প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
সুপ্রিয় ভাই বুজুর্গ,
তাবলীগ জামাতের পুরো নেসাবকে সুন্নাত মনে করা যাবে কি?
বিস্তারিত জানতে চাই।
জাযাকাল্লাহ
আবদুল্লাহ
মিরপুর
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তাবলীগের পূর্ণ কার্যক্রমকে আমভাবে সুন্নত বলা না গেলেও তাবলীগের প্রায় সব কাজই সুন্নাহ সম্মত।
যেমন তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম কয়েকটি বিষয়ের সমন্বয়ে হয়ে থাকে। যেমন-
১-মানুষকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দেয়া হয়।
২-কালিমার দাওয়াত দেয়া হয়।
৩- নামাযের দাওয়াত দেয়া হয়।
৪-ইলম শিখতে উৎসাহ দেয়া হয়।
৫-সুরা কিরাত, প্রয়োজনীয় মাসআলা শিক্ষা দেয়া হয়্
৬-জিকির করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়। মাসনূন দুআ পড়তে উৎসাহ প্রদান করা হয়।
৭-নিয়ত পরিশুদ্ধ করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়।
৮-মানুষকে দাওয়াত দিতে নিজের এলাকা থেকে বেরিয়ে দূরে সফর করা হয়।
ইত্যাদি ইত্যাদি।
উপরোক্ত সব ক’টি কাজই কিন্তু সুন্নাহ সম্মত। রাসূল সাঃ উপরোক্ত প্রতিটি কাজই করেছেন।
বাকি দাওয়াত দিতে বের হবার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ দিনের পদ্ধতি রাখা হয়েছে, যেমন তিনদিন, চল্লিশ দিন, এক বছর, তিন বছর ইত্যাদি।
এ পরিমাণটা নির্দিষ্ট করা হয়েছে প্রশিক্ষণ ও দাওয়াত পদ্ধতির শৃংখলার জন্য। হুবহু এ পদ্ধতিতে সুন্নাহ বলা যাবে না। বাকি সুন্নাহের বাস্তবায়নের একটি মাধ্যম হওয়ায় তা’ও প্রশংসনীয় পদ্ধতি।
যেমন দ্বীন শিক্ষা করা ফরজ। রাসূল সাঃ থেকে দ্বীন শিক্ষা দান প্রমাণিত। কিন্তু মাদরাসার একাডেমিক পদ্ধতি কিন্তু রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত নয়।
মক্কা ইউনিভার্ষিটি, মদীনা ইউনিভার্সিটি, স্কলারশীপ, শ্রেণী বিন্যাস ইত্যাদি কিন্তু রাসূল সাঃ এর যুগে ছিল না। এসব করতে রাসূল সাঃ নির্দেশও প্রদান করেননি।
তা’ই বলে দ্বীন শিখার সহায়ক এসব পদ্ধতিকে কেউ বিদআত বলে না। কারণ এসব পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে, দ্বীন শিখার সহায়ক হিসেবে। দ্বীন শিখার সুন্নাতকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। তা’ই এ পদ্ধতিও প্রশংসনীয়। যদিও সরাসরি সুন্নত নয়।
তেমনি তিনদিন, এক চিল্লাহ, তিন চিল্লাহ ইত্যাদি সরাসরি সুন্নত না হলেও মূল সুন্নাতকে বাস্তবায়নের সহায়ক হওয়ায় তা প্রশংসনীয়।
জাযাকুমুল্লাহ।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
আল্লাহ পাক আহলে হক্ব মিডিয়াকে দীর্ঘজীবি করুন- আমীন।
Alhamdulillah. I thin it should be go on.