প্রশ্ন
From: কাউছার
বিষয়ঃ ক্যালেন্ডারে বর্ণিত সময় অনুযায়ি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে আজান দিলে আজান আদায় হবে কি?
আমাদের এখনে সমস্যা হলো রমজানের ক্যালেন্ডারেব সময় অনুযায়ি ফজর শুরু হয় ৩:৪৫ মিনিটে,কিন্তু এই সময় অনুযায়ি আকাশে সুবহে সাদিক দেখা যায় না।সেই সন্দেহের উপরে বিলম্ব করে ৪:০০ টার সময় আজান দেয়া হয়।এখন এটি কতটুকু সঠিক এবং এভাবে করা যাবে কিনা?
এ বিষয়ে আপনার মতামত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
বিষয়টি একটু জটিল। সুবহে সাদিক, সুবহে কাযিব নির্ণয় করার ক্ষমতা সবার নেই। পশ্চিমাকাশে লম্বা সাদা আভা দেখা দেয়া হল সুবহে কাযিব। এর কিছুক্ষণ আড়াআড়িভাবে বড় আকারে সাদা আভা প্রকাশিত হওয়া হল সুবহে সাদিক। যার পর ধীরে ধীরে আলো ফুটতে থাকে।
এ বিষয়টি একটু সুক্ষ্ম বিষয়। সবার চোখে এ পার্থক্য সহজে প্রতিভাত হওয়া আসলে সম্ভব নয়।
তাই এক্ষেত্রে আবহাওয়াবীদদের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের উপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গবেষকগণ এ বিষয়ে গবেষণা করে প্রতি বছরই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের টাইম নির্দিষ্ট করে থাকেন। সেই সাথে সুবহে সাদিক তথা কখন ফজর শুরু হয়, কখন সূর্য উঠে এবং সূর্য অস্ত যায়, তা নির্ণিত করে থাকেন।
যেহেতু বিষয়টি জ্যোর্তিবিদ্যা, মহাকাশ ও আবহাওয়া বিষয়ক। তাই এসব বিশেষজ্ঞদের মতামত আমরা সাধারণত মেনে চলছি।
সেই হিসেবেই ফাউন্ডেশন কর্তৃক সময় নির্ধারণী ক্যালেন্ডার অনুপাতেই আমভাবে আমল করা হয় পুরো বাংলাদেশে। কিছু কিছু ব্যক্তি ছাড়া।
তাই আমাদের চোখে সুবহে সাদিক মনে না হলেও ক্যালেন্ডারের সময়সূচি অনুপাতে ফজর নামায পড়তে পারেন। সতর্কতা স্বরূপ একটু পরে পড়াই উত্তম বলে মনে হয়।
আমাদের আবদার!
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম এবং জ্যোর্তিবিদ্যা ও মহাকাশ বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা উচিত। যারা এ বিষয়ে গবেষণা করে নতুন করে নামাযের সময়সূচি নির্দিষ্ট করে দিন। যাতে করে সাধারণ মানুষের মনে যে সুবহে সাদিক নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে তা নিরসন হয়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
ইমেইল- ahlehaqmedia2014@gmail.com