প্রশ্ন
আমি আমার সন্তানের আকীকা করাতে চাই কিন্তু আমার পক্ষে কোরবানী ও আকীকা
করার জন্য ২টি ভাগ নেয়া খুবই কষ্টের, কারন আমি ঋণগ্রস্থ। শুনেছি ঋনগ্রস্থ
থাকলে কোরবানী দেয়া যায়না। অথ্যাৎ আমার পক্ষে কোরবানীর একভাগ নেয়ার
সামর্থ আছে যেহেতু আমি ঋনগ্রস্থ তাই কোরবানী না দিয়ে আকীকা দিতে পারবো
কিনা? আর যারা কোরবানী দিবে তাদের সাথে কোরবানী না দিয়ে আমি আকীকার জন্য
এক ভাগ গ্রহন করতে পারবো কিনা বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব। আসলে আমি
গুছিয়ে প্রশ্ন করতে পারিনাই বলে দুঃখিত। আমার কথার মর্মার্থ আপনি অবশ্যই
বুঝবেন তাই আপনি সেভাবেই বিস্তারিত দালিলীক বিশ্লেষন করলে খুবই উপকৃত হব।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরবানী দেয়া ওয়াজিব। আর আকিকা করা মুস্তাহাব। অনেক ভাই কুরবানীর উপর আকিকা দেয়াকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এটি ভুল পদ্ধতি।
আকিকা না দিলে কোন গোনাহ হবে না। কিন্তু কারো উপর কুরবানী ওয়াজিব হবার পর তা না দিলে ব্যক্তি গোনাহগার হবে।
শুধু ঋণগ্রস্ত হলেই কুরবানী মওকুফ হয়ে যায় না। দেখতে হবে ঋণ ব্যতিরেকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের ব্যক্তি মালিক কি না?
যদি ঋণ বাদ দিয়ে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।
নেসাব বলতে বুঝানো হয়, কুরবানীর দিনসমূহে কোন ব্যক্তি যদি আবশ্যকীয় প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্য পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর কুরবানী করা আবশ্যক। [-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫]
সে হিসেবে আপনি যাচাই করে নিন আপনার উপর কুরবানী আবশ্যক কি না?
যদি আপনার উপর কুরবানী আবশ্যক না হয়, তাহলে আপনি আকিকায় অংশ নিতে পারেন। কোন সমস্যা নেই।
[বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯]والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
জাজাকুমুল্লাহ