প্রশ্ন
আমি,আরিফ হুসাইন, সুবাস্তু নজর ভ্যালী শপিং মল এর ( Asst. Engineer).শাহজাদপুর,গুলশান।
আসসালামু আলাইকুম ফরাজি ভাই,আমি এক আহলে হাদিস ভাইয়ের ভিডিও দেখলাম, প্রশ্নঃ১ আমাদের ইমাম আবু হানিফা কে প্রশ্ন করা হয়েছিল ১০ টি, তার ১ টাও ঊত্তর দিতে পারেনি।কিতাবের নামঃ রাহতুল মুত্তার খন্ডঃ ৫ প্রশ্নঃ২ এছাড়াও ফতুয়াএ আলমগীরি,খন্ডঃ ১ আছে, রমজানের পরের মাসে ৬ টা রোজা রাখা মাকরু,২। আকিকা করা মাকরু,৩। অনা বৃষ্টির জন্য নামাজ পরার কোন হাদিস নেই, এ দুই টি প্রশ্নের বিষয় আপনার মতামত কি?দয়া করে ঊত্তর দিবেন।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
লা-মাযহাবী ফিরক্বার অধিকাংশ লোকই প্রচুর মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতি করে থাকে। যা দীবালোকের ন্যায় সত্য। তাই তাদের কথা শুনেই বিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই। যখনি তারা কোন কথা বলবে,তখনি তাদের বলতে হবে, মূল কিতাব থেকে মূল ইবারত উদ্ধৃত করার জন্য। এছাড়া তাদের কোন কথা স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আপনার উপরোক্ত কোন কথার ভিত্তিই আমাদের জানা নেই। তাই যে অভিযোগ করেছে, তাকে বলুন মূল কিতাবের আরবী ইবারত এবং খন্ড পৃষ্ঠা নাম্বার ও প্রকাশনীসহ প্রমাণ পেশ করতে। তারপর আমরা যাচাই করে দেখবো লোকটি সত্য বলেছে না মিথ্যা বলেছে।
লা-মাযহাবী শায়েখরা বুখারী শরীফ নিয়েও মিথ্যার বেসাতি করে থাকে, যেমন-
১-তাওহীদ পাবলিকেশন্সের বুখারী অনুবাদে নজীরবিহীন জালিয়াতি।
২-তারাবীহ বিষয়ে মুরাদ বিন আমজাদের জালিয়াতি।
৩-তারাবীহ বিষয়ে শায়েখ আকরামুজ্জামানের জালিয়াতি।
৪-ইতিহাস প্রমাণ শায়েখ আসাদুল্লাহ গালিবের জালিয়াতি।
৫-রফয়ে ইয়াদাইন বিষয়ে আসাদুল্লাহ গালিবের হাদীস নিয়ে মিথ্যাচার।
ইত্যাদি।
এরকম ভুরি ভুরি নজীর আছে তাদের জালিয়াতি ও মিথ্যাচারের।
যেখানে কথিত আহলে হাদীস শায়েখরা হাদীস নিয়ে এমন মিথ্যা রেফারেন্স ও তথ্য প্রদান করতে পারে। সেখানে তাদের দোসররা আরো বেশি মিথ্যাচার করবে এটাইতো স্বাভাবিক। তাই তাদের কথা মূল ইবারত, খন্ড পৃষ্ঠা ও প্রকাশনীর নামসহ না বলা পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য নয়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।