প্রশ্ন
লা-মাযহাবী শায়েখ শহীদুল্লাহ খান মাদানী সাহেব তা “মাসনূন সালাত ও দুআ শিক্ষা” বইয়ের ৮২ নং পৃষ্ঠায়, ২৮৪ নং টীকার আলোকে বলা আছে মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) ইবনে মাসুদ (রা) এর রাফুল ইয়াদাইন কেবল তাকবীরে তাহরীমার সময় করার হাদিসকে “বাতিল” বলেছেন।।
[মাউযু’আত এ কাবীর- ১১০ পৃষ্ঠা, আঈনী তুহফা- ১/১৩১ পৃষ্ঠা]মোল্লা আলী কারী (রহঃ) কি আসলেই ঐ হাদিসকে বাতিল বলেছেন?? বলে থাকলে এর জবাব কি??
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
উপরোক্ত বক্তব্যটি মোল্লা আলী কারী রহঃ এর উপর একটি অপবাদ আরোপ ছাড়া আর কিছু নয়। এমন ডাহা মিথ্যা কথা একজন আলেম দাবিদার ব্যক্তি কি করে করতে পারে? তা আমাদের কিছুতেই বুঝে আসে না।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন। আখেরাতের ভয় কারো অন্তরে থাকলে এমন জঘন্য কথা কি করে বলতে পারে?
জনাব শহীদুল্লাহ খান মাদানী সাহেব যেভাবে বললেন, তাতে মনে হবে যে, হযরত মোল্লা আলী রহঃ বলেছেন রফয়ে ইয়াদাইন না করা সংক্রান্ত সকল হাদীস বাতিল মর্মের বক্তব্যটি মোল্লা আলী কারী রহঃ এর নিজেরই।
অথচ মাওযুআতে কাবীর গ্রন্থে মোল্লা আলী রহঃ আলোচনা প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনুল কাইয়্যুমের উপরোক্ত বক্তব্যটি নকল করেন, তারপর ইবনুল কাইয়্যুম রহঃ এর বক্তব্যটি যে ভুল তা প্রমাণ করেন।
যে বক্তব্যটিকে বাতিল সাব্যস্ত করার জন্য মোল্লা আলী রহঃ উদ্ধৃত করলেন, সেটিকে খোদ মোল্লা আলী কারী রহঃ এর নিজের বক্তব্য সাব্যস্ত করে দেয়া কতবড় খেয়ানত ভাবা যায়?
এসব শায়েখরাতো কুরআন থেকেও শিরক করা প্রমাণিত সাব্যস্ত করে বসবে এ নীতি অনুপাতে। কারণে কুরআনের অসংখ্য স্থানে আল্লাহ তাআলা কাফির মুশরিকদের কুফরী কথা খন্ডন করার জন্য উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তারপর তা খন্ডন করেছেন। কারো বক্তব্য উদ্ধৃত করে খন্ডন করার পরও কি তা খন্ডনকারীর বক্তব্য থেকে যায়?
হায়! হাদীস ও কুরআনের ব্যাখ্যা আজ কোন জালিয়াতদের হাতে ন্যস্ত হল?
আল্লাহ তাআলা এমন জালিয়াত ও মিথ্যুক শায়েখদের প্রতারণা থেকে উম্মতে মুসলিমাকে হিফাযত করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
হযরত মোল্লা আলি কারি র: এর খন্ডন করা বক্তব্য ও যদি তুলে ধরতেন তবে উত্তর মনে হয় আরো সুন্দর হত।