আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
প্রশ্ন :
মুহতারাম, আমাদের সমাজের একটি চিত্র হলো, কোন মাইয়্যাত মারা গেলে দাপনের পর তার কবরে আঙ্গুল রেখে মিনমিনে আওয়াজে ইমাম সাহেব কি যেনো পড়ে। জানার বিষয় হলো, এটি জায়েজ কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মুহাম্মদ আলি হুসাইন
বাড্ডা, ঢাকা।
ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا ومصليا ومسلما
উত্তর :
এটি একটি কুসংস্কার। ইসলামে কুসংস্কারের কোন স্থান নেই। এধরণের কাজ আবশ্যিক মনে করাও বিদআত।
তবে, বিভিন্ন হাদীসে মাইয়্যাতকে দাফনের পর তার মাথার পাশে দাঁড়িয়ে সূরা বাকারার প্রথম রুকু مفلحون পর্যন্ত এবং পায়ের দিকে সূরা বাকারার শেষ রুকু آمن الرسول إلي أخره পর্যন্ত পড়ার কথা
পাওয়া যায়।
المستندات الشرعية:
قال الإمام البخاري رح في “صحيحه “رقم الحديث ٢٦١٩:
عَنْ عَائِشَةَ رَضى الله عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ النبيُّ ﷺ
.مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هذا ما لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدُّ.
قال الإمام البيهقي في “شعب الإيمان” رقم الحديث ٩٢٩٤: عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاح سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ سَمِعْتُ النَّبِيِّ ﷺ يَقُولُ إذا مات أحدكُمْ فَلا تَحبسُوه وأسرعوا به إلى قبره وليقرأ عند رأسه بفاتحة البقرة (أي إلي المفلحون) وعِندَ رجلَيْهِ بِخاتِمَةِ البقرة (أي آمن الرسول إلي أخره).
وفي” الدر المنتقي” على هامش” مجمع الأنهر” ٢٨٧/١:
.وَمِنَ الْبِدْعَ وَضْعُ الْيَدِ عَلَى الْقَبَرِ.
وفي” الشامية” ١٤٣/٣: مطلوب في الدفن الميت(ط.زكريا ديوبند ): فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ – يَسْتَحِبُّ أن يَقْرَأَ عَلَى الْقَبْرِ بَعْدَ الدَّفِنِ أُولُ سُوْرَةِ الْبَقَرَةِ . انتهى
والله أعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুহা. শাহাদাত হুসাইন
সাবেক শিক্ষার্থী: ইফতা বিভাগ
তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
সত্যায়নে
মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী।
পরিচালক – তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম আমীনবাজার ঢাকা।