প্রশ্ন
আসসালামুআলাইকুম।
আমি একজন জমি ব্যবসায়ী।আমার মোট পু্ঁজি ২০ লক্ষ্য টাকা। আমি ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে জমি ক্রয় করেছি ৮০ লক্ষ্য টাকার। ২০ লক্ষ্য টাকা পরিশোধ করেছি। মালিক আমার কাছে আরো ৬০ লক্ষ্য টাকা পাবে। আমি ১ বছর যাবত কোন জমি বিক্রয় করতে পারিনাই।
প্রশ্ন:আমার কি ২০ লক্ষ্য টাকার যাকাত দিতে হবে ? না কি ৮০ লক্ষ্য ? না কি কোন যাকাত দিতে হবে না।
কারন আমি দেনাদার। ৬০ লক্ষ্য টাকা আমার কাছে জমির মালিক পাবে।
একটু বিস্তারিত জানাবেন দয়াকরে।
মাসউদ
ধাঁনমন্ডি ঢাকা
উত্তর
والله اعلم بالصواب
আপনার পূঁজি ২০ লাখ টাকা। আবার বলছেন ৮০ লাখ টাকার জমি ক্রয় করে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। যদি বিশ লাখ টাকা পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে আপনার আবার বিশ লাখ টাকা পূজি রইল কোথায়? এখনতো আপনার হাত খালি হবার কথা।
যদি পূজি দ্বারা আপনার উদ্দেশ্যই এই হয় যে, আপনার কাছে নগদ ছিল বিশ লাখ টাকা। তারপর আপনি সেই টাকা নগদ পরিশোধ করে মোট আশি লাখ টাকার একটি জমি ক্রয় করেছেন। বাকি আছে আরো ষাট লাখ টাকা।
যদি বিষয় এমনি হয়, তাহলে উপরোক্ত সূরতে আপনার ঋণ হল ষাট লাখ টাকা। এখন দেখতে হবে আপনার জমিটির বর্তমান মূল্য কত? কথার কথা জমিটির মূল্য আশি লাখ টাকাই। আগে থেকে বাড়েনি। তাহলে আপনার বিশ লাখ টাকার যাকাত আদায় করতে হবে। কারণ এ জমি আপনার ব্যবসায়িক জমি। আর ব্যবসায়িক জমির উপর বছর শেষে যাকাত আসে ঋণ বাদ দিয়ে। যেহেতু ঋণ আপনার ষাট লাখ টাকার। আর জমির মূল্য আশি লাখ টাকা। তাই ঋণমুক্ত জমি হল বিশ লাখ টাকা। তাই বিশ লাখ টাকার উপর যাকাত আসবে।
وفى الهندية: الزكاة واجبة فى عروض التجارة كائنة ما كانت إذا بلغت نصابا من الورق والذهب (الفتاوى الهندية-1/179)
وفى المبسوط السرخسى وَإِذَا كَانَ عَلَى صَاحِبِ السَّائِمَةِ دَيْنٌ يُحِيطُ بِقِيمَتِهَا فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ فِيهَا (الى قوله) حَدِيثُ عُثْمَانَ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – حَيْثُ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ فِي رَمَضَانَ، أَلَا إنَّ شَهْرَ زَكَاتِكُمْ قَدْ حَضَرَ فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَلْيَحْتَسِبْ مَالَهُ بِمَا عَلَيْهِ، ثُمَّ لِيُزَكِّ بَقِيَّةَ مَالِهِ، وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِ أَحَدٌ مِنْ الصَّحَابَةِ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ – فَكَانَ إجْمَاعًا مِنْهُمْ عَلَى أَنَّهُ لَا زَكَاةَ فِي الْقَدْرِ الْمَشْغُولِ بِالدَّيْنِ، (المبسوط للسرخسى، كتاب الزكاة، زكاة الابل-2/160
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।