প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম আমার নাম রুপা
দয়া করে আমার মেইলটা ইগনোর করবেন না প্লিজ।খুব বিপদে পরে মেইল করছি।]
আমার পক্ষে কোনো আলেমের কাছে যাওয়া সম্ভব না এখন।তাই আপনাদেরকে মেইল করলাম।
প্লিজ প্লিজ প্লিজ আল্লাহর ওয়াস্তে আমার মেইলের জবাব দিবেন।আমার জীবন টা খুব কঠিন হয়ে আছে।আমাকে উওর দিয়ে সাহায্য করুন প্লিজ।হাতজোড় অনুরোধ করছি।প্লিজ আমার মেইলের জবাব দিবেন।প্লিজ।
শুরুতেই কিছু কথা বলে নিচ্ছি, জীবনে কিছু কারণে অনেক কষ্ট পেয়েছি আমি, সেজন্য আমার ডিপ্রেশনের প্রব্লেম আছে বেশ কয়েক বছর যাবত, ওভারথিংকিং এর প্রব্লেম আছে।ওয়াসওয়াসার সমস্যাও আছে।আমার কাছে যেকোনো জিনিসের নেগেটিভ সাইট টা আগে চোখে পরে, মাথায় একটা কথা ঢুকলে সহজে বের হয়না। টেনশন করি অনেক। অহেতুক বিষয় নিয়ে বা যা না হবে এমন বিষয় নিয়েও অনেক চিন্তা করি বা ভয়ে থাকি।আমি কখনো কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে যাইনি এসব কারণে।
আর, আমার স্বামী খুব ঘাড়বাকা মানুষ। অতিরিক্ত রাগ। এত বেশি রাগ যে ভালোর সময় খুব ভালো মানুষ, কিন্তু রাগের সময় তার চেয়ে ঘাড়বাকা মানুষ আর দুনিয়াতে নেই।তার বয়স অনুযায়ী সে অনেকটাই ইম্যাচিউর (বয়স ২৪-২৫)।
যা-ই হোক, আসল কথাগুলো বলি এখন… আমার বিয়ে হয় ২০২৩ সালের শুরুর দিকে।আমরা দুজনে হারাম সম্পর্কে ছিলাম।আল্লাহর কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হতো।তাই পরিবারকে জানিয়ে সবার খুশিমনে বিয়ে হয় আমাদের পরিবারের উপস্থিতিতে।বিয়ের শুরুর দিকে সব ঠিক থাকলেও ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়া শুরু হলো।
এটার আরেকটা কারণ হতে লারে বদনজর।আমার প্রতিবেশীরা আমাকে আর আমার স্বামীকে নিয়ে একটু বেশিই প্রশংসা করতো, বুঝাই যেতো তাদের আফসোস হচ্ছে।
শুরুর দিকে যখন ঝগড়া হতো আমার মাথায় কই থেকে যেনো তালাকের কথা ঢুকে গেলো।
শুরুর দিকে ঝগড়া হলেই আমি এভাবে বলতাম – > তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি। > আমাকে এই অশান্তি থেকে মুক্তি দাও। কষ্টে কেদে কেদে আল্লাহর কাছেও বলতাম – আল্লাহ আমাকে এই অশান্তি থেকে মুক্তি দাও। > আমি তোমার সাথে সংসার করবোনা। > আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও / আমাকে ছেড়ে দাও।
শুরুর দিকে সে শুধু শুনতো, কোনো উওর দিতোনা।কয়েকদিন বলার পর / যাওয়ার পর সেও এভাবে বলা শুরু করলো – > তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি। > আমাকে এইসব অশান্তি থেকে মুক্তি দাও। > তুমি তোমার মত থাকো, আমাকে আমার মত থাকতে দাও।
( আমি পড়াশুনা করি, আমার স্বামী চাকরি করে পাশাপাশি পড়াশুনা করে।আমি আমার বাবার বাসায় থাকি, আমার স্বামী তার অফিসের বাসায় থাকে, একই শহরে।
১০/১৫ দিন পর দিন আসতো ১ দিনের জন্য।আমার খুব একা লাগতো, সারাদিন অফিসের কাজে বিজি থাকতো, আমাকে তেমন ভাবে সময় দিতে পারতোনা, বাসায় গিয়ে আবার নিজের পড়াশুনা করতো।তাই আরও সময় দিতে পারতোনা।এই সময় না দেয়াটা আমার কাছে খুব অশান্তি লাগতো।আমি কথা বলতে চাইলে সে রাগ দেখাতো।
কারণ তার কাছে সময় কম।পড়া শেষ করে সে আবার ঘুমাবে, সকালে অফিসে যাবে তাই।
আমাদের ঝগড়ার কারণ এই একটাই ছিলো সময় কম দেয়া।এছাড়া আমার স্বামী আর আমি দুজন দুজনকে অনেক বেশি ভালোবাসতাম।ঝগড়া হলেও কিছুক্ষণ পর / তারপরদিন আবার মিলে যেতাম।কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারতাম না।
সে চাইতো আমিও ভালো করে পড়াশুনা করি, সময় টা কাজে লাগাই।তাই রাগে আমাকে এভাবে বলতো) > তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি। > আমি সংসার করবোনা। > আমি তোমার সাথে থাকবোনা। > তুমি তোমার মত, আমি আমার মত। (তাকে পড়তে দিতাম না / কথা বলতে চাইতাম ফোনে, তাই রাগে অভিমানে এসব বলতো।তখন আমরা কেউই জানতাম না এসব কথায় কেনায়া তালাক হতে পারে।আমরা জানতাম কাগজে কলমে তালাক হয় শুধু)
ঝগড়া হতো, আবার মিলেও যেতাম।তবে দিন দিন ঝগড়া আরও বাড়তে লাগলো।আমি অনেক কান্না করতাম।রাগ করতাম।যেটা আমার স্বামীর কাছে প্রেসার লাগতো।প্রেসারে, রাগে অভিমানে সে এসব বলতো।আমিও বলতাম।কিন্তু বাস্তবে দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসতাম।
আমার মাথায় কেমন যেনো কেউ জোর করে তালাক নিয়ে কথা বলাটা ঢুকিয়ে দিলো।মনে হচ্ছিলো কেউ আমাকে দিয়ে জোর করে বলাচ্ছে।
মনে মনে আমার স্বামীকে ছাড়া আমি বাচিনা।কিন্তু রাগ হলেই মুখে শুধু এসব আসতো – > আমি সংসার করবোনা। > আমি তোমার সাথে থাকবোনা। > আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। > আমাকে অন্য কারও সাথে বিয়ে দিয়ে দাও, যে আমাকে রানী বানিয়ে রাখবে৷ কষ্ট দিবেনা।(কথাগুলো স্বামীর সাথে আহ্লাদ করে অভিমানে বলতাম, তবে রাগেই বলতাম)
সে উওরে বলতো – > ঠিকাছে, তোমার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলে ডিসিশন নিবো.. সেও এভাবে অভিমান করে বলতো।আবার রাগ মিটেও যেতো।আমরা মিলেও যেতাম।তখন পর্যন্ত কেউ জানিনা এভাবেও তালাক হয়। হঠাত একদিন ইউটিউবে অটোমেটিক তালাকের ভিডিও আমার সামনে আসলো, এই শুরু হলো আমার তালাক নিয়ে ভিডিও দেখা।এ
গুলো দেখার পর আমার মনের মধ্যে ভয় ধুকে গেলো, আমি আমার স্বামীকে বললাম ব্যাপার টা।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম এসব বলার সময় তার নিয়ত কি ছিলো।সে বলে আমার নিয়ত তালাকের ছিলোনা।আমি এগুলো রাগে অভিমানে বলছি।কোনো কিছু নিয়ত করে বলিনি।তোমাকে শাসনের জন্য / থামানোর জন্য বলছি।
কিন্তু আমার মাথা থেকে এই চিন্তা আর নামেনা।দিন দিন যেনো আরও ঝগড়া বাড়লো।একদিন আমার স্বামী আমাকে জিজ্ঞেস করলো ঠান্ডা মাথায় (তখন আমি মাসিক অবস্থায় ছিলাম) – > তুমি যে এত ডিভোর্স ডিভোর্স করো – “ধরো! আমি তোমাকে ডিভোর্স দিলাম (ভবিষ্যতে দিলাম) তখন তুমি কি করবা? (এটা আমাকে শুধুমাত্র বাস্তবতা বুঝানোর জন্য বলছে, তালাকের নিয়তে বলেনি) আমি তো সাথে সাথে কান্না করে দিয়েছি আর বললাম – আল্লাহ! এটা তুমি কি বললা?
সে উওরে বললো – কি বলছি?! ধরো! আমি তোমাকে ডিভোর্স দিলাম (ভবিষ্যতে) তখন তুমি কি করবা? আমি বললাম আল্লাহ এভাবে বললে নিয়ত না থাকলেও ডিভোর্স হয়ে যায়।সে বললো আমিতো ডিভোর্স দেইনি, আমি তোমাকে বাস্তবতা বুঝাচ্ছি।আর যদি এমন কিছু হয়ে যায় তবে আবার বিয়ে করা যাবে তো, কিন্তু আমিতো তালাকের নিয়তে বলিনি। এরপর আরও অনেক দিন ঝগড়া হতো, ঝগড়ার সময় সেই একই কথা বলতো – > তুমি এখন থেকে / তুমি তোমার রাস্তায়, আমি আমার রাস্তায়।(এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি ফোনে কথা বলতে চাই, সেজন্য সে পড়তে পারেনা ভালো ভাবে।আর পড়তে না পারলে ভালো চাকরি পাবে না।ক্যারিয়ার ভালো হবেনা।তাই রাগে এভাবে বলতো, তালাকের নিয়তে না / কোনো নিয়ত ছাড়াই শুধুমাত্র রাগ করে) > এখন থেকে তুমি তোমার মত আমি আমার মত। আবার দুজনে মিলেও যেতাম একটু পর বা পরদিন।আমার স্বামী স্বাভাবিক সময়ে আমাকে অনেক ভালোবাসতো।
বেশ কয়েকদিন আমি অনেক বেশি যেদ দেখাচ্ছিলাম, কল দিচ্ছিলাম বলে সে প্রেসারে বিরক্ত হয়ে আমার আম্মুকে কল দিয়ে বলতো – > আম্মু আমাকে এই অশান্তি থেকে মুক্তি দেন, আমি ওর সাথে থাকতে চাইনা।(শুধুমাত্র মাত্র প্রেসারে পরে বলতো।বাস্তবে সে আমাকে ছাড়তে চাইতোনা।আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো।কিন্তু আমার স্বামীর রাগ বেশি, সে প্রেসার একদম নিতে পারেনা।সহ্য করতে পারেনা। একদিন রাগ করে আমি তার অফিসের সামনে চলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম।অর্ধের রাস্তা যাওয়ার পর সে আমাকে বললো কলে – > তুমি যদি এখন এখানে এভাবে আসো তাহলে আমাদের রাস্তা আলাদা হয়ে যাবে।(এটা আমাকে আটকানোর জন্য বলছিলো, যেনো আমি ওর অফিসের সামনে না যাই) আমি সেদিন আর ওর অফিসের সামনে যাইনি।কিন্তু অন্য একদিন ভালো সময়ে তাকে না জানিয়ে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তার অফিসের সামনে যাই।আর সেদিন সে খুশি মনে আমাকে রিসিভ করে।আমার সাথে খুশি মনে দেখা করে।>(এখানে কি শর্ত তালাক প্রযোজ্য হবে?) আমি আরও বেশি তালাকের ভিডিও দেখা শুরু করলাম।একদিন আমার মাথায় কি ভুত উঠেছে আমি জানিনা, আমি জানতাম যে মেয়েরা তালাক দিলাম বললে তালাক হয়না, তাকে আমার গুরুত্ব বুঝানোর জন্য ম্যাসেঞ্জারে ইচ্ছা করে আমি লিখলাম ১ বার > আমি তোমাকে তালাক দিলাম এটা লিখে আমি নিজেই কান্না করে দিছি।মনে হচ্ছিলো আমাকে দিয়ে কেউ এসব করাচ্ছে।অথচ আমি মরে গেলেও আমার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চাইনা।আমি তাকে অনেক ভালোবাসি।আমাদের দূরত্বটাই আমাদের মাঝে সমস্যা তৈরী করতো। সে উওরে কিছু বলেনি। আমার বিয়ে হয়েছে ২.৫ বছর হচ্ছে.. এগুলো প্রথম ১.৫ বছরের কথা.. তখন আমরা একজন আরেকজনকে অনেক বেশি ভালোবাসতাম।কিন্তু আমাদের দূরত্বের কারণে এত্ত এত্ত ঝগড়া হতো।রাগের মাথায় ঝগড়া করে অভিমান করে এসব বললেও, কেএ কাউকে তালাকের নিয়তে এসব বলতাম না / জাস্ট কোনো নিয়ত ছাড়াই অভিমানে এসব বলতাম। আমার স্বামীকে আমি বহুবার জিজ্ঞেস করেছি এসব বলার সময় তার নিয়ত কি ছিলো – সে সবসময় একই উওর দিয়েছে > সে আমাকে ছাড়তে চায়না, এসব তালাকের নিয়তে বলেনি।রাগে অভিমানে / কোনো কিছু না ভেবেই বলেছে.. এই কথাগুলো বলার পর আমার স্বামীর মনেও থাকেনা.. এখনও মনে নেই, সে এসব নিয়ে ভাবেও না।কারণ সে এসব রাগে বলে তাই।কিন্তু আমার মাথা থেকে এই ভয় নামে না যে তালাক হয়ে গেছে কিনা।সারাক্ষণ এই ভয় কাজ করতো যে তালাক হয়ে গেলো কিনা.. কিন্তু আমার স্বামী সবসময় একই উওর দিতো > সে আমাকে ছাড়তে চায় না.. (এই পর্যন্ত ছিলো প্রথম ১.৫ বছরের কথা।যথাসম্ভব প্রায় সবই বলেছি, কিছু ভুলে গেলেও কথাগুলো এমনই ছিলো কেনায়া টাইপ, আর নিয়তও ছিলো শুধুমাত্র রাগ অভিমান, তালাক না) এখন আসি পরের ১ বছরের কথায় – আমাদের মাঝে দূরত্ব বাড়রে লাগলো, সে কল দেয়া, ম্যাসেজ দেয়া আরও কমিয়ে দিলো, পড়াশুনা কাজ নিয়ে আরও ব্যাস্ততা দেখানো শুরু করলো।যেটা আমি একদন মেনে নিতে পারতাম না।খুব একা লাগতো।একটা সময় আমি ম্যাসেঞ্জারে একটা ছেলের সাথে কথা বলা শুরু করলাম।কিন্তু আল্লাহর ভয় কাজ করতো।ভাবতাম যদি বেশি খারাপ কিছু হয়ে যায় সয়তানের ধোকায় পরে।তাই কথা বলা বন্ধ করে দিলাম।ব্লক করে দিলাম।রাগে অভিমানে সেই ছেলেকে এটাও বলেছিলাম আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে।মিথ্যা বলেছিলাম।এমনকি আমার কিছু ফ্রেন্ডকেও এটা বলেছিলাম।আমার স্বামীকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসতাম।সে আমাকে অনেক কষ্ট দিতো।তাই খুব রাগ ছিলো তার উপর।ধীরে ধীরে ভাবতে লাগলাম আমি যদি এভাবে অন্যদের সাথে একাকিত্বর সময় কথা বাড়াই তাহলে এটা খারাপের দিকে চলে যাবে।তাই আমি ব্লক করে দিলাম।কোনো ছেলের সাথে শুধু শুধু মেশা বন্ধ করে দিলাম।কিন্তু আমার স্বামী আমার আরও বেশি ইগনোর করা শুরু করলো।আমি বুঝতে পারছিলাম না সে কেনো এমন করছে।আমার খুব কষ্ট হতো।একটা পর্যায়ে এমন হতে লাগলো সে সারাদিন কোনো কল দিতোনা।মাস পার হয়ে যেতো বাসায় আসতোনা।আমার অনেক কষ্ট হতো।আমি আরও বেশি কান্নাকাটি শুরু করলাম তাকে কল দিয়ে।সে আরও বেশি ইগনোর করা শুরু করলো আমাকে।একদিন আম্মু তাকে ডাকলো।ডেকে জিজ্ঞেস করলো তাকে – তুমি কি চাও? সে উওরে বললো আমি এভাবে থাকতে চাইনা ( মানে আমি ভালো ভাবে থাকি সেটা চায় সে) আম্মু আমাকে অনেক বুঝালো, কিন্তু একাকিত্ব মেনে নিতে পারছিলাম না আমি।তাই ঝগড়া বন্ধ হতোনা।আমার স্বামীকে ধীরে ধীরে সন্দেহ হওয়া শুরু হলো আমার।আমার স্বামী একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জব করে।সেখানে অনেক মেয়ে স্টুডেন্ট আছে।আমার সন্দেহ হচ্ছিলো সে কিছু করছে।এটা নিয়ে অনেক ঝগড়া হতো।বেশ কয়েকদিন রাগে আমাকে বলেছে আমার সাথে থাকতে চায়না।সম্পর্ক রাখতে চায়না।আমি সাইকো, আমার মত সাইকোর সাথে থাকতে চায়না।আমার মত মেয়ের সাথে থাকতে চায়না।আমার মত মেয়ের তার দরকার নাই।তার শুধু টাকার দরকার।আমাকে দরকার নাই।আমাকে তার প্রয়োজন নেই।এসব বলতো রাগে।কিন্তু আবার মিলেও যেতো।ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করলে সবসময় একই উওর দিতো > আমাকে ছাড়ার জন্য বিয়ে করেনি, আমাকে ছাড়তে চায়না।আমার সাথেই সংসার করতে চায়। একদিন খুব বেশি একাকিত্বের কারণে আমার স্বামীকে রাগে অভিমানে আমি বললাম – তুমিতো অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলো তাই ভালো থাকো, আমি একা কষ্টে থাকি, আমিও অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলবো।সে উওরে বললো – তুমি যদি এমন কিছু করো তাহলে আমাদের রাস্তা হয়ে যাবে।আমি সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলাম আল্লাহ এভাবে বলো কেনো? যদি আমি ভুল করেও কিছু করে ফেলি? তখন তো শর্ত তালাক হয়ে যাবে।সে উওরে বলে আমি তেমন কিছু ভেবে বলিনি।(মানে আমি যেনো এমন না করি তাই আমাকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছে) আমি খুব রাগে অভিমানে একাকিত্বের কারণে সেদিন রাতে বা তার পরদিন রাতে আমার মনে নেই, আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম ছেলেটাও করতো তাকে কল দেই।সেও ম্যারিড।কল দিয়ে কোনো বাজে কথা বলিনি।কেমন আছে আমি কেমন আছি বাচ্চা হয়েছে কিনা এসব ২-৪ মিনিট বলে রেখে দেই।(এখানে শর্ত তালাক প্রযোজ্য হবে?) আমার স্বামীর এসব কথা মনেও নেই।সে রাগে এসব বলে।পর ভুলেও যায়।এসব সে মাথায়ও রাখে না।কখনো আমাকে ডিরেক্ট তালাক দেইনি/ বলেনি।রাগ উঠলে শুধু এই কেনায়া টাইপ কথা বলতো।পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করলে সবসময় একই উওর দিতো যে সে আমাকে ছাড়তে চায়না। একদিন অনেক বেশি ঝগড়া হচ্ছিলো কলে, সেদিন সে আরও বেশি রেগে গেছিলো।রাস্তার মধ্যে ফোমে চিল্লাতে চিল্লাতে দুইবার বলেছিলো – তোর সাথে আমার আজকে থেকে কোনো সম্পর্ক নাই।ওইদিন সে অনেক বেশি রেগে গেছিলো।অসম্ভব রকম।আমি চুপ করে ছিলাম।পরে জিজ্ঞেস করলে বলেছিলো – সে আমাকে তালাকের নিয়তে এসব বলেনি।এত্ত রাগ উঠছিলো তাই বলছে। গত ৩-৪ মাসের কথা – আমি জানতাম না সে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে জরিয়ে গেছে।সেজন্য আমাকে ৭-৮ মাস যাবত এত্ত বেশি ইগনোর করতেছে।গত ৩-৪ মাসের এমব কেনায়া টাইপ কথা অনেক বলেছে।পরে জিজ্ঞেস করলে বলতো তার নিয়ত নেই আমাকে তালাক দেয়ার।কখনো সে এটা বলেনা ঠান্ডা মাথায় যে সে আমাকে ছেড়ে দিতে চায়।সে যে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে জরাইছে ৭-৮ মাস যাবত এটা আমি ১ সপ্তাহ আগে জানতে পারছি।তাই শেষ ৭-৮ মাস / ৩-৪ মাসে তার বলা এসব কথার নিয়ত নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে।যেহেতু সে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে ছিলো। ১ মাস আগে মেয়েটা আমাকে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দেয় – দিয়ে তার পাতানো ছোট বোন দাবী করে নিজেকে।সম্পর্ক আছে এটা আমাকে বলেনা।মেয়েটা সে হয়তো মিথ্যা বলেছিলো যে তার বঊয়ের সাথে তার সম্পর্ক ভালো না।তাই মেয়েটা সত্যিটা জানার জন্য আমাকে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়েছিলো।আমি বুঝতে পারছিলাম মেয়েটার অনেক ইন্টারেস্ট আমার হাসবেন্ডের প্রতি।তাই আমি মেয়েটাকে মিথ্যা বলি যে আমি ২.৫-৩ মাসের প্র্যাগনেন্ট।কিন্তু আমি আসলে প্র্যাগনেন্ট না।এটার এই জন্য বলি যেনো মেয়েটা দূরে চলে যায়।আমার স্বামী এটা জানার পর অনেক রেগে যায়, কেনো আমি মেয়েটাকে মিথ্যা বলেছি।কারণ সে মেয়েটাকে বলেছিলো আমাদের মধ্যে কোনো ফিজিক্যাল রিলেশন নেই।অথচ আছে।সে মেয়েটার কাছে ছোট হয়ে গেছে তাই সে রেগে যায়।আর রেগে গিয়ে আমাকে আর মেয়েটাকে কলে কনফারেন্সে আনে৷ এনে মেয়েটার সামনেই আমাকে গালি গিয়ে আমার মায়ের কসম কেটে বলতে বলে আমি প্র্যাগনেন্ট কিনা।আমি শুরুতে উওর দেইনি।সে আবারও জিজ্ঞেস করে।পরে আমি রাগে উওর দেই যে হ্যা আমি প্র্যাগনেন্ট।বলে কত দিনের? আমি বললাম ২.৫ মাসের।সে অনেক রাগে তুই করে গালি দিয়ে বলে – আমি ২৬-২৭ তারিখে (এপ্রিল ২০২৫) এ বাসায় আসবো, এসে যদি দেখি তুই প্রাগনেন্ট না, তোর আর আমার রাস্তা আলাদা হয়ে যাবে।সে জানে আমি প্র্যাগনেন্ট না, জেনেও এটা সেই মেয়েকে শোনানোর জন্য বলে এটা প্রমান করার জন্য যে আমি মিথ্যা বলেছি।সে আবারও এভাবে বলে – আমি ২৬-২৭ তারিখে আসবো, এসে তোর আম্মুকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে তোকে টেস্ট করাবো, যদি দেখি তুই প্র্যাগনেন্ট না, আল্লাহর কসম আমি তোকে ডিভোর্স দিয়ে আসবো।আর নাহলে আমি সাথে করে ডিভোর্স পেপার নিয়ে আসবো।সে জানে যে আমি সত্যিই প্র্যাগনেন্ট না, আমি মিথ্যা বলেছি, সে জেনেও ইচ্ছা করে এভাবে বলছে শুধু মাত্র মেয়েটার কাছে এটা প্রমান করার জন্য যে আমি প্র্যাগনেন্ট না।২৬-২৭ তারিখে সে আর আসেনি বাসায়।এর আগেই ফোনে আমাদের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়।সে আমাকে খরচের জন্য ঈদের জন্য টাকাও পাঠায়।২৬-২৭ তারিখে পার হওয়ার পরেও প্রায় টোটাল ২.৫ – ৩ মাস পর সে আসে বাসায়।এর মাঝে আমার ৩ হায়েজ পার হয়ে যায়।এর মাঝে ফোনে আমাদের ঝগড়া হচ্ছে, আবার মিলেও যাচ্ছি।এভাবেই ২.৫-৩ মাস কেটে যায়।২.৫-৩ মাস পর বাসায় আসার পর ওইসব নিয়ে আর কোনো কথাই হয়না তার সাথে।(এখানে কি শর্ত তালাক হবে?) ২.৫-৩ মাস পর মেয়েটা আমকে আবারও ম্যাসেজ দেয়, সেদিন সব সত্যিটা বলে।সেদিন আমি জানতে পারলাম যে তার গত ৭-৮ মাস যাতব সেই মেয়ের সাথে সম্পর্ক।আমাকে নিয়ে দুনিয়ার যত মিথ্যা আছে সবকিছু বলে সে সম্পর্কে জরাইছে।কিন্তু যখন বুঝতে পারতেছে যে নাহ তার তো বউ আছে, তখন সে ধীরে ধীরে মেয়েটার কাছ থেকে দূরে সরে আসতেছে।তাই মেয়েটা আমাকে এসে সব সত্যিটা বলে দেয়।এটা জানার পর আমার অনেক রাগ উঠে, আমি রাতে তার গ্রামের বাড়ি যেতে যাই।যাওয়ার জন্য বের হই।সে আমাকে আটকানোর জন্য এভাবে বলে – তুমি যদি ৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় না যাও/বাসায় ব্যাক না করো তাহলে তোমার আমার রাস্তা আলাদা হয়ে যাবে।এটা আমাকে আটকানোর জন্য বলেছিলো।যেনো আমি না যাই।আমার বাসায় আসতে ৫ মিনিটের বেশি লাগে।এখানে শর্ত তালাক হবে? মেয়েটার ব্যাপার টা জানার আগে আমি তাকে একদিন জিজ্ঞেস করি, তুমি যে কথায় কথায় এভাবে কেনায়া টাইপ কথা বলো, আমাদের সম্পর্ক কি এখনও হালাল আছে তোমার মনে হয়? সে আমাকে এভাবে উওর দেয় – শোনো! আমি তোমার স্বামী না? তোমার দ্বায়িত্ব আমার উপর না? আমি কখন কি কারণে এসব বলি সেটা আমি ভালো জানি, এটার দ্বায়ভার আমার (এটা দিয়ে এটাই বুঝাইছে যে সে যা বলে রাগে অভিমানে শাসনের জন্য বলে৷ বাস্তবে সে আমাকে কখনো ছাড়তে চায়না)।তুমি এসব নিয়ে না ভেবে ঠিকমত পড়াশুনা করো! ( তখন তার সেই মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো, আমি জানতাম না।) আজকে ৯ জুলাই, মেয়টার ব্যাপার টা জানতে পারলাম ৭-৮ দিনের মত হইছে।অনেক ঝগড়া হয়েছে এর মাঝে।২ দিন আগে সে ঠান্ডা শুরে আমাকে বলতেছে আমার সাথে থাকতার চায়না।আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি চাও? কি করলে খুশি হবা? সে উওরে বললো – আমার জীবন থেকে চলে যাও।আমি বললাম এভাবে বললে তালাক হয়ে যায়।সে বললো আমি জেনে বুঝেই বলছি।আগে কখনো আমাকে এভাবে বলতে দেখছো? আমি অনেক কান্না করি।সে ফোন কেটে দেয়।আবারও আমার সাথে কথা বলে আমালে জানায়, আমার সাথে সে থাকতে চায়।আমি যেনো তাকে মাফ করে দেই।সে আমাকে ছাড়তে চায়না। ২.৫ বছরের কথা আমার যতটুকু মনে পরে প্রায় সব বলেছি।আমার স্বামীর বেশিরভাগ কথাই মনে নেই।বিশেষ করে শুরুর দিকের ২ বছরের কথা।কারণ সে এসব বলার পরে এসব নিয়ে আর ভাবেনা।কিন্তু আমার প্রায় কথাই মনে আছে।শুরুর দিকের ১.৫ বছরের কথা নিয়ে আমার চিন্তা বেশি না হলেও এই মেয়ের সাথে কাটানো ৭-৮ মাসের সময়কালের কথা নিয়ে বিশেষ করকম গত ৩-৪ মাসের বলা কথা নিয়ে আর শেষ যেই কথাটা বলেছিলো যে আমার জীবন থেকে চলে যাও, এই কথাটার নিয়ত নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।আমার স্বামী খুব রাগী মানুষ আর ৭-৮ যাবত তো সে চরিত্রহীনও হয়ে গেছে।সে এখনো আমার সাথেই থাকতে চায়।আমিও চাই।আমার স্বামীকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি।কিন্তু আমার আল্লাহর উপরে কিছু না।তাই খুব চিন্তা হচ্ছে। > আমার সম্পর্কটা কি এখনও হালাল আছে? না থাকলে কি কোনো করনীয় আছে এখনও সম্পর্কটা হালাক করার? আমার স্বামী আগের ১.৫ যা বলতো রাগে বলতো, কখনো ঠান্ডা মাথায় আমাকে বলেনি সে আমালে ছাড়তে চায়।কিন্তু এই মেয়েত সাথে সম্পর্ক করার পর বিশেষ করে ৩-৪ মাস যাবত যা বলেছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে।তাকে জিজ্ঞেস করলে বলে তার নিয়ত ছিলোনা।কিন্তু প্রাগনেন্সির সেই কথাটা, আর শেষ যেই কথাটা বললো দুইদিন আগে যে আমার জীবন থেক চলে যাও, আম ভেবেই বলতেছি।এই দুইটা নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে।প্র্যাগনেন্সির ব্যাপার টা তাও সে বলেছে তার নিয়ত ছিলোনা রাগে বলছে।কিন্তু শেষ দুইদিন আগে যে বললো আমার জীবন থেকে চলে যাও এটা নিয়ে আর কিছু জিজ্ঞেস করিনি তেমন ভাবে।তখনি সাথে সাথে জিজ্ঞেস করেছিলাম৷ বলেছিলো এটা ভেবেই বলেছে।কিন্তু আবার একদিন পরেই বলতেছে আমার সাথে সে থাকতে চায়। আমার জীবন টা অনেক কমপ্লিকেটেড হয়ে গেছে।আমাকে প্লিজ এই অশান্তি থেকে বাচান।আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে সাহায্য করুন।আমার আল্লাহর ভয় হচ্ছে অনেক। > আমার সম্পর্কটা কি হালাল আছে এখনও? কেনো যেনো মনের মধ্যে আগের মত বঊ বঊ ফিলিংটা আর আসেনা।আমার খুব ভয় হচ্ছে।আমার কি সম্পর্কটা হালাল আছে? নাকি নেই? হালাল না থাকলে কি হালাল করার আর সুযোগ নেই? > আমার স্বামী বা আমি যদি ডিভোর্স হয়ে গেছে এমন মিথ্যা বলি, এই মিথ্যাড় দ্বারাও কি ডিভোর্স হয়ে যায়? আমার স্বামী আর আমাকে সয়তাব খুব ভালো ভাবে বস করছে।আমি এই সয়তানের ফাদ থেকে বের হত চাই।আমার স্বামীকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি, সেও এখন আমার সাথে থাকতে চায়।আমাদের সম্পর্কটা কি হালাল আছে এখনো? না থাকলে কোনো করনীয় আছে হালাল করার জন্য? প্লিজ! হাতজোড় রিকুয়েষ্ট, আমি সব লিখলাম।আমাকে সমাধান দিন।আল্লাহর কাছে অনেক মাফ চাচ্ছি।প্লিজ সাহায্য করুন।যদি কিছু ভুলে যাই সেটার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে? আমার যতটুকু মনে আছে।আমার স্বামীর তার ১০% ও মনে নেই। প্লিজ আমার মেইলের উওর দিন।প্লিজ।আল্লাহর ওয়াস্তে, হাতজোড় রিকুয়েষ্ট।প্লিজ।আমার পক্ষে কোনো আলেমের কাছে সম্ভব না বলেই আপনাদেরকে অনলাইনে সব লিখে জানালাম।প্লিজ উওর দিন।প্লিজ।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার বিশাল বিবরণের প্রতিটি বিষয়ই কিনায়ী শব্দের তালাকের শব্দ। আর এসব শব্দে তালাক পতিত হবার জন্য শর্ত হলো তালাকের নিয়তে বলা।
আর আপনার স্বামী যেহেতু অস্বিকার করছে যে, তিনি এসব তালাকের নিয়তে বলেনি, তাই এর দ্বারা কোন তালাক পতিত হয়নি। তাই পেরেশান হবার কিছু নেই।
কাউকে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে ধরে রাখা যায় না। আপনি তাকেও বুঝার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত চাপ করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনার স্বামীরও উচিত আপনাকে সময় দেয়া।
চেষ্টা করুন একসাথে বাসায় থাকার জন্য। আপনার স্বামী যেখানে থাকে সেখানে কাছাকাছি বাসা নিয়ে একসাথে থাকুন।
আর অহেতুক ওয়াসওয়াসা দূরে রাখুন। আর সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন।
আশা করি সন্তানের বাবা মা হবার পর আপনাদের মাঝে শান্তি ফিরে আসতে পারে। আল্লাহ তাআলা আপনাদের পেরেশানী দূর করে দিন।
والكنيات لا تطلق بها قضاء إلا بنية، أو دلالة الحال…… نحو اخرجى، واذهبى وقومى، (رد المحتار، زكريا-4/528، كرتاشى-3/296-289، بدائع الصنائع، زكريا-3/167-169)
أن من الكنايات ثلاث عشرة لا يعتبر فيها دلالة الحال، ولا تقع إلا بالنية، حبلك على غاربن.. اخرجى، اذهبى (البحر الرائق، زكريا-3/526، كويته-2/502)
أو قال: لم يبق بينى وبينك نكاح يقع الطلاق إذا نوى (الفتاوى الهندية-1/375، جديد-1/443)
مثل اذهبى فيحتاج إلى النية……. وإن نوى فهى واحدة بائنة (رد المحتار، زكريا-4/551، كرتاشى-3/314)
منها شك هل طلق أم لا لم يقع (الأشباه-108، جديد-196)
عدم الشك من الزوج فى الطلاق وهو شرط الحكم بوقوع الطلاق حتى لو شك فيه لا يحكم بوقوعه (بدائعل الصنائع، كتاب الطلاق، فصل فى الرسالة-3\126، جديد-3\199)
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: জামিয়াতুস সুন্নাহ কামরাঙ্গিরচর, ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা: কাসিমুল উলুম আলইসলামিয়া, সালেহপুর আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।
ইমেইল– [email protected]