا كان أو واجبا منذورا كان أو واجبا مبتدأ، والثانى دم الإحصار وجزاء الصيد…….. دم النذر بالذبح، والثالث: دم المتعة القران فعندنا يؤكل وعند الشافعى رحمه الله لا يؤكل، (بدائع الصنائع، كتاب الاضحية، باب يستحب فى الأضحية أن تكون سمينة-4/223-224، بذل المجهود، قديم-4/76، جديد-9/566-567)

وإن نذر أضحية فى ذمته ثم ذبحها فله أن ياكل منها وقال القاضى من أصحابنا من منع الأكل منها وهو ظاهر كلام أحمد بناء على الهدى المنذور، (المغنى لابن قدامة-9/362

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল– [email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …