প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ।
১) অনেক সময় বাড়ি থেকে বাহিরে বের হয়ে যদি মনে হয় যে কিছু ফেলে এসেছি এবং তাৎক্ষণিক বাড়ি ফিরে আসি তখন আম্মা বলে যে বাবা কিছুক্ষণ বসে থেকে তারপর যা। ফিরে এলে অমঙ্গল হয় । আল্লাহর নাম নিতে নিতে বের হ ।
২) যদি বাড়ি থেকে বের হবার সময় বলি যে, আম্মা আমি যাই । আম্মা তখন বলে যে , যাই বলতে নাই। বল “আম্মা আসি” ।
উপরের বিষয় দুইটি কি কুসংস্কার ? যদি মেনে চলি তবে কি গুনাহ হবে ?
আহালে হক মিডিয়ার প্রচার ও প্রসার এর জন্য অনেক দুয়া ও শুভ কামনা রইল ।
মোহাম্মদ ফারুক
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ।
বাসা : খিলক্ষেত , তালেরটেক,
ঢাকা – ১২২৯ ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এসবই কুসংস্কার। এসবকে দ্বীন মনে করলে গোনাহ হবে। এসব পরিহার করতে হবে। এসবের কোন ভিত্তি ইসলামে শরীয়তে নেই।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ رَدَّتْهُ الطِّيَرَةُ مِنْ حَاجَةٍ، فَقَدْ أَشْرَكَ “، قَالُوا (1) : يَا رَسُولَ اللهِ، مَا كَفَّارَةُ ذَلِكَ؟ قَالَ: ” أَنْ يَقُولَ أَحَدُهُمْ: اللهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُكَ، وَلَا طَيْرَ إِلَّا طَيْرُكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ “
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কুলক্ষণের কারণে তার প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকে, সে ব্যক্তি শিরক করল। সাহাবাগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এর কাফফারা কী? তিনি বললেন, একথা বলা যে, “আল্লাহুম্মা লা খাইরা ইল্লা খাইরাকা, ওয়ালা ত্বয়ারা ইল্লা তাইরাকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা”। অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনার মঙ্গল ব্যতিত আর কোন মঙ্গল নেই, আপনার পক্ষ থেকে সুসাব্যস্ত দুর্ভাগ্য ব্যতিত আর কোন দুর্ভাগ্য হতে পারে না এবং আপনি ব্যতিত আর কোন মাবুদ নেই। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৭০৪৫]
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الطِّيَرَةُ شِرْكٌ وَمَا مِنَّا إِلَّا وَلَكِنَّ اللَّهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ»
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কুলক্ষণ মনে করা শিরক, আর যে তা মনে করে সে আমাদের দলভূক্ত নয়, তবে আল্লাহ তাআলা উক্ত বিষয়টিকে দূর করে দেন তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৯১০, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৫৩৮]
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।