প্রচ্ছদ / অপরাধ ও গোনাহ / হস্তমৈথুনসহ পাপাচারের আখেরাতে শাস্তি পাওয়া থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে?

হস্তমৈথুনসহ পাপাচারের আখেরাতে শাস্তি পাওয়া থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে?

প্রশ্ন

শুনেছি হস্তমৈথুন করা হারাম , কিয়ামতের দিন হস্তমৈথুনকারীর হাত গর্ভবতী হয়ে যাবে এবং তার ন্যায্য পাওনা দাবী করবে দয়া করে এটার বিস্তারিত আলোচনা করবেন এবং কেই যদি অতীত জীবনে এ জঘন্য কাজ করে থাকে তাহলে কিয়ামতের দিন ঐ অবস্থা থেকে বাঁচার কোন উপায় আছে কি ?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

হস্তমৈথুন করা গোনাহের কাজ। এ কাজ থেকে তওবা করা আবশ্যক।

আর প্রতিটি গোনাহ থেকে মুক্ত হবার পদ্ধতিই হল খালিস দিলে তওবা করা। তওবা করার দ্বারা ব্যক্তি এতটাই পবিত্র হয়ে যায় যে, যেন সে উক্ত গোনাহ করেইনি।

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢

নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২]

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০]

তাওবা করার পদ্ধতি

তওবা হওয়ার জন্য শর্ত তিনটি। যথা-

১- গোনাহ ছেড়ে দেয়া।

২- গোনাহের কাজটি ভবিষ্যতে আর না করার দৃঢ় অঙ্গিকার করা।

৩- পূর্ব গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া।

এ তিনটি কাজ পাওয়া গেলে এরই নাম তওবা। এছাড়া কোন হক্কানী বুজুর্গের হাত ধরে বাইয়াত হয়ে গোনাহ ছেড়ে পূণ্যের কাজ করার বাইয়াত করার মাধ্যমেও তওবা করা যায়। তবে তওবার জন্য এটি জরুরী নয়। নিজে নিজে উপরোক্ত তিনটি কাজ করার দ্বারাই তওবা পূর্ণ হয়ে যায়।

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com

আরও জানুন

অগ্রীম বাসা ভাড়ার উপর বছর অতিক্রান্ত হলে যাকাত কে দিবে?

প্রশ্নঃ মুহতারাম, অমি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে বাড়ি ভাড়া নেই। ভাড়া নেওয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আহলে হক্ব বাংলা মিডিয়া সার্ভিস