প্রশ্ন
ফিলিস্তিন ও বাইতুল মুকাদ্দাস কেন মুসলমানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দয়া করে কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানাকে কৃতজ্ঞ হবো।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আমরা অনেক মুসলমানই ফিলিস্তিনের গুরুত্ব অনুধাবন করি না। ফিলিস্তিন যুদ্ধ কেবল তাদেরই দায়িত্ব মনে করি। এটা তাদের রাষ্ট্রীয় সমস্যা বলে এড়িয়ে যাই। ইজরাইলের গুণ্ডামী আর মাস্তানী ও সন্ত্রাসীপণার বিরুদ্ধে লড়াই করা সে অঞ্চলের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বলে নিজেরা নির্লিপ্ত থাকি। অনেকে শুধুমাত্র মৌখিক প্রতিবাদেই দায়িত্ব শেষ মনে করে থাকি। কিন্তু আসলেই কি বিষয়টি এতোটা গুরুত্বহীন। ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান কি শুধুই ফিলিস্তিনীদের দায়িত্ব নাকি পুরো মুসলিম মিল্লাতের?
ফিলিস্তিনের গুরুত্ব ইসলাম ও মুসলমানদের মাঝে অপরিসীম। মুসলমান মাত্রই যে সম্পর্কে জানা আবশ্যক।
কুরআনে ফিলিস্তিন
কুরআনের একাধিক স্থানে বাইতুল মাকদিস এবং তার আশপাশকে বরকতম বলে অভিহিত করা হয়েছে। যেমন
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ [١٧:١]
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। [সূরা ইসরা-১]
আমাদের প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিলিস্তিনে অবস্থিত বাইতূল মাকদিসে মিরাজে রাতে গমণ করে সকল নবীদের ইমামতী করে নামায পড়ান। এ পবিত্র ভূমিতেই তিনি তাঁর বোরাককে বেঁধে রেখে যান।
সূরা মায়েদার ১১ নং আয়াতে আরদ্বে মুকাদ্দাস তথা পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিনকে অভিহিত করা হয়েছে।
সূরা আম্বিয়ার ৭১ ও ১১, ৮১, সূরা সাবার ১৮ এবং সূরা আ’রাফের ১৩৭ নং আয়াতে পুরো দুনিয়ার জন্য বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে ফিলিস্তিনকে।
এ ফিলিস্তিনের বেথেলহেম তথা বাইতুল লাহামে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম। এ ভূমি হযরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম এবং হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালামের স্মৃতিবিজড়িত।
এ ভূমি হযরত মুসা আলাইহিস সালামের স্মৃতিবিজড়িত এবং তাঁর কবর অবস্থিত।
এ দেশেই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এবং হযরত লূত আলাইহিস সালাম আগমণ করেছিলেন। আল খলীল শহরে ঘুমিয়ে আছেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম।
এ রাষ্ট্রেই হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম এবং হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের মাধ্যমে জিনকর্তৃক নির্মিত হয় বাইতুল মুকাদ্দাস।
হাদীসে ফিলিস্তিন ভূমি
১
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ: المَسْجِدِ الحَرَامِ، وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَسْجِدِ الأَقْصَى
আবূ হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুর রাসূল এবং মাসজিদুল আকসা বাইতুল মাকদিস এ তিনটি মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের উদ্দেশে হাওদা বাঁধা যাবে না (অর্থাৎ নামায পড়ার উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না)। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১১৮৯]
সহীহ হাদীস।
২
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ” لَمَّا فَرَغَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ مِنْ بِنَاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سَأَلَ اللَّهَ ثَلاَثًا حُكْمًا يُصَادِفُ حُكْمَهُ وَمُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ وَأَلاَّ يَأْتِيَ هَذَا الْمَسْجِدَ أَحَدٌ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ فِيهِ إِلاَّ خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ” . فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” أَمَّا اثْنَتَانِ فَقَدْ أُعْطِيَهُمَا وَأَرْجُو أَنْ يَكُونَ قَدْ أُعْطِيَ الثَّالِثَةَ
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সুলাইমান ইবনু দাঊদ (আলাইহিস সালাম) বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহ্র কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেনঃ আল্লাহ্র হুকুমমত সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মাকদিসে কেবলমাত্র সালাত (নামায/নামাজ) পড়ার জন্য আসবে, তার গুনাহ যেন তার থেকে বের হয়ে যায় তার মা তাকে প্রসব করার দিনের মত। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: প্রথম দুটি তাঁকে দান করা হযেছে এবং আমি আশা করি তৃতীয়টিও তাঁকে দান করা হবে। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৪০৮, সুনানে নাসায়ীম হাদীস নং-৬৯৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৬৪৪]
হাদীসটি সহীহ।
৩
عَنْ مَيْمُونَةَ، مَوْلاَةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفْتِنَا فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ . قَالَ ” أَرْضُ الْمَحْشَرِ وَالْمَنْشَرِ ائْتُوهُ فَصَلُّوا فِيهِ فَإِنَّ صَلاَةً فِيهِ كَأَلْفِ صَلاَةٍ فِي غَيْرِهِ ” . قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَتَحَمَّلَ إِلَيْهِ قَالَ ” فَتُهْدِي لَهُ زَيْتًا يُسْرَجُ فِيهِ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَهُوَ كَمَنْ أَتَاهُ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাসী মায়মূনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! বাইতুল মাকদিস সম্পর্কে আমাকে ফাতওয়া দিন। তিনি বলেনঃ এটা হাশরের মাঠ এবং সকলের একত্র হওয়ার ময়দান। তোমরা তাতে সালাত (নামায/নামাজ) পড়ো। কেননা সেখানে এক ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) পড়া অন্যান্য স্থানের তুলনায় এক হাজার গুণ উত্তম। আমি বললাম, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি সেখানে যেতে সমর্থ না হই? তিনি বলেনঃ তুমি তাতে বাতি জ্বালানোর জন্য যায়তুন তৈল হাদিয়া পাঠাও। যে ব্যক্তি তা করলো, সে যেন সেখানে উপস্থিত হলো। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৪০৭]
হাদীসটির সনদ জঈফ।
৪
عَنْ ذِي الْأَصَابِعِ قَالَ: قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ، إِنْ ابْتُلِينَا بَعْدَكَ بِالْبَقَاءِ أَيْنَ تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: ” عَلَيْكَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَلَعَلَّهُ أَنْ يَنْشَأَ لَكَ ذُرِّيَّةٌ يَغْدُونَ إِلَى ذَلِكَ الْمَسْجِدِ وَيَرُوحُونَ
হযরত জুল আছাবে’ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম: যদি আপনার পর আমরা জীবিত থাকি, আর আমাদের উপর কোন পরীক্ষা আসে, তখন আমাদের তখন কোথায় যাবার হুকুম করেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, বাইতুল মাকদিসকে আঁকড়ে ধর। হয়তো তোমাদের নসীবে এমন বংশধর হোক, যারা সকাল সন্ধ্যা মসজিদে আকসায় যাবার ভাগ্য জুটে। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৬৩২, আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৪২৩৮]
হাদীসটির সনদ জঈফ।
৫
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى أَبْوَابِ دِمَشْقَ وَمَا حَوْلَهُ، وَعَلَى أَبْوَابِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَمَا حَوْلَهُ، لَا يَضُرُّهُمْ خِذْلَانُ مَنْ خَذَلَهُمْ، ظَاهِرِينَ إِلَى أَنْ تَقُومَ السَّاعَةُ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মাঝে এক দল ধারাবাহিকভাবে দামেশকের দরজাসমূহে এবং তার আশপাশে এবং বাইতুল মাকদিসের দরজা এবং তার আশপাশে জিহাদ করতে থাকবে। তাদেরকে সাহায্যহীন একাকী ছেড়ে দেয়া ব্যক্তিরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিয়ামত পর্যন্ত তারা বিজয়ী থাকবে। [আলমু’জামুল আওসাত লিততাবারানী, হাদীস নং-৪৭, মুসনাদে আবূ ইয়ালা মুসিলী, হাদীস নং-৬৪১৭]
হাদীসটির সনদ জঈফ।
৬
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ رَأَيْتُ عَمُودَ الْكِتَابِ احْتُمِلَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ مَذْهُوبٌ بِهِ، فَأَتْبَعْتُهُ بَصَرِي، فَعُمِدَ بِهِ إِلَى الشَّامِ، أَلَا وَإِنَّ الْإِيمَانَ حِينَ تَقَعُ الْفِتَنُ بِالشَّامِ
হযরত আবূ দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি শুয়েছিলাম। এর মাঝে আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম যে, এক কাগজের টুকরা আমার মাথার নিচ থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আমি খেয়াল করলাম তা কোথায় যেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই আমি সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখলাম। তখন দেখতে পেলাম তা শামের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শোন! যখন ফিতনা বৃদ্ধি পাবে তখন ঈমান শামে সংরক্ষিত থাকবে। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৭৩৩, মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৮৫৫৪]
হাদীসটির সনদ সহীহ।
অনেকগুলো কারণেই ফিলিস্তিন মুসলমানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যথা-
১
আমাদের প্রথম কিবলা বাইতুল মাকদিস এখানে অবস্থিত। [সূরা বাকারা-১৫০]
২
দুনিয়ার বুকে বানানো মসজিদের মাঝে দ্বিতীয় মসজিদ হলো বাইতুল মাকদিস এবং মর্যাদার দিক থেকে তৃতীয় স্তরে রয়েছে এ পবিত্র মসজিদ।
৩
আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা ও মেরাজের স্মৃতি বিজড়িত ভূমি এ ফিলিস্তিন।
৪
ইসলামের পবিত্র শহরের মাঝে তৃতীয় পবিত্র শহর হলো ফিলিস্তিনের আলকুদস শহর। প্রথম মক্কা, দ্বিতীয় হলো মদীনা, তৃতীয় পবিত্র শহর হলো ফিলিস্তিনের আলকুদস।
৫
আম্বিয়ায়ে কেরামগণ এবং বরকতময় পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন। কুরআনে কারীমের ৫টি আয়াতে এ শহরকে বরকতময় বলা হয়েছে।
এছাড়া এ ভূমিতে অনেক নবী রাসূলগণকে ওহী ও নবুওয়াত প্রদান করা হয়েছে। যেমন দাউদ আলাইহিস সালাম, সুলাইমান আলাইহিস সালাম, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এ ভূমির দিকে হিজরত করেছেন।
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এবং হযরত লুত আলাইহিস সালাম এ ভূমির দিকে হিজরত করেছেন। [আনকাবূত-২৬, সূরা আম্বিয়া-৭১]।
এ ভূমির দিকে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম হিজরত করেছেন। [সূরা আ’রাফ-৩৮]।
এ ভূমিতেই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম, হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালামের কবর অবস্থিত।
সবচে’ বড় বিষয় হলো, এ ভূমিতেই সমস্ত নবীদের একত্র করিয়ে আল্লাহ তাআলা আমাদের নবীকে দিয়ে ইমামতী করিয়েছেন।
৬
মুসিবত ও ফিতনার সময় এ ভূমি হিজরতের স্থান। পূর্বের নবীগণ যেমন নানাভিদ বিপদ ও ফিতনা থেকে বাঁচতে এ বরকতময় ভূমির দিকে হিজরত করেছেন। তেমনি এ জমানায়ও ফিতনার সময় এ ভূমির দিকেই হিজরতের কথা হাদীসে পাওয়া যায়।
হযরত সালাম বিন নওফেল রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, عُقرُ دارِ الإسلام بالشام তথা ইসলামের মারকাজ এবং আশ্রয়স্থল হলো শাম। [তাবারানী, হাদীস নং-৬৩৫৯, মাযমাউজ যাওয়ায়েদ-১/৬০]
৭
জিহাদের ভূমি।
৮
মসজিদের আকসার উদ্দেশ্যে সফরের বৈধতা।
৯
মসজিদে আকসায় সওয়াবের প্রবৃদ্ধি।
১০
নাজাতপ্রাপ্ত জামাতের মারকাজ।
১১
কিয়ামত ও হাশর সংঘটিত হবার স্থানও এ পবিত্র ভূমি।
ইত্যাদি অনেক কারণেই আরদ্বে মুকাদ্দাস তথা ফিলিস্তিন মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ভূমিকে ইহুদীদের করাগ্রসাস থেকে মুক্ত করার জন্য সকল মুসলমানদের চেস্টা মেহনত করা ঈমানী দায়িত্ব।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com