প্রচ্ছদ / প্রশ্নোত্তর / রোযা রেখে ফরজ গোসল না করলে কি রোযা হবে না?

রোযা রেখে ফরজ গোসল না করলে কি রোযা হবে না?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম। যদি কোনো ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে সহবাস করে অথবা কারো স্বপ্নদোষ হয়, অতপর গোসলের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে গোসল না করে এবং ফযরের নামায কাজা করে ফেলে তাহলে কি উক্ত ব্যক্তির রোযা হবে? যদি এক্ষেত্রে রোযা না হয়, তাহলে স্বপ্নদোষ হওয়ার পর যদি গভীর ঘুমের কারণে কেউ টের না পায় এবং এ অবস্থায় সাহরীর সময় শেষ হয়ে যায় তাহলে কি রোযা হবে? দয়া করে শীঘ্রই জানাবেন।
মো: আশিকুর রহমান,
ঢাকা।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

রোযা হওয়া না হওয়ার সাথে পাক ও নাপাক থাকার কোন সম্পর্ক নেই। রোযা হল, নিয়তের সাথে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সহবাস থেকে মুক্ত থাকার নাম।

উপরোক্ত আমল পাওয়া গেলে ব্যক্তি নাপাক হলেও রোযা হবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত উভয়ে সূরতে রোযা পূর্ণ হবার মাঝে কোন ঘাটতি থাকবে না।

বাকি রমজান মাসে নামায কাযা করা যে মারাত্মক গোনাহের কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এভাবে নাপাক থাকাও উচিত নয়।

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ  [٢:١٨٧]

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-১৮৭]

واصبح جنبا وان بقى كل اليوم لم يفطر، (رد المحتار، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم ومالا يفسده-3/372، مطلب فى حكم الاستمناء بالكف)

عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ

হযরত নওফেল বিন মুআবিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যার নামায ফউত হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৬৪২}

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।

ইমেইল- [email protected]

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *