প্রশ্ন
প্রশ্নের তারিখ: 2021-07-21
প্রশ্নকারীর নাম: হাসান মাহমুদ
ঠিকানা: রুপগঞ্জ
জেলা/শহর: নারায়ণগঞ্জ
দেশ: বাংলাদেশ
প্রশ্নের বিষয়: কুরবানির গোস্তের বন্টন
বিস্তারিত:
—————-
আস সালামু আলাই কুম শায়খ, আমাদের সমাজে একটা প্রথা হলো কুরবানির দিন কুরবানি করার পরে কুরবানির গোস্ত উঠানো হয় মসজিদের ইমামের হাদিয়া সরূপ (প্রতি গরু থেকেই)। ইমাম সাহেব গরু জবেহ করেন তার জন্য তিনাকে টাকা হাদিয়া দেওয়া হয়।
কিন্তু কেউ কেউ বলে ইমাম হলো বাদশাহ আর বাদশার জন্য গোস্ত উঠানো ঠিকনা । আশারাখি দয়াকরে দলিল ভিত্তিক উত্তর দিয়ে বাদিত করবেন।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিয়া হবে সম্পূর্ণ ইচ্ছেধীন। যদি কারো মনে চায়, তিনি ইমাম সাহেবকে নিজের পক্ষ থেকে হাদিয়া দিবেন। যার মনে না চায়, তিনি দিবেন না।
গোশত হাদিয়া দিতে সবাইকে বাধ্য করা জায়েজ নেই।
ليس لأحد أن يأخذ مال غيره بلا سبب شرعى (شرح المجلة الأحكام العدلية، رستم باز-1/62، رقم-97، قواعد الفقه-110، رقم-269، الموسوعة الفقهية الكويتية-21/112)
لا يحل لمسلم أن يأخذ ما أخيه بغير حق (مجمع الزوائد-4/171)
وَالْأَفْضَلُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِالثُّلُثِ وَيَتَّخِذَ الثُّلُثَ ضِيَافَةً لِأَقْرِبَائِهِ وَأَصْدِقَائِهِ وَيَدَّخِرَ الثُّلُثَ؛ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، وَلَوْ حَبَسَ الْكُلَّ لِنَفْسِهِ جَازَ لِأَنَّ الْقُرْبَةَ فِي الْإِرَاقَةِ وَالتَّصَدُّقِ بِاللَّحْمِ تَطَوُّعٌ (رد المحتار، كتاب الاضحية-9/474، زكريا، بدائع الصنائع-4/224، زكريا، الفتاوى السراجية-389)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী নরসিংদী।
ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com