প্রচ্ছদ / আকিদা-বিশ্বাস / শিরক কাকে বলে? শিরকে আসগর হয়ে গেলে ব্যক্তি কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে?

শিরক কাকে বলে? শিরকে আসগর হয়ে গেলে ব্যক্তি কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে?

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ভাইযান,
শির্ক এর প্রকার ভেদ কি কি? আর ছোট শির্ক গুলি হয়ে গেলে কি মুরতাদ হয়ে যায় অর্থাৎ আবার কালেমা পড়ে মুমিন হতে হয়? আর বড় বা ছোট যে কোন শির্ক না চাওয়া সত্যেও অজান্তে হলে কি চিরস্থায়ী জাহান্নামি? বিস্তারিত বললে কৃতজ্ঞ থাকবো।

উত্তর

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

শিরক বলা হয়: আল্লাহ তাআলার জাত তথা সত্তা, তাঁর সিফাত তথা গুণ, তাঁর ইবাদত, তাঁর হুকুম, আল্লাহ তাআলার হুকুম, আল্লাহ তাআলার কুদরত ইত্যাদি বিষয়ে অন্য কাউকে শরীক মনে করার নাম হলো শিরক। যাকে শিরকে আকবরও বলা হয়।

শিরকে আকবরের বিশ্বাসী ব্যক্তি কাফের। তার জন্য জান্নাত হারাম। উক্ত ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে যদি মৃত্যুর আগে তওবা করে ঈমান নবায়ন না করে।

কিন্তু শিরকে আসগর তথা ছোট শিরককারী ব্যক্তি যদিও গোনাহগার। তওবা করা আবশ্যক। কিন্তু উক্ত ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না।

 

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ الْمَسِيحُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ (سورة المائدة-72)

الإِْشْرَاكُ بِاَللَّهِ تَعَالَى جِنْسٌ تَحْتَهُ أَنْوَاعٌ، وَكُلُّهُ مَذْمُومٌ، وَإِنْ كَانَ بَعْضُهُ أَكْبَرَ مِنْ بَعْضٍ. وَالشِّرْكُ لَهُ مَرَاتِبُ، فَمِنْهُ الشِّرْكُ الأَْكْبَرُ، وَمِنْهُ الأَْصْغَرُ، وَهُوَ الشِّرْكُ الْخَفِيُّ.

أ – الشِّرْكُ الأَْكْبَرُ: وَهُوَ اتِّخَاذُ الشَّرِيكِ لِلَّهِ تَعَالَى فِي أُلُوهِيَّتِهِ أَوْ عِبَادَتِهِ، وَهُوَ الْمُرَادُ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ} (1) وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي الصَّحِيحَيْنِ قَال: سَأَلْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ؟ قَال: أَنْ تَجْعَل لِلَّهِ نِدًّا، وَهُوَ خَلَقَكَ

ب – الشِّرْكُ الأَْصْغَرُ وَهُوَ الشِّرْكُ الْخَفِيُّ: وَهُوَ مُرَاعَاةُ غَيْرِ اللَّهِ فِي الْعِبَادَةِ. مِثْل الرِّيَاءِ وَالنِّفَاقِ، لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا}  قَال ابْنُ حَجَرٍ: نَزَلَتْ فِيمَنْ يَطْلُبُ الْحَمْدَ وَالأَْجْرَ بِعِبَادَاتِهِ وَأَعْمَالِهِ. وَقَوْل رَسُول اللَّهِ: إِنَّ أَدْنَى الرِّيَاءِ شِرْكٌ، وَأَحَبُّ الْعَبِيدِ إِلَى اللَّهِ الأَْتْقِيَاءُ الأَْسْخِيَاءُ الأَْخْفِيَاءُ وَقَوْلُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ  : إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَتَخَوَّفُ عَلَى أُمَّتِي الإِْشْرَاكُ بِاَللَّهِ، أَمَا أَنِّي لَسْتُ أَقُول يَعْبُدُونَ شَمْسًا وَلاَ قَمَرًا وَلاَ وَثَنًا، وَلَكِنْ أَعْمَالاً لِغَيْرِ اللَّهِ وَشَهْوَةً خَفِيَّةً (الموسوعة الفقهية الكويته-5/6/7)

حقيقرة الشرك أن يعتقد إنسان فى بعض المعظمين من الناس أن الآثار العجيبة الصادرة منه إنما صدرت لكونه متصفا بصفة من صفات الكمال مما لم يعهد فى جنس الإنسان،  بل يختص بالواجب جل مجده لا يوجد فى غيره إلا أن يخلع هو خلعة الألوهية على غيره أو يغنى غيره فى ذاته ويبقى بذاته أو نحو ذلك مما يظنه هذا المعتقد من الخرفات (حجة الله البالغة-1/144، عقائد اهل السنة والجماعة-77)

والشرك يكون بمعنى اعتقاد أن لله تعالى شانه شريكا، أما فى الألوهية أو فى الربوبية (روح المعانى-5/51)

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

প্রধান মুফতী: জামিয়াতুস সুন্নাহ লালবাগ, ঢাকা।

উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া ইসলামিয়া দারুল হক লালবাগ ঢাকা।

পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।

শাইখুল হাদীস: জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সনমানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর।

ইমেইল[email protected] 

0Shares

আরও জানুন

ইমামের সামনের সুতরা কি মাসবূক মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট?

প্রশ্ন ইমামের সুতরা মুসল্লিদের জন্য যথেষ্ট কি না? এবং ইমামের সুতরা মসবুক ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *