হাজারো উলামার উস্তাদ। বহু মাদরাসার মুরুব্বী এবং আল্লাহ ভোলা মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার শাইখুল হাদীস আল্লামা আব্দুল হাই পাহাড়পুরী রহঃ।
ক্ষণজন্মা এক মহা পুরুষ। জমীন যেমন মানুষের পদস্পর্শে গর্ববোধ করে। সমাজ যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। পাপিষ্ট যার সংস্পর্শে পরিণত হয় খাঁটি সোনায়। যার কথায় ইলম আর তাক্বওয়ার নূর ঝরে। দেখলে মালিকের কথা স্মরণ হয়। আমলে আখলাকে সুন্নতে নববীর দ্যুতি ঝিলকে উঠে।
এমনি এক খাঁটি মানুষ। মাটির মানুষ। প্রিয় মানুষ ছিলেন পাহাড়পুরী রহঃ।
গতকাল ২৯ই আগষ্ট ২০১৬ ঈসাব্দ রোজ সোমবার বিকাল তিনটা পঞ্চাশ মিনিটে আল্লাহর এ বুযুর্গ মহান মালিকের সান্নিধ্যে চলে যান।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত ব্রেইন ষ্ট্রোকজনিত অসুস্থ্যতা ছাড়াও ডায়বেটিক ও চোখের রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সর্বশেষ খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবশেষে গতকাল এ নশ্বর ধরাধাম ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান।
মৃত্যুর সময় হযরতের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
মৃত্যুর ছয় ঘন্টার মাথায় নির্ধারিত জানাযায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই সুবিশাল মাঠে। উপছে পড়া উলামা তুলাবা ও মুসল্লিদের স্রোত কামরাঙ্গিরচর মাদরাসা মাঠে। প্রতিটি বিল্ডিং পেড়িয়ে আশপাশের রাস্তা ভরপুর করে দেয়।
ঢাকার শীর্ষ উলামা থেকে নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের বিপুল সমাগম সাক্ষি দেয় “মানুষটা ভাল ছিল”। যার বিয়োগে কেঁদে উঠেছে লাখো মুমিনের হৃদয়। ভালবাসার টানে পঙ্গপালের ন্যায় ছুটে এসেছে প্রিয় মানুষটির শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে।
আমরা হযরতের কীর্তিময় জীবন গাঁথাকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি। এবং হযরতের জন্য মন থেকে দুআ করি। আল্লাহ তাআলা হযরতের যাবতীয় খিদমাতকে কবুল করুন। প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল করুন। তার কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন। হযরতের রেখে যাওয়া আমলী জিন্দেগী আমাদের পাথেয় হোক। হোক অনুপ্রেরণাময়। আমীন।